Ajker Patrika

টিকার আওতায় মাধ্যমিকের ১৮ হাজার শিক্ষার্থী

পুঠিয়া প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ জানুয়ারি ২০২২, ১৬: ৩২
টিকার আওতায় মাধ্যমিকের ১৮ হাজার শিক্ষার্থী

করোনা টিকার প্রথম ডোজের আওতায় এসেছে রাজশাহীর পুঠিয়ায় মাধ্যমিকের প্রায় ১৮ হাজার শিক্ষার্থী। তবে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা বলছেন, নানা কারণে অনেক শিক্ষার্থী টিকার প্রথম ডোজ থেকে বাদ পড়েছে। বিষয়টি দ্রুত নিরসন করার দাবি করেছেন অভিভাবকেরা।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় মোট ৪৮টি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। দাখিল মাদ্রাসা রয়েছে ১৪টি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রায় ২২ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। এই শিক্ষার্থীদের করোনা ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে সম্প্রতি সব শিক্ষার্থীর নামের একটি তালিকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেওয়া হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহে মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়ার কার্যক্রম শেষ হয়েছে। সব প্রতিষ্ঠান মিলে ১৭ হাজার ৮৫২ শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হয়েছে। আগামী এক মাস পর টিকার প্রথম ডোজ নেওয়া শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় ডোজ পাবে।

গতকাল শনিবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা টিকা না পাওয়া শিক্ষার্থীদের তালিকা নিয়ে এসেছেন। ওই শিক্ষকেরা বলছেন, টিকা গ্রহণের বিষয়ে তাঁরা সব শিক্ষার্থীকে আগেই অবগত করেছিলেন। কিন্তু কোনো কোনো শিক্ষার্থী ওই দিন টিকা ক্যাম্পিংয়ে হাজির না হওয়ায় তারা বাদ পড়ে। তাদের টিকার আওতায় আনতে চেষ্টা করা হচ্ছে।

আজাহার আলী এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক। তিনি বলেন, টিকা দেওয়ার আগের দিন তাঁর ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়ে। ফলে সে টিকা নিতে যায়নি। এখন শুনছেন, মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া শেষ হয়েছে। আবার টিকা নেওয়া ছাড়া শিক্ষকেরা ক্লাসে আসতে দেবেন না। এই মুহূর্তে বিষয়টি নিয়ে খুবই জটিলতায় পড়েছেন তিনি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন উইলিয়াম বলেন, ১২ থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীকে করোনা টিকার আওতায় আনা হয়েছে। সে লক্ষ্যে গত এক সপ্তাহ ইউনিয়নভিত্তিক কয়েকটি ক্যাম্পিং করা হয়। সেই ক্যাম্পিংয়ে শিক্ষার্থীদের প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হয়। তবে নানা জটিলতায় কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা টিকা পায়নি। বিষয়টি ওই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবহিত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আবদুল মতিন বলেন, ‘মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া কার্যক্রম প্রাথমিকভাবে শেষ হয়েছে। তবে শিক্ষা অফিসের দেওয়া তালিকা অনুসারে, দুই-চারজন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকার ফলে বাদ পড়তে পারে। বিষয়টি আমরা অবগত হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবহিত করা হয়েছে। নতুন করে আবার নির্দেশনা এলে বাদ পড়া শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত