Ajker Patrika

পুনঃসংস্কার কাজে অনিয়ম

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২১, ০৯: ৫৩
পুনঃসংস্কার কাজে অনিয়ম

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় একটি কমিউনিটি ক্লিনিকের ভবনের পুনঃসংস্কার কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের হেলাপুর ক্লিনিকের সংস্কারকাজ শেষ হতে না হতেই টাইলস উঠে গেছে। অন্যান্য কাজও নিম্নমানের হওয়ায় সেগুলো নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ।

সরেজমিনে হেলাপুর কমিউনিটি ক্লিনিক পরিদর্শন এবং স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, মৌলভীবাজার স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে হেলাপুর কমিউনিটি ক্লিনিকটি পুনঃসংস্কারে সাড়ে ৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কাজের দায়িত্ব পায় মো. জাহাঙ্গীর আলমের মালিকানাধীন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স শাওন এন্টারপ্রাইজ।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রায় দুই মাস আগে কাজ শুরু করে। কাজের মধ্যে ছিল ক্লিনিক ভবনের রং করা, ইলেকট্রিক, স্যানিটারি, ফ্লোর, দেয়াল ও বাথরুম টাইলস, দরজা-জানালা মেরামত, ভবনের ছাদে নেট ফেডেন স্টোনসহ পুরো ক্লিনিককে ব্যবহার উপযোগী করা।

ক্লিনিকের দায়িত্বরত হেলথ প্রোভাইডার তাহমিনা ওয়াহিদ বলেন, ফলস ছাদে যে পরিমাণ ফিটনেস দেওয়ার কথা ছিল, তা পরিমাণমতো দেওয়া হয়নি। ভবনের রং ঠিকমতো করা হয়নি। পুরোনো ভবনের রং করা দেয়াল থেকে রং না ছাড়িয়ে কোনো ধরনের ক্লিপিং ছাড়াই সামান্য সিমেন্ট ও বালুর পরিমাণ বেশি দিয়ে টাইলস লাগানো হয়। ফলে এক মাসের মাথায় মেঝে ও দেয়ালের টাইলস উঠে যাচ্ছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ও কমিউনিটি ক্লিনিকের সভাপতি মো. ফজলুর রহমান বলেন, ক্লিনিকের সংস্কারকাজের মান খুবই খারাপ। পরিমাণমতো সিমেন্ট না দিয়ে অতিরিক্ত বালু ব্যবহার করে টাইলস লাগানোর কারণে তা উঠে গেছে। এ কারণে স্থানীয় লোকজন কাজ বন্ধ করে দেন।

কাজে অনিয়মের বিষয়টি অস্বীকার করে মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমি সঠিকভাবে কাজ করেছি। কেউ যদি ইচ্ছে করে টাইলস তুলে নেয়, তাহলে আমি কী করব? কাজের জন্য আমার এক বছরের সিকিউরিটি জমা আছে। অনিয়ম হলে স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ সেটি দেখবে। কোনো অনিয়ম হলে আমি অবশ্যই তা মেরামত করে দেব।’

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক ফেরদৌস আক্তার বলেন, ‘পুনঃসংস্কার কাজে ঠিকাদারের অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছি। আমরা সরেজমিনে পরিদর্শন করে কাজে অনিয়মের সত্যতাও পেয়েছি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজটি সঠিকভাবে করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেনি। বিষয়টি জেলা সিভিল সার্জনকে জানিয়েছি।’

মৌলভীবাজার জেলা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মনিরুল হক বলেন, ‘কাজ বন্ধের বিষয়টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আমাদের জানিয়েছে। সরেজমিনে ক্লিনিকটি পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাজে কোনো অনিয়ম হলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাকা দিয়ে নারীর চাবুকের ঘা খাচ্ছিলেন পুরুষ, দুজন গ্রেপ্তার

মানবিক করিডর না ভূরাজনৈতিক কৌশল? সীমান্তে যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতায় উদ্বেগ

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে স্টারলিংকের প্রস্তাবিত কার্যক্রমের বিস্তারিত চায় ভারত

নির্দেশনা মানেননি পাইলট, মদিনা–ঢাকা ফ্লাইটকে নামতে হলো সিলেটে

ভারত–বাংলাদেশ বাণিজ্য বিধিনিষেধের মূল্য গুনছেন ব্যবসায়ীরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত