উপল বড়ুয়া, ঢাকা
এমন বাবা পাওয়া যাবে না যিনি ছেলের কীর্তিতে গর্ববোধ করেন না। জর্জ উইয়াহরও এখন গর্ব করার সময়। নিজে শত চেষ্টা করেও যা পারেননি, সেটাই করে দেখিয়েছেন তাঁর ছেলে টিমোথি উইয়াহ। অবশেষে উইয়াহ পরিবারেরও স্বপ্ন পূরণ হলো বিশ্বকাপে খেলার।
ফুটবল অঙ্গনে হোক বা রাজনৈতিক অঙ্গনে—জর্জ উইয়াহকে চেনেন না এমন লোক খুব কমই আছে। পেশাদারি লিগে খেলেছেন মোনাকো, পিএসজি, এসি মিলান, চেলসি ও ম্যানচেস্টার সিটিতে। নিজের সময়ের সেরা স্ট্রাইকারদের একজন ছিলেন তিনি। আর্সেন ওয়েঙ্গারের আশ্চর্য আবিষ্কার বলা যায় উইয়াহকে। ফরাসি কিংবদন্তি কোচের হাত ধরে মোনাকোতে আসেন তিনি। এর পরের সময়টা সবারই জানা। ’৯০ দশকের মাঝের সময়টায় হয়ে ওঠেন বিশ্বসেরাদের একজন। এরপর ফরাসি ফুটবল ছেড়ে ইতালিতে আসেন উইয়াহ। ১৯৯৫ সালে মিলানে যোগ দেওয়ার প্রথম মৌসুমে ব্যালন ডি’অর ও ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার ওঠে তাঁর হাতে। এখন পর্যন্ত ব্যালন ডি’অর জয়ী একমাত্র আফ্রিকান তিনি।
খেলোয়াড়ি ইমেজ কাজে লাগিয়ে নিজের দেশ লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্টও নির্বাচিত হন উইয়াহ। ২০১৮ থেকে দেশটির ক্ষমতায় তিনি। কিন্তু একটা আক্ষেপ থেকে গিয়েছিল তাঁর। খেলোয়াড় হিসেবে হোক বা প্রেসিডেন্ট হিসেবে, অনেক চেষ্টা করেও লাইবেরিয়াকে বিশ্বকাপের মঞ্চে নিয়ে যেতে পারেননি উইয়াহ। পারবেন কী করে? তাঁর দেশ যে কখনো আফ্রিকার বাছাইপর্বও পেরোতে পারেনি। ফুটবলে আফ্রিকার অন্য দেশগুলোর তুলনায় দারিদ্র্যপীড়িত লাইবেরিয়া যোজন যোজন পিছিয়ে। উইয়াহও যেন ছিলেন ‘গোবরে পদ্মফুল’। খেলোয়াড়ি জীবনে লাইবেরিয়ার ফুটবলের উন্নতির লক্ষ্যে ফুটবল ফেডারেশনকে অর্থকড়ি সাহায্য দিতেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবও সেই সাহায্য দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু লাইবেরিয়ার উন্নতি নেই।
এ জন্যই হয়তো জর্জের ছেলে টিমোথি সুযোগ থাকার পরও লাইবেরিয়ার জায়গায় জাতীয় দল হিসেবে বেছে নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রকে। অবশ্য ২২ বছর বয়সী এই তারকার জন্ম নিউইয়র্কে। বাবার সঙ্গে অবশ্য কিছু জায়গায় তাঁর বেশ মিল। দুজনই আক্রমণভাগের খেলোয়াড়। দুজনের গায়েই উঠেছে পিএসজির জার্সি। টিমোথি এখন খেলেন লিলেতে। তাঁর বাবা যা পারেননি, এবার সেটা করে দেখিয়েছেন টিমোথি। প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে নেমেই পেয়ে গেলেন জালের দেখা। আল রায়ান স্টেডিয়ামে ‘বি’ গ্রুপে গত পরশু ওয়েলসের বিপক্ষে ম্যাচে ৩৬ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রকে এগিয়ে দেন তিনি। আর তাতেই বাবাকে মনে করিয়ে দিলেন টিমোথি। অবশ্য তাঁর গোলেও জয় পায়নি যুক্তরাষ্ট্র। শেষ মুহূর্তে গ্যারেথ বেলের পেনাল্টি গোলে সমতায় ফেরে ওয়েলস। ম্যাচ ১–১ ড্র।
জর্জ উইয়াহর স্বপ্ন ছিল বিশ্বকাপ খেলার। সেই স্বপ্নের কথা কদিন আগে ফক্স নিউজকে বলেছিলেন তাঁর ছেলে টিমোথি, ‘আমার বাবা দেশের হয়ে বিশ্বকাপ খেলতে চেয়েছিলেন। তবে সেই সুযোগ তিনি পাননি। এখন সেই স্বপ্ন তিনি দেখেন আমাকে ঘিরে। আমি মনে করি, এটা আশীর্বাদ। এটা অসাধারণ বিষয় যে বিশ্বকাপে আমার পরিবারকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারা।’
কাতার বিশ্বকাপ খেলতে এসে টিমোথি উইয়াহ বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছেন। আর ওয়েলসের বিপক্ষে গোল করে রেকর্ডের খাতায় নামও তুলেছেন। এই শতাব্দীতে জন্ম নেওয়া প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপে গোল পেলেন তিনি।
এমন বাবা পাওয়া যাবে না যিনি ছেলের কীর্তিতে গর্ববোধ করেন না। জর্জ উইয়াহরও এখন গর্ব করার সময়। নিজে শত চেষ্টা করেও যা পারেননি, সেটাই করে দেখিয়েছেন তাঁর ছেলে টিমোথি উইয়াহ। অবশেষে উইয়াহ পরিবারেরও স্বপ্ন পূরণ হলো বিশ্বকাপে খেলার।
ফুটবল অঙ্গনে হোক বা রাজনৈতিক অঙ্গনে—জর্জ উইয়াহকে চেনেন না এমন লোক খুব কমই আছে। পেশাদারি লিগে খেলেছেন মোনাকো, পিএসজি, এসি মিলান, চেলসি ও ম্যানচেস্টার সিটিতে। নিজের সময়ের সেরা স্ট্রাইকারদের একজন ছিলেন তিনি। আর্সেন ওয়েঙ্গারের আশ্চর্য আবিষ্কার বলা যায় উইয়াহকে। ফরাসি কিংবদন্তি কোচের হাত ধরে মোনাকোতে আসেন তিনি। এর পরের সময়টা সবারই জানা। ’৯০ দশকের মাঝের সময়টায় হয়ে ওঠেন বিশ্বসেরাদের একজন। এরপর ফরাসি ফুটবল ছেড়ে ইতালিতে আসেন উইয়াহ। ১৯৯৫ সালে মিলানে যোগ দেওয়ার প্রথম মৌসুমে ব্যালন ডি’অর ও ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার ওঠে তাঁর হাতে। এখন পর্যন্ত ব্যালন ডি’অর জয়ী একমাত্র আফ্রিকান তিনি।
খেলোয়াড়ি ইমেজ কাজে লাগিয়ে নিজের দেশ লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্টও নির্বাচিত হন উইয়াহ। ২০১৮ থেকে দেশটির ক্ষমতায় তিনি। কিন্তু একটা আক্ষেপ থেকে গিয়েছিল তাঁর। খেলোয়াড় হিসেবে হোক বা প্রেসিডেন্ট হিসেবে, অনেক চেষ্টা করেও লাইবেরিয়াকে বিশ্বকাপের মঞ্চে নিয়ে যেতে পারেননি উইয়াহ। পারবেন কী করে? তাঁর দেশ যে কখনো আফ্রিকার বাছাইপর্বও পেরোতে পারেনি। ফুটবলে আফ্রিকার অন্য দেশগুলোর তুলনায় দারিদ্র্যপীড়িত লাইবেরিয়া যোজন যোজন পিছিয়ে। উইয়াহও যেন ছিলেন ‘গোবরে পদ্মফুল’। খেলোয়াড়ি জীবনে লাইবেরিয়ার ফুটবলের উন্নতির লক্ষ্যে ফুটবল ফেডারেশনকে অর্থকড়ি সাহায্য দিতেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবও সেই সাহায্য দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু লাইবেরিয়ার উন্নতি নেই।
এ জন্যই হয়তো জর্জের ছেলে টিমোথি সুযোগ থাকার পরও লাইবেরিয়ার জায়গায় জাতীয় দল হিসেবে বেছে নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রকে। অবশ্য ২২ বছর বয়সী এই তারকার জন্ম নিউইয়র্কে। বাবার সঙ্গে অবশ্য কিছু জায়গায় তাঁর বেশ মিল। দুজনই আক্রমণভাগের খেলোয়াড়। দুজনের গায়েই উঠেছে পিএসজির জার্সি। টিমোথি এখন খেলেন লিলেতে। তাঁর বাবা যা পারেননি, এবার সেটা করে দেখিয়েছেন টিমোথি। প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে নেমেই পেয়ে গেলেন জালের দেখা। আল রায়ান স্টেডিয়ামে ‘বি’ গ্রুপে গত পরশু ওয়েলসের বিপক্ষে ম্যাচে ৩৬ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রকে এগিয়ে দেন তিনি। আর তাতেই বাবাকে মনে করিয়ে দিলেন টিমোথি। অবশ্য তাঁর গোলেও জয় পায়নি যুক্তরাষ্ট্র। শেষ মুহূর্তে গ্যারেথ বেলের পেনাল্টি গোলে সমতায় ফেরে ওয়েলস। ম্যাচ ১–১ ড্র।
জর্জ উইয়াহর স্বপ্ন ছিল বিশ্বকাপ খেলার। সেই স্বপ্নের কথা কদিন আগে ফক্স নিউজকে বলেছিলেন তাঁর ছেলে টিমোথি, ‘আমার বাবা দেশের হয়ে বিশ্বকাপ খেলতে চেয়েছিলেন। তবে সেই সুযোগ তিনি পাননি। এখন সেই স্বপ্ন তিনি দেখেন আমাকে ঘিরে। আমি মনে করি, এটা আশীর্বাদ। এটা অসাধারণ বিষয় যে বিশ্বকাপে আমার পরিবারকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারা।’
কাতার বিশ্বকাপ খেলতে এসে টিমোথি উইয়াহ বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছেন। আর ওয়েলসের বিপক্ষে গোল করে রেকর্ডের খাতায় নামও তুলেছেন। এই শতাব্দীতে জন্ম নেওয়া প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপে গোল পেলেন তিনি।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫