Ajker Patrika

নবী-রাসুলগণ আল্লাহর প্রতিনিধি

মুনীরুল ইসলাম
আপডেট : ২১ জুলাই ২০২২, ১৪: ৫৬
নবী-রাসুলগণ আল্লাহর প্রতিনিধি

মানবজাতির হেদায়েতের জন্য আল্লাহ তাআলা পৃথিবীতে ১ লাখ ২৪ হাজার নবী পাঠিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৩১৫ জন ছিলেন রাসুল। হজরত আদম (আ.) ছিলেন প্রথম প্রেরিত রাসুল এবং হজরত মুহাম্মদ (সা.) সর্বশেষ প্রেরিত রাসুল। অনেক নবীকে আল্লাহ ‘সহিফা’ বা ছোট কিতাব দিয়েছেন এবং প্রত্যেক রাসুলকে দিয়েছেন পৃথক শরিয়ত। তবে চারজন শ্রেষ্ঠ রাসুলের ওপর আল্লাহ প্রধান চার আসমানি কিতাব নাজিল করেন। মুসা (আ.)-এর ওপর তাওরাত, দাউদ (আ.)-এর ওপর জাবুর, ঈসা (আ.)-এর ওপর ইনজিল এবং মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর সর্বশ্রেষ্ঠ কিতাব আল কোরআন নাজিল করেন।

হজরত মুহাম্মদ (সা.) প্রেরিত হয়েছিলেন বিশ্ববাসীর জন্য রাসুল হিসেবে। মানুষের বাস্তব চাহিদা অনুযায়ী দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে তাঁর ওপর কোরআন নাজিল হয়েছিল। তাঁর আগমন ও কোরআন নাজিলের পর বিগত সব নবুওয়ত এবং কিতাবের হুকুম রহিত হয়ে গেছে। এখন হেদায়েতের জন্য কেবল কোরআনই অবশিষ্ট আছে।

১ লাখ ২৪ হাজার নবীর মধ্যে কোরআনে মাত্র ২৫-২৬ জন নবী-রাসুলের নাম এসেছে। কোরআনে পূর্ববর্তী নবী-রাসুলের কাহিনি বর্ণনার উদ্দেশ্য হলো, রাসুলুল্লাহ (সা.) যেন নবুওয়তের গুরুদায়িত্ব পালনে প্রস্তুত হতে পারেন এবং তাঁর উম্মত তা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। আল্লাহ বলেন, ‘আমি নবীদের এসব কাহিনি আপনার কাছে বর্ণনা করার মাধ্যমে আপনার অন্তর সুদৃঢ় করি। আর এর মধ্যে এসেছে আপনার প্রতি সত্য, উপদেশ ও বিশ্বাসীদের জন্য স্মরণীয় বস্তুসমূহ।’ (সুরা হুদ: ১২০)

পৃথিবীতে আসা সব নবী-রাসুলই চারটি বংশধারা থেকে এসেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘নিঃসন্দেহে আল্লাহ আদম, নুহ, আলে ইবরাহিম ও আলে ইমরানকে নির্বাচিত করেছেন, যারা একে অপরের বংশধর ছিল।’ (আলে ইমরান: ৩৩-৩৪)

লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পাকিস্তানের সামরিক ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতার সামনে অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে ভারত: ব্রিটিশ বিশ্লেষক

কী লিখেছিলেন মাহফুজ আলম, ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ডিলিট করলেন কেন

প্রশাসনিক আদেশে জামায়াত নিষিদ্ধ ভুল, আ.লীগের কার্যক্রম বন্ধ সঠিক: বিএনপি

এবার ‘পাকিস্তানপন্থার’ বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলেন আসিফ মাহমুদ

প্রথম ভাষণে গাজা প্রসঙ্গে যা বললেন পোপ লিও চতুর্দশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত