Ajker Patrika

এক লাখ মানুষের বাস নেই কোনো কবরস্থান

দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১০: ৩১
এক লাখ মানুষের বাস  নেই কোনো কবরস্থান

পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় পাঁচটি ইউনিয়নে প্রায় এক লাখ মানুষের বসবাস। কিন্তু এলাকায় নেই কোনো কবরস্থান ও শ্মশান। এ কারণে অনেকে বাড়ির উঠান বা আঙিনায় স্বজনদের কবর দেন। আর যাঁদের সেই জায়গাও নেই, তাঁদের পড়তে হয় চরম বিপাকে। উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে।

দুমকি উপজেলায় পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং শেখ হাসিনা সেনানিবাস থাকায় অনেকেই চাকরির সুবাদে এখানে বসবাস করে আসছেন। অনেক শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী দীর্ঘদিন এখানে চাকরি করার কারণে দুই-এক কাঠা জমি কিনে ঘর তুলে পরিবার-পরিজন নিয়ে থাকেন। অনেক স্থায়ী বাসিন্দাদেরও শুধু বসতভিটাই সম্বল। তাঁদের পরিবারের কেউ মারা গেলে মৃতদেহ নিয়ে তাঁদের পড়তে হয় চরম দুশ্চিন্তায়। কারণ, উপজেলায় কোনো সরকারি বা বেসরকারি কবরস্থান নেই। নেই কোনো শ্মশানও।

সরকারি জনতা কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার মতো অনেকেই আছেন, যাঁরা চাকরির সুবাদে দুমকিতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন। অনেকেই দুই থেকে তিন কাঠা জমি কিনে ঘর তুলে বসবাস করছেন। কিন্তু পরিবারের কেউ মারা গেলে তাঁকে কোথায় দাফন করব—এটা নিয়ে আমরা খুবই চিন্তিত। দুমকিতে একটি সরকারি বা বেসরকারি কবরস্থানের খুবই দরকার।’

শ্রীরামপুর ইউনিয়নের শান্তি রঞ্জন শীল বলেন, ‘আমার বয়স ৭০ বছর। জানি না আর কত দিন বাঁচব, খাওয়াদাওয়া, ঘুমানোর কোনো চিন্তা নেই। শুধু একটাই চিন্তা, মরার পরে কোথায় আমার লাশের শেষ ঠিকানা হবে?’

দুমকি উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি সুকুমার চন্দ্র দাস বলেন, ‘বিগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শংকর কুমার বিশ্বাস থাকার সময় কবরস্থান ও শ্মশান নিয়ে উপজেলার খাসজমি খুঁজে বের করে স্থাপন করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন। তিনি বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শনও করেছিলেন। তার মধ্যে পাতাবুনিয়ার একটি স্থান পরিদর্শন করে একটি রেজুলেশন করে রেখে গেছেন।’

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ হাওলাদার বলেন, ‘কবরস্থান করার মতো জমি পাওয়া যাচ্ছে না, আপনারা আমাকে জমি দেন আমি কবরস্থান করে দিব। তবে কারও দাফনে সমস্যা হলে আমার বাসার পাশে ওয়াকফকৃত কবরস্থান আছে, সেখানে দাফন করতে পারবেন।’

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হোসনে আরা বলেন, ‘দুমকিতে কোথায় খাসজমি আছে, তা খতিয়ে দেখে একটি কবরস্থান করার জন্য চেষ্টা করব।’

ইউএনও শাহাদাত হোসেন মাসুদ বলেন, ‘আমি দুমকিতে যোগদানের পরেই আমার কাছে মনে হয়েছে একটি কবরস্থান খুবই দরকার। এখানে যাতে সরকারিভাবে একটি কবরস্থান করা হয়, সে বিষয়ে আমি উদ্যোগ নেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

‘ঘুষের জন্য’ ৯১টি ফাইল আটকে রাখেন মাউশির ডিডি: দুদক

রাখাইনে মানবিক করিডর কি প্রক্সি যুদ্ধের ফাঁদ হবে, ভারত-চীন কীভাবে দেখবে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত