Ajker Patrika

প্রার্থী বাছাইয়ের খেসারত

দিনাজপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২১, ২২: ০৬
প্রার্থী বাছাইয়ের খেসারত

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর অবস্থান তৃতীয়। অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা সরাসরি নির্বাচনে অংশ না নিলেও সরকারদলীয় প্রার্থীর ফলাফল বিপর্যয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে এখানকার নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে। তাঁরা পরাজয়ের এ খেসারতের জন্য নির্বাচনের আগে মাঠ যাচাই না করে প্রার্থী নির্বাচনের কৌশলকে দায়ী করেছেন।

গত মঙ্গলবার ঘোড়াঘাট পৌরসভা নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতো মেয়র হয়েছেন পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুস ছাত্তার মিলন। আর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ইউনূছ আলী মণ্ডল ৩ হাজার ৩৭৬ ভোট পেয়ে রয়েছেন তৃতীয় অবস্থানে।

এ নিয়ে দলের ভেতর ও বাইরে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। কেউ বলছেন, এখানে জামাত-বিএনপির ভোট বেশি। কিন্তু নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হতে একক প্রার্থী দিয়েও পরাজিত হয়। তবে এ বিষয়ে নেতা-কর্মীর রয়েছে ভিন্নমত। কেউ বলছেন, দলের কিছু নেতা নৌকার বিপক্ষে কাজ করেছেন; কেউ বলছেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্বাচনে ভুল ছিল।

নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ইউনূছ আলী মণ্ডল একসময় উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর দলে যোগ দিয়ে নৌকার টিকিটে নির্বাচন করেন তিনি। তার দলে যোগ দেওয়াকে ভালো চোখে দেখেননি দলের পুরোনো নেতা-কর্মীরা। আর তাতেই ফল বিপর্যয়।

পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ভুট্টো বলেন, ‘দলের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা মীরজাফরদের কারণেই নৌকার পরাজয় হয়েছে। ইউনূস আলী মণ্ডল স্বতন্ত্র পদে নির্বাচন করে যে ভোট পেয়েছিলেন, নৌকা নিয়ে তার চেয়েও এবার তিনি কম ভোট পেয়েছেন। উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল কবির মিন্টু ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলামসহ দলের কিছু নেতা প্রকাশ্য ও গোপনে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করায় আমরা পরাজিত হয়েছি।’

অন্যদিকে অভিযুক্ত শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল কবীর মিন্টু তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি বর্তমানে অসুস্থ, আমার মা কয়েক দিন আগে মারা গেছেন। এবার আমি নির্বাচনে সময় দিতে পারিনি, তবে যে কয়েক দিন বের হয়েছি, নৌকা মার্কার পক্ষেই ভোট করেছি। তা ছাড়া নৌকার প্রার্থী অতীতে কৃষক দলের সভাপতি ছিলেন, পৌর সভাপতি হলেও দলে তিনি নতুন, তাঁর মনোনয়ন প্রবীণ নেতা-কর্মীরা মেনে নিতে পারেননি। তাই ফলাফল এমনটা হয়েছে।’

উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি পৌর নির্বাচন সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ হয়েছে জানিয়ে জেলহত্যা দিবসের অনুষ্ঠানে আছেন, পরে ফোন দেবেন বলে জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত