Ajker Patrika

পোকা দমনে কৃষকের বন্ধু ‘আলোক ফাঁদ’

বাপ্পি শাহরিয়ার, চকরিয়া (কক্সবাজার)
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২১, ১১: ৪৬
পোকা দমনে কৃষকের বন্ধু ‘আলোক ফাঁদ’

কক্সবাজারের চকরিয়ায় আলোক ফাঁদ ব্যবহার করে আমনখেতের ক্ষতিকর পোকামাকড়ের উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও দমন করছেন কৃষকেরা। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহায়তায় কৃষকেরা খেতে এ আলোক ফাঁদ স্থাপন করেছেন। এতে কমছে কীটনাশকের ব্যবহার। বাড়ছে ফলন। পাওয়া যাচ্ছে বিষমুক্ত ফসল।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, কৃষকের মধ্যে দিন দিন এ আলোক ফাঁদ ব্যবহারে আগ্রহ বাড়ছে। এ পদ্ধতিতে খেতের পোকামাকড় দমনসহ ধানে ক্ষতিকর কী কী পোকা আক্রমণ করে সেটি জানা যায়। এ ছাড়া সেটি পর্যবেক্ষণ ও শনাক্ত করা যায়। উপজেলা ১৮টি ও একটি পৌরসভায় ৫৫টি ব্লকে এ আলোক ফাঁদ স্থাপন করা হয়েছে। ধান পাকা পর্যন্ত খেতে এই আলোকফাঁদ কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানান কৃষি কর্মকর্তারা।

সরেজমিনে ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের আমনখেতে দেখা যায়, খেতের আইলে তিনটি খুঁটি বসানো হয়েছে। এর ওপর বৈদ্যুতিক বাতি ঝোলানো। বাতির নিচে একটি পানিভর্তি পাত্রে রাসায়নিক ও ডিটারজেন্ট মিশ্রিত পানি রাখা। রাতে বাতি জ্বালানোর পর ক্ষতিকর পোকা এসে পানিতে পড়ে মারা যাচ্ছে। এভাবে কৃষকেরা আলোর ফাঁদ ব্যবহার করে ফসলি জমিতে ক্ষতিকর পোকার উপস্থিতি নির্ণয় করছেন।

উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চকরিয়া উপজেলার ১৮ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ১৯ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আমন চাষে ৫৫টি ব্লকে ৩৮৫টি আলোকফাঁদ স্থাপন করা হয়েছে। পোকামাকড়ের উপস্থিতি শনাক্ত করে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।

হারবাং ইউনিয়নের কমরমুহুরীপাড়া গ্রামের কৃষক নেজাম উদ্দীন বলেন, ‘আলোক ফাঁদ সহজলভ্য পদ্ধতি। এতে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন। এর মাধ্যমে কৃষকেরা খুব সহজেই খেতের পোকামাকড় নির্ণয় করে নিধন করতে পারেন। এতে খরচ অনেক কমে এসেছে।’

উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা তাসনিম আলম মুন্না বলেন, ‘ইতিমধ্যে কিছু ইউনিয়নে আগাম ধান কাটা শুরু। বেশির ভাগ ইউনিয়ন ধানের শিষ বের হয়েয়ে। শিষ বের হওয়ার পর কিছু ক্ষতিকর ঘাসফড়িং জাত ও মাজরাসহ কয়েক প্রজাতির পোকা খেতে আক্রমণ করে। মূলত ক্ষতিকর পোকা উপস্থিতি নির্ণয় করতে আলোক ফাঁদ ব্যবহার করা হয়। এ পদ্ধতি ধান কাটা পর্যন্ত চলবে।’

চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এস এম নাসিম হোসেন বলেন, ‘উপজেলার ৫৫টি ব্লকে কৃষি অফিসের সার্বিক নির্দেশনায় কৃষকেরা আলোকফাঁদ ব্যবহার করছেন। এটি পরিবেশবান্ধব। এ পদ্ধতিতে খুব সহজেই খেতের পোকামাকড় শনাক্ত ও দমন করা যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সিলেটে পাথর লুটে জড়িত দুই দলের ৩৫ নেতা

আলাস্কা বৈঠকে পুতিনের দেহরক্ষীর হাতে ‘মলমূত্রবাহী স্যুটকেস’ কেন

সিলেটের ডিসি হলেন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে শাস্তি পাওয়া সারওয়ার আলম

শেখ মুজিবকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ছাত্রদল নেতার পোস্ট, শোকজ পেয়ে নিলেন অব্যাহতি

মুচলেকা দিয়ে ক্যাম্পাস ছাড়লেন আনন্দ মোহন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত