Ajker Patrika

কনকনে শীতে ভোগান্তি

ঝালকাঠি প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ জানুয়ারি ২০২২, ১২: ৪৩
কনকনে শীতে ভোগান্তি

ঝালকাঠিতে পড়ছে কনকনে শীত। এতে গরিব মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। সকাল এবং সন্ধ্যায় খড় অথবা আবর্জনা পুড়িয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন ছিন্নমূলের শীতার্ত মানুষেরা। শীতবস্ত্র কেনা সামর্থ্যও নেই অনেকের।

বিষখালী নদীর তীরে আমেনা বেগম দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ। স্বামী নেই। থাকেন মেয়ের জামাইয়ের সঙ্গে। নিত্যপ্রয়োজনীয় চাহিদা মেটানোর পর শীত নিবারণের জন্য নেয় পর্যাপ্ত বস্ত্র। কান্না জড়ানো কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘কই পামু? জমাজমি সব ওই গাঙে লইয়া গ্যাছে। শীতের কাপড় আমারে কে দিবে? পুরোনো ছেঁড়া একটা সোয়েটার ছিল, সেটা পরি। পাতলা কাঁথা গায়ে জড়িয়ে থাকি।’

অতি প্রয়োজন ছাড়া বাড়তি খরচ করার সুযোগ নেই অসহায় শীতার্তদের। হাসিনা বেগমের নিচু ঘরে মাথার ওপরে থাকা টিনের চালা দিয়ে ক্রমাগত ঝরে শিশিরের ফোঁটা। আবার আবদুল আজিজ ঘরের সবগুলো কাঁথা একত্রিত করেও শীত নিবারণ করতে পারছেন না। এভাবেই নদী তীরবর্তী উপকূল অঞ্চলের হাজারো মানুষ এবারের তীব্র শীতে কাতর।

বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে শীতবস্ত্র দেওয়া হলেও তা এ সব মানুষের কাছে পৌঁছায় না। জানা গেছে, দরিদ্র শীতার্তদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ১৬ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ লাখ টাকায় ৪৬৮টি কম্বল বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের তহবিল থেকে ৩১ লাখ ৭৯ হাজার টাকার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাকা দিয়ে নারীর চাবুকের ঘা খাচ্ছিলেন পুরুষ, দুজন গ্রেপ্তার

মানবিক করিডর না ভূরাজনৈতিক কৌশল? সীমান্তে যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতায় উদ্বেগ

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে স্টারলিংকের প্রস্তাবিত কার্যক্রমের বিস্তারিত চায় ভারত

নির্দেশনা মানেননি পাইলট, মদিনা–ঢাকা ফ্লাইটকে নামতে হলো সিলেটে

ভারত–বাংলাদেশ বাণিজ্য বিধিনিষেধের মূল্য গুনছেন ব্যবসায়ীরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত