Ajker Patrika

তাজিরের ভ্রাম্যমাণ হালখাতা

কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২১, ১৭: ১৭
তাজিরের ভ্রাম্যমাণ হালখাতা

ভ্রাম্যমাণ হালখাতা করছেন ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা তাজির উদ্দিন। বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ক্রেতাদের দিচ্ছেন মিষ্টি, নিচ্ছেন পাওনা টাকা। গত শনিবার বিকেলে ভ্রাম্যমাণ দোকানের হালখাতার এ দৃশ্য দেখা যায় ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌরসভার বড়বামনদহ গ্রামে। তাজির ওই গ্রামের রেলগেট পাড়ার মৃত জয়নাল আবেদিনের ছেলে।

ভ্রাম্যমাণ দোকানি তাজির উদ্দিন বলেন, ছোটবেলা থেকে ব্যবসা করে আসছি। ১২ বছর ধরে মুদির দোকান করি। দিন যত যাচ্ছে এলাকায়, পাড়া, মহল্লায় দোকান বাড়ছে। এ কারণে মানুষ এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় মালামাল কিনতে যান না। এ জন্য মুদি দোকানের পাশাপাশি ভ্যানে ভ্রাম্যমাণ এ দোকান বসিয়েছি। এতে করে আমার বেচাকেনা বেড়ে গেছে অনেকগুণ।

তাজির বলেন, এ দোকানে আমি সীমিত লাভ করি। মানুষও দোকানে ছুটে আসেন। এ ছাড়া মানুষ তাঁর চাহিদা মতো জিনিসপত্র বেছে–দেখে কিনতে পারেন। টাকা না থাকলেও বাকিতে নেন। তিনি বলেন, একটা দোকানে ক্রেতা না গেলে বিক্রি হয় না। ফলে দিন শেষে অনেক সবজি নষ্ট হয়ে থাকে। দামও কমে যায়। এতে করে লোকসান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি। তবে আমার এ দোকান নিয়ে আমি ক্রেতার কাছে যাই। প্রতিদিন ২০০ ক্রেতার বাড়ি যাই। ভ্রাম্যমাণ দোকানি তাজির বলেন, সারা বছর বেচাকেনায় কিছু কিছু করে বাকি পড়ে যায়। এ কারণে টাকা তুলতে হালখাতা করি। আর হালখাতার মিষ্টিও ক্রেতার বাড়িতে পৌঁছে দিই। এতে করে বাকি টাকাটাও উঠে আসে বেশ।

ক্রেতা রাজিয়া খাতুন বলেন, এ দোকান থেকে মালামাল কেনায় আমরা অনেক সুবিধা পাই। যার মধ্যে প্রতি দিনের তরকারি প্রতি দিন কিনতে পারি। তরকারি টাটকা পাওয়া যায়। এ দোকান প্রতিদিন এলাকায় আসায় টাকা না থাকলেও নিতে পারি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফেল করায় বকা খেয়ে বাড়ি ছাড়ে বাংলাদেশি কিশোরী, ভারতে ৩ মাসে ২০০ লোকের ধর্ষণ

খালার সঙ্গে শত্রুতা মুহাম্মদ ইউনূসের, আমি ‘কোল্যাটারাল ড্যামেজ’: টিউলিপ সিদ্দিক

‘কাল দেখা হইবে, ভালো থাকিস’—ছেলেকে বলেছিলেন গণপিটুনিতে নিহত প্রদীপ

দেখো, ওর থেকে আরও ৫ লাখ নিতে পারো কি না—মেসেঞ্জার কলে এনসিপি নেতা নিজাম

রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আটক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত