Ajker Patrika

শীতে কাবু চরাঞ্চলের মানুষ

মতলব উত্তর (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২১, ১৪: ৫৭
শীতে কাবু চরাঞ্চলের মানুষ

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা নদীর পশ্চিম পাড়ে ১০টি চরাঞ্চল রয়েছে। এসব অঞ্চলের বাসিন্দাদের প্রাকৃতিক দুর্যোগ এলেই চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। গত রোববার রাত থেকে ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীত পড়তে শুরু হওয়ায় চরাঞ্চলের মানুষ বিপাকে হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে নারী ও শিশুরা শীতে কাবু হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন এলাকার মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।

মতলব উত্তরের ফরাজীকান্দি, জহিরাবাদ, একলাশপুর ও মোহনপুর ইউনিয়নের এই চরগুলোতে প্রায় অর্ধলাখ মানুষের বসবাস। শ্রমিক, মজুর ও দৈনন্দিন খেটে খাওয়া মানুষের কাজকর্মেও ছন্দপতন ঘটেছে।

মেঘনা ও পদ্মার ভাঙনের শিকার হাজারো পরিবার অস্থায়ীভাবে ঘর তৈরি করে কোনো রকম বসবাস করছে চরাঞ্চলে। তবে সরকারিভাবে মতলব উত্তরে গুচ্ছগ্রাম তৈরি করা হয়েছে। সেগুলোতে গাছপালা কম হওয়ার কারণে রোদ, বৃষ্টি ও শীত সব মৌসুমেই কষ্টে দিনাতিপাত করে চরাঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত পরিবারগুলো।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চরাঞ্চলের মানুষ বেশির ভাগ কৃষি ও মৎস্য আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করে। যোগাযোগবিচ্ছিন্ন এলাকা হওয়ার কারণে চিকিৎসাসহ সরকারি অনেক সেবা থেকে বঞ্চিত থাকেন।

একলাশপুর ইউনিয়নের চরকাশিম এলাকার বাসিন্দা বজলুর রশীদ দেওয়ান বলেন, চরাঞ্চলের বেশির ভাগ মানুষ নিম্ন আয়ের। মানুষগুলো শীতে কাবু হয়ে গেছে। এখানকার মানুষকে শীত থেকে রক্ষা পেতে আগুন জালিয়ে ঘরের সামনে বসে থাকতে দেখা গেছে।

একই এলাকার আরেক বাসিন্দা করিম মিয়া জানান, হঠাৎ শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় অধিক কষ্টের মধ্যে এসব চরাঞ্চলের মানুষ। কারণ চরাঞ্চলে প্রাকৃতিক পরিবেশটা সুন্দর না থাকায়, অর্থাৎ গাছপালা কম হওয়ার কারণে কুয়াশা আর বাতাস দুটোই তাদের ছোট ছোট ঘরগুলোতে প্রভাব বিস্তার করে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজী শরিফুল হাসান বলেন, ‘সরকারিভাবে পাওয়া ৫ হাজার কম্বল প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে বিতরণ করা হয়েছে। চরাঞ্চলের শীতার্তদের আলাদাভাবে কিছু করতে পারলে ভালো লাগবে। আমি চেষ্টা করব তাদের শীত নিবারণের জন্য কিছু করতে। ইউনিয়ন পরিষদ তালিকা করে কম্বল বিতরণ করবে। তার পরও কেউ না পেলে যোগাযোগ করলে কম্বলের ব্যবস্থা করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত