Ajker Patrika

সয়াবিন তেলের দাম না কমায় ভোগান্তিতে মানুষ

মাদারীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ মার্চ ২০২২, ১২: ৫৫
সয়াবিন তেলের দাম না কমায় ভোগান্তিতে মানুষ

সয়াবিন তেলের দাম কমছেই না। খুচরা বাজারে দাম বেড়ে এখন প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে তেলের দাম বাড়ানোর অভিযোগ উঠেছে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে।

এদিকে সয়াবিন তেলের দাম বাড়তে থাকায়, মানুষ সরিষার তেলের দিকে ঝুঁকছেন। বাজারে সরিষার তেল বিক্রি হচ্ছে প্রতি লিটার ১৯০–২০০ টাকা দরে।

মাদারীপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে লিটার প্রতি ৮–১০ টাকা। ৫ লিটারের একটি বোতল গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৮০০ টাকায়। এ সপ্তাহে বাজার ভেদে ৯০০–৯৫০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে প্রতি লিটার ২০০ থেকে ২২০ টাকা। স্থানীয় বাজারের দোকানগুলোতে সয়াবিন তেলের সংকটও দেখা দিয়েছে। বেশির ভাগ দোকানেই বোতলজাত তেলের পর্যাপ্ত জোগান নেই বলে জানা গেছে।

মাদারীপুর শহরের পুরান বাজারে ক্রেতা আমজাদ হোসেন বলেন, ‘তেলের দাম কোনোভাবেই কমছে না। দিন দিন তেলের দামের সঙ্গে আর খাপ খাওয়াতে পারছি না। মাসে যা বেতন পাই, তা দিয়ে দুই সপ্তাহ বাজার করলেই টাকা শেষ হয়ে যায়। যে তেল আগে কিনছি ১১০ টাকা দিয়ে, সেই তেল এখন ২০০ টাকা। দ্রব্যের দাম বাড়লেও বেতন বাড়েনি। সবজির বাজারও চড়া।’

নতুন শহর এলাকার খাবার হোটেলের মালিক মিলন হোসেন বলেন, ‘আগে প্রতিদিন ২০ লিটার তেল লাগত, যা কিনতে হতো ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকায়। আর এখন সেই তেল কিনতে হচ্ছে তার দ্বিগুণ টাকা দিয়ে। এখন চার হাজার টাকা লাগে। ফলে আমাদের খাবারেরও দাম একটু বেড়েছে। খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায় কাস্টমারের সঙ্গে ঝামেলাও হচ্ছে। এভাবে চললে সামনে হোটেল বন্ধ করে দিতে হবে।’

মাদারীপুর বিসিকের বাচ্চু সরিষার তেল কারখানার মালিক মজিবর রহমান বাচ্চু বলেন, ‘আগে আমাদের তেল তুলনামূলকভাবে সয়াবিন তেলের চেয়ে কম বিক্রি হতো। কিন্তু ইদানীং সরিষার তেলের বিক্রি বেশি হচ্ছে। সরিষার মৌসুম হওয়ায় তেলের দামও কিছুটা কম। তাই পাইকাররা বেশি বেশি সরিষার তেল নিচ্ছেন। আমাদের বেচাবিক্রিও ভালো হচ্ছে।’

জেলা বাজার কর্মকর্তা বাবুল হোসেন বলেন, ‘প্রতি সপ্তাহে ২-৩ দিন আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করি। কোথাও কৃত্রিমভাবে দাম বাড়ানোর কথা শুনলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এ ছাড়া প্রতিদিনই বাজার মনিটরিং করা হয়। আর অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক রহিমা খাতুন বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ আদালত জেলার হাটবাজারগুলোতে তদারকি করছে। কোনো ব্যবসায়ী যেন পণ্য মজুত করে অতিরিক্ত দামে বিক্রি না করতে পারেন তা সার্বক্ষণিক নজরে রাখা হচ্ছে। আমরা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত