Ajker Patrika

চার্লস ডিকেন্স

সম্পাদকীয়
চার্লস ডিকেন্স

ভিক্টোরিয়ান যুগে ইউরোপের সাহিত্যে এক নতুন বিপ্লবের নাম চার্লস ডিকেন্স। তিনি একাধারে ঔপন্যাসিক, সাংবাদিক, সম্পাদক, সচিত্র প্রতিবেদক এবং সমালোচক ছিলেন।

তাঁর জন্ম ১৮১২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ইংল্যান্ডের পোর্টসমাউথ শহরে। তাঁর পরিবার খুবই অসচ্ছল ছিল। একসময় ভাগ্য বদলানোর উদ্দেশ্যে সপরিবার কেন্টের চাথাম শহরে যান। কিন্তু সেখানেও ভালো কিছু করতে পারেননি। এরপর লন্ডনে চলে যান। এ সময় অর্থাভাবে তাঁর বাবা প্রতিবেশীর থেকে কিছু টাকা ঋণ করেন। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে ঋণগ্রহীতার মামলায় তাঁর মা-বাবাকে জেলে যেতে হয়।

এরপর তিনি জীবিকার প্রয়োজনে টেমস নদীর ধারে এক জুতার কালির কারখানায় কাজ নেন। যে অর্থ পেতেন তা দিয়ে কোনোমতে দুবেলা খেতে পারতেন। একসময় তাঁর স্কুলে যাওয়াও বন্ধ হয়ে যায়। একটি অফিসে পিয়ন হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। এখানে কর্মরত অবস্থায় তাঁর সাহিত্যিক গুণাবলির বিকাশ ঘটে।

তিনি ১৮৩২ সালে পিয়নের কাজ ছেড়ে দিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় কাজ করা শুরু করেন। লন্ডনের বিভিন্ন পত্রিকায় ছবি স্কেচ করা শুরু করেন তিনি এবং এর পাশাপাশি দু-চার পাতা লিখতেও থাকেন। একসময় একটি পত্রিকার সম্পাদকও হয়ে যান। সম্পাদক থাকাকালে চার্লস ডিকেন্স নতুন ধারাবাহিক উপন্যাস রচনা শুরু করেন। এক অনাহারী অনাথ বালককে নিয়ে রচিত সেই ধারাবাহিকের নাম দেন ‘অলিভার টুইস্ট’।

চারদিক থেকে প্রশংসা লাভ করতে থাকেন। ইংরেজি উপন্যাসের ইতিহাসে এর আগে কখনো কোনো বালককে নায়ক হিসেবে উপস্থাপন করা হয়নি।

তাঁর লেখা বিখ্যাত উপন্যাসগুলো হলো ‘অলিভার টুইস্ট’, ‘অ্যা ক্রিস্টমাস ক্যারল’, ‘নিকোলাস নিকলবি’, ‘ডেভিড কপারফিল্ড’, ‘অ্যা টেল অব টু সিটিস’ ও ‘গ্রেট এক্সপেকটেশন’ প্রভৃতি। তাঁর লেখার মূলনীতি ছিল ‘পাঠকদের হাসাও, পাঠকদের কাঁদাও এবং তাদের অপেক্ষা করাও।’

তিনি ১৮৭০ সালের ৯ জুন মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে ৫৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত