Ajker Patrika

১০ ইউপিতে বিদ্রোহী বিপাকে আওয়ামী লীগ

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০২১, ১৪: ২৬
১০ ইউপিতে বিদ্রোহী বিপাকে আওয়ামী লীগ

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের ১০ ইউপিতে ঘরের আগুনে পুড়ছে আওয়ামী লীগ। উপজেলার প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নেই রয়েছে বিদ্রোহী প্রার্থী। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। অপরদিকে বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামী দলীয়ভাবে এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। তবে তারা স্বতন্ত্র পরিচয়ে দলের একক প্রার্থী দিয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। ইতিমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫২ জন মনোনয়নপ্রত্যাশী ফরম সংগ্রহ করেছেন বলে নির্বাচন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।

উপজেলার প্রতিটি ইউপিতেই আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে দলের একাধিক নেতা প্রার্থী হয়েছেন। দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ মোল্লা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে বলেন, ‘যিনি আমার ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী হয়েছেন তিনি অতীতে নৌকার বিরুদ্ধে ভোট করায় তাঁকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তাঁকেই নৌকা দেওয়ায় তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্ধ। নেতা-কর্মীদের অনুরোধেই আমি প্রার্থী হয়েছি।’

দক্ষিণ চরবংশীতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আবু জাফর সালেহ মিন্টু ফরায়েজী বলেন, ‘আমি দল থেকে অব্যাহতির বিষয়টি জানি না। তৃণমূল থেকে আমার নাম না পাঠানো হলেও কেন্দ্র থেকে আমাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কয়েকজন নেতা আমার বিরুদ্ধে আবদুর রশিদ মোল্লাকে প্রার্থী করিয়েছেন।’

উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উত্তর চর আবাবিল ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী জাফর উল্যাহ দুলাল হাওলাদার বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে একজন বিতর্কিত ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তাই জনদাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমি প্রার্থী হয়েছি।’

উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উত্তর চর আবাবিল ইউপি প্রার্থী জাফর উল্যাহ দুলাল হাওলাদার বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে একজন বিতর্কিত ব্যক্তিকে নৌকা দেওয়া হয়েছে। তিনি এলাকার কোনো উন্নয়ন করেন না। তাই জনদাবীর প্রেক্ষিতে আমি প্রার্থী হয়েছি।’

উত্তর চর আবাবিল ইউপি চেয়ারম্যান ও দলীয় প্রার্থী মো. শহিদ উল্যাহ বলেন, ‘এবার নিয়ে তিনবার আমাকে দলীয় প্রার্থী করা হয়েছে। নৌকার বিরুদ্ধে দুলাল হাওলাদার প্রার্থী হয়েছেন। বিষয়টি দলের নেতারা দেখবেন।’

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ বলেন, ‘যারা আওয়ামী লীগ করেন তাঁরা নৌকার বিরুদ্ধে প্রার্থী হতে পারেন না। বিষয়টি যেহেতু এখনো নিশ্চিত নয়, তাই আমাদের আরও অপেক্ষা করতে হবে। প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার পর কেউ যদি নৌকার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হন, তবে দলের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রায়পুর উপজেলা আমির আবদুল আওয়াল রাসেল বলেন, ‘আমরা ১০টি ইউনিয়নেই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছি। তবে সোনাপুর, বামনী ও কেরোয়া ইউপিতে আমরা নির্বাচন করছি নিশ্চিত। অন্যগুলোতে সম্ভাবনা কম। আমাদের প্রার্থীরা স্বতন্ত্র হিসেবে চেয়ারম্যান প্রার্থী হচ্ছেন।’

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম মিঠু বলেন, দলীয়ভাবে বিএনপি এবার ইউপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। দলের যাঁরা প্রার্থী হয়েছেন তাঁরা স্বতন্ত্র হিসেবে হয়েছেন।

লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও এ আসনের সাংসদ অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন বলেন, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর কারা নৌকার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হন তা দেখে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

অপারেশন সিন্দুর ঘিরে আলোচিত কে এই কর্নেল সোফিয়া কুরেশি

কাশ্মীরে বিধ্বস্ত বিমানের অংশবিশেষ ফরাসি কোম্পানির তৈরি, হতে পারে রাফাল

নিজ কার্যালয়ে র‍্যাব কর্মকর্তার গুলিবিদ্ধ লাশ, পাশে চিরকুট

আকাশ প্রতিরক্ষায় কে এগিয়ে, পাকিস্তান কি ভারতের আক্রমণ ঠেকাতে সক্ষম

শ্রীনগরের কাছে যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ, ভারতের নাকি পাকিস্তানের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত