Ajker Patrika

ইলিশের স্যুপ ও নুডলস তৈরির প্রযুক্তি প্রকাশ

বাকৃবি প্রতিনিধি
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬: ০৫
ইলিশের স্যুপ ও নুডলস তৈরির প্রযুক্তি প্রকাশ

বাকৃবি প্রতিনিধিইলিশ থেকে দীর্ঘদিন সংরক্ষণযোগ্য পণ্য তৈরি করার প্রযুক্তি প্রকাশ্যে আনলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) গবেষক অধ্যাপক ড. এ কে এম নওশাদ আলম ও তাঁর গবেষক দল। ইলিশের চর্বি স্থিতিশীল করার জন্য নতুন উদ্ভাবিত ভেষজ এন্টি-অক্সিডেন্টটি গাজর থেকে আহরিত ক্যারোটিনয়েড বা বিটা-কেরোটিন।

এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তিনি ইতিমধ্যে ইলিশ মাছ থেকে পাউডার ও কিউব তৈরি করেছেন। এটি দিয়ে তিনি পরে স্যুপ ও নুডলস বানান।

তিন বছরের অধিক সময় ধরে গবেষণা করে এই প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান গবেষক ড. এ কে এম নওশাদ আলম।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য দেন তিনি। ইউএসএআইডির অর্থায়নে গবেষণাটি পরিচালিত হয়। গবেষক দলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন আল শাহরিয়ার ও মো. সাজেদুল হক।

এ বিষয়ে জানাতে ড. নওশাদ আলম বলেন, ইলিশ অধিক আমিষ ও চর্বির মাছ। তবে ইলিশের চর্বি মোটেও ক্ষতিকর নয়। চর্বিতে বিদ্যমান ওমেগা-৩ নামক অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড, যা ইলিশের স্বাদের জন্য দায়ী।

এই অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমিয়ে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমায় এবং শরীরকে সুস্থ ও সতেজ রাখে। ফলে উদ্ভাবিত ইলিশ-পণ্য দিয়ে সারা বছর ক্রেতারা ইলিশের স্বাদ পূরণ করতে পারবেন।

উদ্ভাবিত প্রযুক্তি নিয়ে ড. নওশাদ আলম বলেন, ‘অতিরিক্ত চর্বির জন্য ইলিশ মাছ শুঁটকি ছাড়া দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায় না। অন্যদিকে ইলিশে বিদ্যমান অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড না সরালে তৈরি পণ্যটি কক্ষ ও হিমায়ন তাপমাত্রায় জারিত হয়ে পচে দুর্গন্ধময় হয়ে যায়।’

নওশাদ আলম আরও বলেন, জারণ বন্ধ করার জন্য দরকার কার্যকরী ও উপকারী ভেষজ এন্টি অক্সিডেন্ট। ইলিশের চর্বিকে স্থিতিশীল করে গাজর থেকে আহরিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ক্যারোটিনয়েড বা বিটা-কেরোটিন। এর মাধ্যমে মাছের স্বাদ ও গন্ধকে অপরিবর্তিত রেখে এই প্রথম ইলিশ-পাউডার ও ইলিশ কিউব তৈরি করা হয়েছে।

গবেষক বলেন, নতুন পণ্যে আমিষ, অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন ও অন্যান্য খনিজসহ ইলিশ মাছের সকল পুষ্টি উপাদান ও ভিটামিন অক্ষুণ্ন রয়েছে।

বাকৃবির এই গবেষক জানান, এক হাজার টাকা দামের একটি ইলিশ মাছ থেকে ছোট আকৃতির প্রায় ২০০ কিউব তৈরি করা সম্ভব। প্রতিটি কিউবের বাজারমূল্য ২০ টাকা। একটি কিউব দিয়ে ইলিশের হুবহু স্বাদের এক বাটি স্যুপ তৈরি করা সম্ভব। স্বাদ অপরিবর্তিত রেখে কিউবগুলোকে রেফ্রিজারেটরে এক বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মে. জে. ফজলুরের সেভেন সিস্টার্স দখলের মন্তব্য সমর্থন করে না সরকার: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে স্টারলিংকের প্রস্তাবিত কার্যক্রমের বিস্তারিত চায় ভারত

নিজের প্রস্রাব পান করে ‘আশিকি’ অভিনেত্রী অনু আগারওয়াল বললেন, ‘আহা অমৃত’

নির্দেশনা মানেননি পাইলট, মদিনা-ঢাকা ফ্লাইটকে নামতে হলো সিলেটে

গায়ে কেরোসিন ঢেলে কলেজছাত্রীর আত্মহনন, পলাতক ইমাম গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত