Ajker Patrika

ছেলেরা শিরোপা জিততে চায়

নাজিম আল শমষের
আপডেট : ০৭ মার্চ ২০২২, ১০: ৪৬
ছেলেরা শিরোপা জিততে চায়

প্রশ্ন: টুর্নামেন্টে আপনার লক্ষ্য কী থাকবে? 
গোবিনাথান কৃষ্ণমূর্তি: ফাইনাল খেললে শিরোপা জয়ের একটা সম্ভাবনা থাকবেই। আমার কথাই ধরুন, কুয়ালালামপুরে আমার বাড়িতে যেতে হলে আগে আমাকে মালয়েশিয়া যেতে হবে, তারপর আমি আমার বাড়িতে পৌঁছাব। ঠিক এভাবেই শিরোপাকে যদি নজরে রেখে এগোনো যায়, তাহলে বাকি রাস্তাটাও সহজ হয়ে যাবে। আর ছেলেরা অবশ্যই শিরোপা জিততে চায়।

প্রশ্ন: এএইচএফ কাপ টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে ইন্দোনেশিয়া এক বছর ধরে প্রস্তুত হয়েছে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আর এই টুর্নামেন্টের জন্য সব মিলিয়ে প্রস্তুতির জন্য আপনার দল সময় পেয়েছে এক মাসের মতো। সময়টা কি পর্যাপ্ত ছিল?
কৃষ্ণমূর্তি: যে সময় পেয়েছি, সেটা কাজ চালানোর মতো যথেষ্ট। এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে যে সময় পেয়েছিলাম, সেটির চেয়ে অন্তত বেশি সময় এবার পেয়েছি। তবে এটা সত্যি—আরেকটু বেশি সময় পেলে আরও কিছু করা যেত। যতটুকু পেয়েছি চেষ্টা করব সেরাটা বের করে আনার।

প্রশ্ন: চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভার‍ত-পাকিস্তান, কোরিয়ার মতো শক্তিশালী দলগুলোর বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা কতটা কাজে লাগবে?
কৃষ্ণমূর্তি: পুরোটাই কাজে লাগবে। দলে কজন নতুন খেলোয়াড় আছে। তরুণ-অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের ছন্দে ফিরতে এমন একটা টুর্নামেন্টে খেলার দরকার ছিল। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে আমরা ৪০ মাস আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে পারিনি। টুর্নামেন্টের পর আমরা বুঝতে পেরেছি আমাদের ঠিক কোথায়, কোথায় কাজ করা লাগবে।

প্রশ্ন: চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে প্রতিপক্ষ সব শক্তিশালী ছিল বলে আপনারা খেলেছেন রক্ষণাত্মক। এএইচএফ কাপেও কি কৌশলটা একই থাকবে?
কৃষ্ণমূর্তি: কিছু কিছু ম্যাচে আপনাকে আক্রমণ করতেই হবে। কিছু ম্যাচে আপনার কৌশল হবে রক্ষণাত্মক, সঙ্গে প্রতি আক্রমণ। ম্যাচের অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা। আমরা প্রথম ম্যাচটা খেলে ভিডিও বিশ্লেষণ করে ঠিক করব যে পরের ম্যাচগুলোয় আমরা কীভাবে খেলতে চাই।

প্রশ্ন: ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশকে দেখছেন। বাংলাদেশের শক্তির জায়গা কোনটি বলে আপনার মনে হয়?
কৃষ্ণমূর্তি: পেনাল্টি কর্নার। রক্ষণকেও আমি পাস মার্ক দেব। আমাদের কয়েকজন সাহসী খেলোয়াড় আছে। এরা চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দারুণ খেলেছে। ব্লক-পুল করতে এরা ভয় পায় না।

প্রশ্ন: আর দুর্বলতা?
কৃষ্ণমূর্তি: আমাদের গোল স্কোরিংয়ে সমস্যা আছে। গোল পেতে অনেক সময় লাগে। এই বিষয়টা নিয়ে আলাদা কাজ করেছি। এই সমস্যায় আমরা গত এশিয়ান গেমসেও ভুগেছি। গোল করার মানসিকতা থাকতে হবে। দারুণ একটা শট আপনি ভুলভাবে নিতে পারেন না। অবশ্য এই সমস্যা শুধু বাংলাদেশেরই না, বাকি দলগুলোরও আছে।

প্রশ্ন: আপনার ফরমেশনের মূল খেলোয়াড় কে?
কৃষ্ণমূর্তি: বাংলাদেশ একটা দল হয়ে খেলবে, যা কিছুই হোক না কেন। দিন শেষে সবাই দলের সদস্য। দল জিতুক বা হারুক—সবকিছুরই দায় সবাইকে সমান নিতে হবে। আমি চেয়েছি সবাইকে দায়িত্বটা সমানভাবে ভাগ করে দিতে। খেলোয়াড়দের বলতে চেয়েছি, এই দলটা পুরো বাংলাদেশের।

প্রশ্ন: দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ খেলোয়াড় হচ্ছেন রাসেল মাহমুদ জিমি। এবার দলে তাঁর ভূমিকাটা কী হতে পারে?
কৃষ্ণমূর্তি: জিমির মতো একজন খেলোয়াড় দলের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। তরুণদের চেয়ে অভিজ্ঞরা চাপটা সহজেই নিতে পারে। জিমির মতো একজন খেলোয়াড় লাগবে যে চাপটা অন্যের কাঁধ থেকে সরিয়ে নিতে পারবে। 

প্রশ্ন: খেলোয়াড়দের ফিটনেস নিয়ে কি আপনি সন্তুষ্ট?
কৃষ্ণমূর্তি: এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস ট্রফির তুলনায় অন্তত ভালো। এই মুহূর্তে কারও চোট নেই। তবে সবার ফিটনেস এখন পর্যন্ত ৭০-৮০ শতাংশ ঠিক আছে। মাত্র তিন সপ্তাহে কাউকে ১০০ শতাংশ ফিট করা সম্ভব নয়। এটা দীর্ঘমেয়াদি একটা প্রক্রিয়া। আমরা এতটা সময় পাইনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত