Ajker Patrika

ব্যর্থতার ছায়া থেকে বেরিয়ে চ্যাম্পিয়ন ঢাকা বিভাগ

 আরমান হোসেন, ঢাকা
আপডেট : ২৭ নভেম্বর ২০২১, ১৬: ২৬
ব্যর্থতার ছায়া থেকে বেরিয়ে চ্যাম্পিয়ন ঢাকা বিভাগ

নিবেদন, পরিশ্রম আর লেগে থাকলে কোনো চেষ্টাই নাকি বৃথা যায় না। একটু দেরি হলেও সাফল্য এসে ধরা দেয়। এ সূত্র ধরে এবারের জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) শিরোপা জিতেছে ঢাকা বিভাগ। গত এক দশকে খুলনা বিভাগ যেখানে এনসিএলে চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা প্রায় ‘অভ্যাস’ বানিয়ে ফেলেছিল, সেখানে ঢাকার কাছে শিরোপাটা ছিল সোনার হরিণ। সাত বছর আর আট মৌসুম পর  ব্যর্থতার ছায়া থেকে বেরিয়ে অবশেষে শিরোপার স্বাদ পেয়েছে ঢাকা বিভাগ।

ঢাকা বিভাগের খেলোয়াড় ও কোচের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, এবার তাঁদের সাফল্যের মন্ত্র ছিল হাল না ছাড়া মানসিকতা। ঢাকা সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ২০১৩-১৪ মৌসুমে। মাঝের এই সময়টাতে চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলেও দলে দারুণ সমন্বয় তৈরি হয়েছিল। সেটির ফল এসেছে এ মৌসুমে। লম্বা সময় পর শিরোপা জয়ের নেপথ্যের কথা বললেন দলটির অধিনায়ক তাইবুর রহমান, ‘আগের বছরগুলোয় আমরা শিরোপার কাছাকাছি ছিলাম। (করোনার আগে) রানার্স আপও হয়েছি। আমাদের দলে বড় তারকা নেই ঠিক, তবে একাধিক ম্যাচ জেতানো খেলোয়াড় আছে। সেই সঙ্গে গত তিন-চার বছর ধরে আমরা একটা দল হয়ে খেলেছি। সবার মধ্যে বোঝাপড়াও দারুণ। এবার সেটিরই ফল পেয়েছি আমরা।’

ঢাকা যে দল হয়ে খেলেছে, সেটির প্রমাণ পরিসংখ্যানেই। লিগের সেরা পাঁচ ব্যাটার কিংবা উইকেটশিকারির তালিকায় ঢাকার খেলোয়াড়দের খুব একটা দাপট নেই। তাদের বোলারদের মধ্যে বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু ৬ ম্যাচে ৩২ উইকেট নিয়ে আছেন সেরা তিনে। ব্যাটারদের মধ্যে তাদের আব্দুল মজিদ ৬ ম্যাচে ৫২১ রান করে আছেন তিনে।

দলের সাফল্যের ব্যাখ্যায় ঢাকার কোচ আব্দুল করিম জুয়েল বললেন, ‘এবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পুরো কৃতিত্ব দেব ছেলেদের। সবাই নিজেদের উন্নতি করার চেষ্টা করেছে। নিজেদের ওপর বিশ্বাস ছিল। শেষ ম্যাচ পর্যন্ত ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং—তিন বিভাগেই ভালো করার মানসিকতা ধরে রেখেছিল। জৈব সুরক্ষাবলয়ের মধ্যে থেকে কাজটা সহজ ছিল না। তবু ছেলেরা একটা দল হয়ে খেলেছে। আর খেলাটাও তারা দারুণ উপভোগ করেছে।’
এবারও অবশ্য ঘরোয়া ক্রিকেটের উইকেট নিয়ে প্রশ্ন থেকে গেছে। বিসিবির এক নির্বাচকই দুই দিন আগে বলছিলেন, ‘আশরাফুল হ্যাটট্রিক করেছে, মিঠুন ইনিংসে ৭ উইকেট পেয়েছে। এতেই উইকেট নিয়ে ইতিবাচক কিছু বলা কঠিন!’ উইকেট নিয়ে ঢাকা কোচ জুয়েলের বিশ্লেষণ হচ্ছে, ‘জৈব সুরক্ষাবলয়ের কারণে সব মাঠে লিগ খেলা হয়নি। রাজশাহী, বগুড়া, কক্সবাজারে খেলা হলে প্রতিযোগিতা আরও জমে উঠত।’

Captureচট্টগ্রামের উন্নতি 
প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়াতে ২০১৫-১৬ মৌসুম থেকে জাতীয় লিগে চালু হয় দুই স্তর পদ্ধতি। গত ছয় বছর দ্বিতীয় স্তরে পড়ে থাকা চট্টগ্রাম এবার দারুণ খেলে উঠে এসেছে প্রথম স্তরে। এই উন্নতিতে দলের কোচ আফতাব আহমেদ খেলোয়াড়দের নিবেদনের কথা বললেন, ‘সবাই মন থেকে চেয়েছে এবার দলটা উঠুক (প্রথম স্তরে)। সবাই নিবেদিত ছিল। খেলার মান খারাপ ছিল না, শেষ ম্যাচের শেষ দিনের লাঞ্চের পর বোঝা গেছে কে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।’ আর চট্টগ্রাম অধিনায়ক ইরফান শুক্কুর কৃতিত্ব দিলেন বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হককে, ‘গত চার-পাঁচ বছর ধরে সৌরভ ভাই (মুমিনুল হক) দলটা তৈরি করছিলেন। শুরুতে অনেক তরুণ খেলোয়াড় ছিলেন। ধারাবাহিকতার অভাবে ফল আসছিল না। ফলটা এসেছে দলীয় প্রচেষ্টায়। এবার আমরা একটা দল হয়ে খেলেছি।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শেখ মুজিবকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ছাত্রদল নেতার পোস্ট, শোকজ পেয়ে নিলেন অব্যাহতি

সিলেটের ডিসি হলেন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে শাস্তি পাওয়া সারওয়ার আলম

আলাস্কা বৈঠকে পুতিনের দেহরক্ষীর হাতে ‘মলমূত্রবাহী স্যুটকেস’ কেন

অপারেশন সিঁদুরে নিহত প্রায় দেড় শ সেনার তালিকা প্রকাশ করে মুছে ফেলল পাকিস্তানি টিভি

আমরা দখল করি লঞ্চঘাট-বাসস্ট্যান্ড, জামায়াত করে বিশ্ববিদ্যালয়: আলতাফ হোসেন চৌধুরী

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত