Ajker Patrika

মিষ্টি তৈরিতে বিষাক্ত রং ২ দোকানিকে জরিমানা

রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১১: ১৩
মিষ্টি তৈরিতে বিষাক্ত রং ২ দোকানিকে জরিমানা

চট্টগ্রামের রাউজানে প্রসিদ্ধ মিষ্টির দোকান হিসেবে পরিচিত ‘শ্যামা মিষ্টি ঘর’ ও ‘শাহেন শাহ মিষ্টি ভান্ডার’। এসব দোকানে দিনেই বিক্রি হয় প্রায় ৩০০ কেজি মিষ্টি। এলাকায় প্রসিদ্ধ হয়েও এই দুই দোকানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় অভিযোগ হলো, অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে মিষ্টি তৈরি করা এবং দাম বেশি রাখা হয়।

ক্রেতাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে উপজেলা সদর ইউনিয়নের রমজান আলী চৌধুরী হাটে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করেন।

অভিযান সূত্রে জানা গেছে, শাহেন শাহ মিষ্টি ভান্ডার ও শ্যামা মিষ্টি ঘর—দুটি দোকানে ময়লার স্তূপ ও আবর্জনার পাশেই মিষ্টি তৈরি করছে। দোকানের পরিবেশও নোংরা। অভিযানে শ্যামা মিষ্টি ঘরে পাওয়া যায় বিষাক্ত রং। যে রং মিশিয়ে তৈরি করা হয় জিলাপিসহ মিষ্টান্ন খাবার।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ। তিনি অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে মিষ্টি তৈরির কারণে শাহেন শাহ মিষ্টি ভান্ডারের মালিক মো. নাছিরকে ২০ হাজার টাকা এবং বিষাক্ত রং মিশিয়ে মিষ্টি ও জিলাপি তৈরির কারণে শ্যামা মিষ্টি ঘরের মালিক এম সি নাথকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

এ সময় সদর ইউপি চেয়ারম্যান বি এম জসিম উদ্দিন হিরু, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিয়াজ মোর্শেদ, প্রবেশ বড়ুয়া, ইউপি সদস্য শাহাবুদ্দিন, দিলীপ দেসহ পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এ প্রসঙ্গে জোনায়েদ কবির সোহাগ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে রমজান আলী চৌধুরী হাটে অভিযান পরিচালনা করেছি। এখানে দুটি মিষ্টির দোকানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি তৈরি করায় ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরও আজকের পত্রিাককে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে তাদের সতর্ক করা হয়েছে, যাতে এ ধরনের পরিবেশে মিষ্টি তৈরি না করা হয়। শ্যামা মিষ্টি ঘরের মালিক এম সি নাথ মিষ্টি ও জিলাপিতে বিষাক্ত রং মেশান, যা আমরা দেখতে পেয়েছি। তাঁকেও সতর্ক করা হয়েছে। এরপরও বিষাক্ত রংসহ নোংরা পরিবেশ থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত