Ajker Patrika

মানসম্মত শুঁটকি উৎপাদনে ২০০ কোটি টাকার প্রকল্প

মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার
আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২: ৩৩
মানসম্মত শুঁটকি উৎপাদনে ২০০ কোটি টাকার প্রকল্প

প্রতিবছর কক্সবাজারে দেশ-বিদেশ থেকে কয়েক লাখ পর্যটকের সমাগম হয়। বেড়ানোর পাশাপাশি এখানকার শুঁটকি পর্যটকের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকে। কিন্তু এ শুঁটকি স্বাস্থ্যসম্মত কি না, তা নিয়ে সন্দেহ ও অবিশ্বাস ছিল ক্রেতাদের। এ নিয়ে মৎস্য অধিদপ্তর ও পরমাণু শক্তি কমিশন দীর্ঘদিন নানা উদ্যোগ গ্রহণ করছে।

এসবের পাশাপাশি সরকার কক্সবাজারে কীটনাশকমুক্ত আধুনিক, মানসম্মত ও আন্তর্জাতিকমানের শুঁটকি উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছে। এ লক্ষ্যে শহরের অদূরে খুরুশকুল এলাকায় মৎস্য অধিদপ্তর ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি আধুনিক প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রকল্প গ্রহণ করেছে।

গত শনিবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম কক্সবাজার ফিশারি ঘাটে খুরুশকুলে গৃহীত আন্তর্জাতিকমানের শুঁটকি প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, ‘এই শুঁটকি প্রক্রিয়াজাত হবে আন্তর্জাতিকমান নির্ণয় করে। এখানে উৎপাদিত শুঁটকি দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা হবে। পর্যটকেরা সরাসরি শুঁটকিশিল্পে গিয়ে কিনতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে। এতে উৎপাদন বাড়ার পাশাপাশি বিপুলসংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান গড়ে উঠবে।’

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশে যে বৃহৎ ১০টি অগ্রাধিকার প্রকল্প রয়েছে, তার তিনটিই কক্সবাজারে। সরকার সমুদ্রসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার করে সুনীল অর্থনীতি এগিয়ে নিতে বেশ কিছু প্রকল্প হাতে নিয়েছে। পাশাপাশি পর্যটনশিল্পের উন্নয়নে ইতিমধ্যে কক্সবাজারের ব্যাপক উন্নয়ন দৃশ্যমান। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে কক্সবাজার একটি আধুনিক শহরে পরিণত হবে।’

এ ছাড়া মন্ত্রী শ্রিম্প হ্যাচারি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (শেব) ও মৎস্য অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণাধীন চকরিয়ার চিংড়িঘের মালিকদের সঙ্গে চিংড়ি চাষের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে মতবিনিময় করেন।

শেবের সভাপতি ও সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিকের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খন্দকার মাহবুবুল হক ও জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

দেশে সামুদ্রিক মাছ শুকিয়ে শুঁটকি তৈরির প্রধান কেন্দ্র কক্সবাজারের নাজিরারটেক। পাশাপাশি জেলার সমুদ্র উপকূলীয় উপজেলা ও বিভিন্ন দ্বীপে রয়েছে কয়েক শ শুঁটকি মহাল। এসব শুঁটকি মহালে মাছির উপদ্রব কমাতে ক্ষতিকর কীটনাশক মেশানোর অভিযোগও পুরোনো। দীর্ঘদিন কীটনাশকমুক্ত ও স্বাস্থ্যকর শুঁটকি উৎপাদনের চেষ্টা চালিয়ে আসছেন সংশ্লিষ্টরা।

এর মধ্যে শুঁটকি মহালে ক্ষতিকারক মাছির জন্মনিয়ন্ত্রণ করে বন্ধ্যা মাছি ছাড়া হয়েছে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে পরমাণু শক্তি কমিশনের গবেষণা প্রতিষ্ঠান খাদ্য ও বিকিরণ জীববিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের বিকিরণ কীটতত্ত্ব ও মাকড়তত্ত্ব বিভাগ।

এ প্রকল্পের প্রধান ড. এ টি এম ফয়েজুল ইসলাম বলেন, ‘এ পদ্ধতিতে বিষমুক্ত, নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর শুঁটকি উৎপাদনে কাজ চলছে। ইতিমধ্যে সোনাদিয়া দ্বীপে তার সাফল্য দেখা দিয়েছে।’

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের কক্সবাজারস্থ সামুদ্রিক মৎস্য ও প্রযুক্তিকেন্দ্রের প্রধান ড. শফিকুর রহমান বলেন, আধুনিক প্রক্রিয়ায় শুঁটকি উৎপাদন কয়েক গুণ বেড়ে যাবে। এটি হবে স্বাস্থ্যসম্মত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রীকে বিদেশ যেতে বাধা

‘মেয়েরা যেন আমার মরা মুখ না দেখে’, চিরকুট লিখে ঠিকাদারের ‘আত্মহত্যা’

ফরিদপুরে পালিয়ে যাওয়া আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার, থানার ওসিকে বদলি

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় ভারতের উদ্বেগ

সৌদি আরবের সঙ্গে ১৪২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির চুক্তি করে নিজের রেকর্ড ভাঙল যুক্তরাষ্ট্র

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত