তানিম আহমেদ, ঢাকা
নির্বাচন সামনে রেখে চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানের লক্ষ্যে দেশি-বিদেশি নানা মহল সংলাপের তাগিদ দিয়ে আসছে অনেক দিন ধরেই। প্রধান দুই দলের পরস্পরবিরোধী অবস্থানের কারণে সৃষ্ট এ সংকট নিরসনে সংলাপে বসার কোনো তাগিদ বা পরামর্শই আমলে নিচ্ছে না ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। তাদের মতে, সংলাপ অনুষ্ঠানের মতো কোনো পরিবেশ এখনো সৃষ্টি হয়নি। তাই সংলাপ নিয়ে আপাতত চিন্তার কিছু নেই। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে তাঁদের এমন মনোভাব টের পাওয়া গেছে।
বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে সরকারের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন করছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। সরকার এই দাবি উপেক্ষা করে নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে গেলে তা প্রতিহত করার ঘোষণাও দিয়েছে তারা।
আওয়ামী লীগের যুক্তি, দলীয় সরকারের অধীনে যারা নির্বাচন করবে না, তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের রাজনৈতিক সংলাপ হবে না। এমন পরিস্থিতিতে সংলাপের প্রস্তাব দেওয়াকে রাজনৈতিক পরাজয় বলেও মনে করছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। তাঁদের মতে, বিএনপি তো বলছে তারা দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবে না এবং নির্বাচন হতে দেবে না। এ মুহূর্তে তাদের সঙ্গে সংলাপে বসলেও একই কথা বলবে। তারা যদি নির্বাচনে আসতে চায়, তাহলে সংলাপ হতে পারে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই মুহূর্তে সংলাপের পরিকল্পনা বা প্রয়োজনীয়তা নেই। কারণ, নির্বাচন নিয়ে যদি কেউ কোনো কথা বলতে চায়, তাদের উচিত হবে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলা। আমাদের সঙ্গে কথা বললে তো হবে না। কারও যদি কোনো পরামর্শ কিংবা কিছু বলার থাকে, তাহলে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বলতে হবে।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য আমরা কোনো সংলাপ করব না। তারাই যদি নির্বাচনের আসার ঘোষণা দেয়, তাহলে নির্বাচনী পরিবেশ-পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় বসার কথা বিবেচনা করতে পারি।’
সরকার পতনের এক দফা দাবি আদায়ে এক বছর ধরে রাজপথে নানা কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। ক্ষমতাসীনদের দাবি, এসব কর্মসূচির মাধ্যমে তারা সরকারের ওপর কোনো ধরনের চাপ সৃষ্টি করতে পারছে না। আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য বলেন, ‘বিএনপি যদি আমাদের ওপর কোনো চাপ সৃষ্টি করতে পারে, সেই ক্ষেত্রে সংলাপের প্রস্তাব আমরা দিতে পারি।’ ওই নেতা আরও বলেন, ‘বিএনপিকে অবশ্যই আগে ঘোষণা দিতে হবে যে তারা বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন করবে। সে ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে সংলাপ হবে এবং প্রয়োজনে নির্বাচনকালীন সরকারে টেকনোক্র্যাট কোটায় তাদের রাখার প্রস্তাবও আমরা দিতে পারি।’
জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা দেশগুলোর কূটনীতিকেরা দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয়। তাঁরা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাদা বৈঠকও করেছেন। সেখানে রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনার জন্যও তাগিদ দেওয়া হয়েছে। মার্কিন কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেওয়া আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, ‘তারা (যুক্তরাষ্ট্র) আমাদের রাজনৈতিক সংকট সমাধানে আলোচনা করার প্রস্তাব দিয়েছিল। আমরা বলেছি, বিএনপি তো সংলাপে আগ্রহী না। এ ক্ষেত্রে ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টেলিফোন করার কথাও তুলে ধরেছি।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই মুহূর্তে সংলাপের পরিস্থিতি নেই। গত তিন মাসে যেটি দেখেছি, বিএনপি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিদেশিদের সঙ্গে কথা বলছে। তারা হয়তো ধারণা করছে, পশ্চিমারা তাদের (বিএনপি) জন্য একটা ব্যবস্থা করে দেবে। কিন্তু জি২০ সম্মেলনের পরে মনে হচ্ছে সেটা কঠিন।’
২০১৮ সালের নির্বাচন-পূর্ব সংলাপ আহ্বানের মতো এবারও আহ্বান জানানো হবে কি না, জানতে চাইলে মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, ‘সামনের দিনের কথা তো বলা যায় না। তবে এই মুহূর্তে নির্বাচন নিয়ে কারও সঙ্গে সংলাপের প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।’
তবে কাজী জাফরউল্যাহ বলেন, ‘সংলাপ তো সব সময় হতে পারে। কিন্তু সেটার জন্য একটা পরিবেশ থাকতে হবে। সেই পরিবেশের অপেক্ষায় আমরাও আছি।’
নির্বাচন সামনে রেখে চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানের লক্ষ্যে দেশি-বিদেশি নানা মহল সংলাপের তাগিদ দিয়ে আসছে অনেক দিন ধরেই। প্রধান দুই দলের পরস্পরবিরোধী অবস্থানের কারণে সৃষ্ট এ সংকট নিরসনে সংলাপে বসার কোনো তাগিদ বা পরামর্শই আমলে নিচ্ছে না ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। তাদের মতে, সংলাপ অনুষ্ঠানের মতো কোনো পরিবেশ এখনো সৃষ্টি হয়নি। তাই সংলাপ নিয়ে আপাতত চিন্তার কিছু নেই। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে তাঁদের এমন মনোভাব টের পাওয়া গেছে।
বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে সরকারের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন করছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। সরকার এই দাবি উপেক্ষা করে নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে গেলে তা প্রতিহত করার ঘোষণাও দিয়েছে তারা।
আওয়ামী লীগের যুক্তি, দলীয় সরকারের অধীনে যারা নির্বাচন করবে না, তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের রাজনৈতিক সংলাপ হবে না। এমন পরিস্থিতিতে সংলাপের প্রস্তাব দেওয়াকে রাজনৈতিক পরাজয় বলেও মনে করছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। তাঁদের মতে, বিএনপি তো বলছে তারা দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবে না এবং নির্বাচন হতে দেবে না। এ মুহূর্তে তাদের সঙ্গে সংলাপে বসলেও একই কথা বলবে। তারা যদি নির্বাচনে আসতে চায়, তাহলে সংলাপ হতে পারে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই মুহূর্তে সংলাপের পরিকল্পনা বা প্রয়োজনীয়তা নেই। কারণ, নির্বাচন নিয়ে যদি কেউ কোনো কথা বলতে চায়, তাদের উচিত হবে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলা। আমাদের সঙ্গে কথা বললে তো হবে না। কারও যদি কোনো পরামর্শ কিংবা কিছু বলার থাকে, তাহলে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বলতে হবে।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য আমরা কোনো সংলাপ করব না। তারাই যদি নির্বাচনের আসার ঘোষণা দেয়, তাহলে নির্বাচনী পরিবেশ-পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় বসার কথা বিবেচনা করতে পারি।’
সরকার পতনের এক দফা দাবি আদায়ে এক বছর ধরে রাজপথে নানা কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। ক্ষমতাসীনদের দাবি, এসব কর্মসূচির মাধ্যমে তারা সরকারের ওপর কোনো ধরনের চাপ সৃষ্টি করতে পারছে না। আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য বলেন, ‘বিএনপি যদি আমাদের ওপর কোনো চাপ সৃষ্টি করতে পারে, সেই ক্ষেত্রে সংলাপের প্রস্তাব আমরা দিতে পারি।’ ওই নেতা আরও বলেন, ‘বিএনপিকে অবশ্যই আগে ঘোষণা দিতে হবে যে তারা বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন করবে। সে ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে সংলাপ হবে এবং প্রয়োজনে নির্বাচনকালীন সরকারে টেকনোক্র্যাট কোটায় তাদের রাখার প্রস্তাবও আমরা দিতে পারি।’
জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা দেশগুলোর কূটনীতিকেরা দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয়। তাঁরা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাদা বৈঠকও করেছেন। সেখানে রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনার জন্যও তাগিদ দেওয়া হয়েছে। মার্কিন কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেওয়া আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, ‘তারা (যুক্তরাষ্ট্র) আমাদের রাজনৈতিক সংকট সমাধানে আলোচনা করার প্রস্তাব দিয়েছিল। আমরা বলেছি, বিএনপি তো সংলাপে আগ্রহী না। এ ক্ষেত্রে ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টেলিফোন করার কথাও তুলে ধরেছি।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই মুহূর্তে সংলাপের পরিস্থিতি নেই। গত তিন মাসে যেটি দেখেছি, বিএনপি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিদেশিদের সঙ্গে কথা বলছে। তারা হয়তো ধারণা করছে, পশ্চিমারা তাদের (বিএনপি) জন্য একটা ব্যবস্থা করে দেবে। কিন্তু জি২০ সম্মেলনের পরে মনে হচ্ছে সেটা কঠিন।’
২০১৮ সালের নির্বাচন-পূর্ব সংলাপ আহ্বানের মতো এবারও আহ্বান জানানো হবে কি না, জানতে চাইলে মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, ‘সামনের দিনের কথা তো বলা যায় না। তবে এই মুহূর্তে নির্বাচন নিয়ে কারও সঙ্গে সংলাপের প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।’
তবে কাজী জাফরউল্যাহ বলেন, ‘সংলাপ তো সব সময় হতে পারে। কিন্তু সেটার জন্য একটা পরিবেশ থাকতে হবে। সেই পরিবেশের অপেক্ষায় আমরাও আছি।’
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৬ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৬ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৬ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫