এম এম মুজাহিদ উদ্দীন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী নাঈমুর রহমান ৪১তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে প্রথম পছন্দ কাস্টমস অ্যান্ড এক্সাইজ ক্যাডারে অষ্টম হয়েছেন। তাঁর চাকরি পাওয়ার গল্প লিখেছেন এম এম মুজাহিদ উদ্দীন
ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার নাচনমহল ইউনিয়নের ডেবরা গ্রামের এক কৃষক পরিবারে জন্ম নাঈমুরের। সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত নিজ গ্রামের একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেছেন। এরপর শহরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হন। ঝালকাঠি এনএস কামিল মাদ্রাসা থেকে ২০১০ সালে জিপিএ-৫ নিয়ে দাখিল পাস করেন। আলিমে ভর্তি হন খুলনার একটি মাদ্রাসায়, সেখান থেকে ২০১২ সালে জিপিএ-৫ নিয়ে আলিম পাস করেন। ২০১২-১৩ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে ভর্তি হন বাণিজ্য অনুষদের ফিন্যান্স বিভাগে।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরু থেকেই বিসিএসের স্বপ্ন দেখা শুরু করেন নাঈমুর। তিনি জানান, ‘আমি নোট করে পড়ায় তেমন অভ্যস্ত না হলেও বিসিএস লিখিত পরীক্ষার জন্য ইংরেজি রচনা ও ভোকাবুলারি, বাংলা রচনা ও ব্যাকরণ অংশ, বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির তথ্য-উপাত্ত এবং গণিতের জ্যামিতি অংশ নোট করে পড়তাম। এ ছাড়া সাধারণ বিজ্ঞানের জন্য যে বিষয়গুলো না জানলেই নয়, সেগুলো নিয়ে দুটি পূর্ণাঙ্গ নোট খাতা তৈরি করেছিলাম। পরীক্ষার আগের রাতে রিভিশন দেওয়ার জন্য এই নোট খাতা দুটি অনেক বেশি সহায়ক হয়েছিল।’
নাঈমুরের পড়াশোনার রুটিন ছিল দিনভিত্তিক। আগের দিন রাতে ঠিক করে রাখতেন, পরদিন কোন বিষয় কতটুকু পড়বেন। এর ফলে ওই বিষয়গুলো পড়ার জন্য আগে থেকেই এক ধরনের মানসিক প্রস্তুতি থাকত তাঁর। সারা দিন নির্দিষ্ট কোনো একটি বই পড়তেন। একটি বই পুরোপুরি শেষ করে অন্য বই পড়া শুরু করতেন এবং আগের দিন নির্ধারণ করা টার্গেট পূরণ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতেন। বিসিএস প্রস্তুতির জন্য তিনি কোনো কোচিং করেন নি। বাজারে প্রচলিত বিসিএস সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রকাশনীর বইয়ের সহায়তা নিয়েছেন।
নাঈমুর জানান, ‘আমার হাতের লেখা স্পষ্ট ও সুন্দর হলেও বেশ ধীরগতির। যার কারণে লিখিত পরীক্ষায় যথাসময়ে পূর্ণ নম্বরের উত্তর করাটা আমার জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল। ৩৮তম ও ৪০তম বিসিএসের ২/৩টি বিষয়ের লিখিত পরীক্ষায় সময় ব্যবস্থাপনা করতে ব্যর্থ হয়েছিলাম। তবে ৪১তম বিসিএসে প্রতিটি প্রশ্নের জন্য সময় নির্ধারণ করে ওই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উত্তর করার চেষ্টা করেছি। এ ক্ষেত্রে উত্তরপত্রে সংক্ষেপে মূলকথা লেখার চেষ্টা করেছি।’
এমবিএ চলাকালীন ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ৩৮তম বিসিএসের প্রিলিমিনারিতে অংশ নেন নাঈমুর। ৩৮তম ও ৪০তম বিসিএসের সব ধাপে উত্তীর্ণ হলেও দুবারই নন-ক্যাডার হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০২১ সালের আগস্টে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন। চাকরিতে যোগদানের পর বিসিএসের পড়াশোনা চালিয়ে নেওয়া কষ্টসাধ্য ছিল। এরই মধ্যে সেপ্টেম্বরে ৪০তম বিসিএসের ভাইভা, অক্টোবরে ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি এবং ডিসেম্বরে ৪১তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
৩৮তম ও ৪০তম বিসিএসের প্রস্তুতির ওপর নির্ভর করে ৪১তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। আগের ২টি বিসিএসের তুলনায় ৪১তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা ভালো হয়। নাঈমুর জানান, ‘৪১তম বিসিএসের ভাইভার আগে প্রস্তুতির জন্য তেমন সময় পাইনি। কারণ, ৫ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে ভাইভা শুরু হয়। আর আমার ভাইভার তারিখ নির্ধারিত হয় ২০২২ সালের ১১ ডিসেম্বর। এ অবস্থায় একটু হতাশ হয়ে যাই। এ সময় আমার সহধর্মিণী সার্বক্ষণিক আমাকে সাহস জুগিয়েছে। যেহেতু আমি যত চাকরির ভাইভা দিয়েছি, তন্মধ্যে বেশির ভাগ ভাইভাতেই ভালো পারফর্ম করেছি, তাই ভাইভা বোর্ডে আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম।
ছাত্রাবস্থায় টিউশনি করানো এবং সামাজিক সংগঠনে কাজ করার অভিজ্ঞতা এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এ ছাড়া চাকরি থেকে অর্জিত দেড় বছরের অভিজ্ঞতা ৪১তম বিসিএসের ভাইভা বোর্ডে আত্মবিশ্বাসী থাকার ক্ষেত্রে সহায়ক হয়েছে। লিখিত পরীক্ষা ও ভাইভা ভালো হওয়ার ফলে আমার মধ্যে এমন একটি অনুভূতি জাগে, Now or Never। প্রত্যাশামতো ৪১তম বিসিএসে আমার প্রথম পছন্দ কাস্টমস অ্যান্ড এক্সাইজ ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী নাঈমুর রহমান ৪১তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে প্রথম পছন্দ কাস্টমস অ্যান্ড এক্সাইজ ক্যাডারে অষ্টম হয়েছেন। তাঁর চাকরি পাওয়ার গল্প লিখেছেন এম এম মুজাহিদ উদ্দীন
ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার নাচনমহল ইউনিয়নের ডেবরা গ্রামের এক কৃষক পরিবারে জন্ম নাঈমুরের। সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত নিজ গ্রামের একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেছেন। এরপর শহরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হন। ঝালকাঠি এনএস কামিল মাদ্রাসা থেকে ২০১০ সালে জিপিএ-৫ নিয়ে দাখিল পাস করেন। আলিমে ভর্তি হন খুলনার একটি মাদ্রাসায়, সেখান থেকে ২০১২ সালে জিপিএ-৫ নিয়ে আলিম পাস করেন। ২০১২-১৩ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে ভর্তি হন বাণিজ্য অনুষদের ফিন্যান্স বিভাগে।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরু থেকেই বিসিএসের স্বপ্ন দেখা শুরু করেন নাঈমুর। তিনি জানান, ‘আমি নোট করে পড়ায় তেমন অভ্যস্ত না হলেও বিসিএস লিখিত পরীক্ষার জন্য ইংরেজি রচনা ও ভোকাবুলারি, বাংলা রচনা ও ব্যাকরণ অংশ, বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির তথ্য-উপাত্ত এবং গণিতের জ্যামিতি অংশ নোট করে পড়তাম। এ ছাড়া সাধারণ বিজ্ঞানের জন্য যে বিষয়গুলো না জানলেই নয়, সেগুলো নিয়ে দুটি পূর্ণাঙ্গ নোট খাতা তৈরি করেছিলাম। পরীক্ষার আগের রাতে রিভিশন দেওয়ার জন্য এই নোট খাতা দুটি অনেক বেশি সহায়ক হয়েছিল।’
নাঈমুরের পড়াশোনার রুটিন ছিল দিনভিত্তিক। আগের দিন রাতে ঠিক করে রাখতেন, পরদিন কোন বিষয় কতটুকু পড়বেন। এর ফলে ওই বিষয়গুলো পড়ার জন্য আগে থেকেই এক ধরনের মানসিক প্রস্তুতি থাকত তাঁর। সারা দিন নির্দিষ্ট কোনো একটি বই পড়তেন। একটি বই পুরোপুরি শেষ করে অন্য বই পড়া শুরু করতেন এবং আগের দিন নির্ধারণ করা টার্গেট পূরণ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতেন। বিসিএস প্রস্তুতির জন্য তিনি কোনো কোচিং করেন নি। বাজারে প্রচলিত বিসিএস সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রকাশনীর বইয়ের সহায়তা নিয়েছেন।
নাঈমুর জানান, ‘আমার হাতের লেখা স্পষ্ট ও সুন্দর হলেও বেশ ধীরগতির। যার কারণে লিখিত পরীক্ষায় যথাসময়ে পূর্ণ নম্বরের উত্তর করাটা আমার জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল। ৩৮তম ও ৪০তম বিসিএসের ২/৩টি বিষয়ের লিখিত পরীক্ষায় সময় ব্যবস্থাপনা করতে ব্যর্থ হয়েছিলাম। তবে ৪১তম বিসিএসে প্রতিটি প্রশ্নের জন্য সময় নির্ধারণ করে ওই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উত্তর করার চেষ্টা করেছি। এ ক্ষেত্রে উত্তরপত্রে সংক্ষেপে মূলকথা লেখার চেষ্টা করেছি।’
এমবিএ চলাকালীন ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ৩৮তম বিসিএসের প্রিলিমিনারিতে অংশ নেন নাঈমুর। ৩৮তম ও ৪০তম বিসিএসের সব ধাপে উত্তীর্ণ হলেও দুবারই নন-ক্যাডার হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০২১ সালের আগস্টে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন। চাকরিতে যোগদানের পর বিসিএসের পড়াশোনা চালিয়ে নেওয়া কষ্টসাধ্য ছিল। এরই মধ্যে সেপ্টেম্বরে ৪০তম বিসিএসের ভাইভা, অক্টোবরে ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি এবং ডিসেম্বরে ৪১তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
৩৮তম ও ৪০তম বিসিএসের প্রস্তুতির ওপর নির্ভর করে ৪১তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। আগের ২টি বিসিএসের তুলনায় ৪১তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা ভালো হয়। নাঈমুর জানান, ‘৪১তম বিসিএসের ভাইভার আগে প্রস্তুতির জন্য তেমন সময় পাইনি। কারণ, ৫ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে ভাইভা শুরু হয়। আর আমার ভাইভার তারিখ নির্ধারিত হয় ২০২২ সালের ১১ ডিসেম্বর। এ অবস্থায় একটু হতাশ হয়ে যাই। এ সময় আমার সহধর্মিণী সার্বক্ষণিক আমাকে সাহস জুগিয়েছে। যেহেতু আমি যত চাকরির ভাইভা দিয়েছি, তন্মধ্যে বেশির ভাগ ভাইভাতেই ভালো পারফর্ম করেছি, তাই ভাইভা বোর্ডে আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম।
ছাত্রাবস্থায় টিউশনি করানো এবং সামাজিক সংগঠনে কাজ করার অভিজ্ঞতা এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এ ছাড়া চাকরি থেকে অর্জিত দেড় বছরের অভিজ্ঞতা ৪১তম বিসিএসের ভাইভা বোর্ডে আত্মবিশ্বাসী থাকার ক্ষেত্রে সহায়ক হয়েছে। লিখিত পরীক্ষা ও ভাইভা ভালো হওয়ার ফলে আমার মধ্যে এমন একটি অনুভূতি জাগে, Now or Never। প্রত্যাশামতো ৪১তম বিসিএসে আমার প্রথম পছন্দ কাস্টমস অ্যান্ড এক্সাইজ ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছি।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪