Ajker Patrika

মুক্তিযুদ্ধ কোনো মুখস্থবিদ্যা নয়

জাহীদ রেজা নূর
মুক্তিযুদ্ধ কোনো মুখস্থবিদ্যা নয়

আমাদের মুক্তিযুদ্ধটা কোনো মুখস্থবিদ্যানির্ভর ছিল না। একটি ধারাবাহিক আন্দোলনের মাধ্যমেই মানুষ পৌঁছেছিল স্বাধিকারের দাবিতে। বাংলার মানুষ কিন্তু পাকিস্তান কায়েমের জন্য জীবন উজাড় করে দিয়েছিল। সেই বাংলার মানুষই পাকিস্তান কায়েমের কিছুদিনের মধ্যেই বুঝতে পেরেছিল, যে পথে চলেছে দেশ, তা ঔপনিবেশিক শাসনেরই পথ। শুধু শাসক বদল হয়েছে। ব্রিটিশদের জায়গায়, শোষকের জায়গায় এসেছে পশ্চিম পাকিস্তানি মুসলমানরা।

ইতিহাস এগিয়েছে এই দ্বন্দ্ব-সংঘাতের মধ্য দিয়ে। নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিকে কঠোর হাতে দমন করা শুরু করেছিল পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী এবং জন্মের এক দশকের মধ্যেই দেশে নিয়ে এসেছিল সামরিক শাসন। আইয়ুব খান হয়ে উঠেছিলেন সর্বেসর্বা। প্রবীণ রাজনীতিবিদদের রাজনীতির পথ সাময়িক বন্ধ করে দিয়েছিলেন মামলা-হামলার ভয় দেখিয়ে। কীভাবে আইয়ুববিরোধী আন্দোলন হলো, কীভাবে ছাত্র-জনতা জীবনকে বাজি রেখে আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে গেল, সে ইতিহাস বারবার বর্ণিত হয়েছে। ইতিহাস-সচেতন মানুষ সে কথা জানে।

এই ‘জানে’ শব্দটির সঙ্গেই আজ বোঝাপড়া হবে। কয়েকটি সাল এবং কয়েকটি নাম মুখস্থ করে রাখলেই কি মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করা যায়? তারই ভিত্তিতে কি নিজেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বলে প্রমাণ করা যায়? স্বাধীনতার অর্ধযুগ পার হয়ে যাওয়ার পরও ‘মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি’ এবং ‘মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি’ কেন থাকবে একটা দেশে? এ রকম আর কোনো দেশের নাম কি মনে পড়বে, যে দেশে ‘মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি’ অর্থাৎ দেশবিরোধী কোনো শক্তি আছে? এ প্রশ্নটি খুব জরুরি আজকের পরিপ্রেক্ষিতে।

দুই.‘মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের’ রাজনীতিবিদেরা মুখস্থ কয়েকটি সাল ও কয়েকটি নাম বা ঘটনার উল্লেখ করে বোঝাতে চান, এ দেশের ইতিহাস তিনি জানেন এবং জানেন বলেই এই ইতিহাসকে সঙ্গী করে রাজনীতি করার সব অধিকার তাঁর আছে। কিন্তু তিনি ভুলে যান, এই ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছিল একটি স্বপ্নের দেশ গড়ে তোলার জন্য। দেশের এই সংগ্রামী ইতিহাস জানা প্রত্যেক মানুষের কর্তব্য বটে, কিন্তু শুধু ইতিহাস রোমন্থনে দেশ এগিয়ে যায় না। দেশকে এগিয়ে নিতে হলে সময়োপযোগী পরিকল্পনা লাগে। যে যে সংকটের বিরুদ্ধে ছিল সংগ্রাম, সেই সংকটগুলো উপড়ে ফেলতে হয় রাষ্ট্রীয় জীবন থেকে। দেশপ্রেম বক্তৃতায় বা ইতিহাস-অধ্যয়নে সীমাবদ্ধ থাকে না, ব্যক্তিজীবনে, সমাজজীবনে, রাষ্ট্রীয় জীবনে তার প্রয়োগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ কথাটি বোঝার চেষ্টা করব আমরা ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কিছু ভাষণ থেকে এবং এখনই মনে করিয়ে দেব, ১৯৬৬ সালের মে মাসে গ্রেপ্তার হয়ে যাওয়ার পর একনাগাড়ে দীর্ঘ সময় যখন কারাগারে অবরুদ্ধ ছিলেন, তখনো ছয় দফার পক্ষে কতটা আন্তরিক ছিলেন বঙ্গবন্ধু। ‘কারাগারের রোজনামচা’য় তার প্রমাণ আমরা বারবার পাই।

কথাগুলো বলার সময় মনে রাখব, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ এবং তাদের খবর প্রচারে দৈনিক ইত্তেফাকের যে ভূমিকা, সে কথাগুলো স্মরণ না করলে ইতিহাস ঠিকভাবে উঠে আসে না। অনেকেই ইতিহাসচর্চা করার সময় ছয় দফা আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কালে ছাত্রলীগ ও ইত্তেফাকের ভূমিকাকে গৌণ করে তোলেন। মনে রাখা দরকার, সেই কঠিন সময়ে আওয়ামী নেতৃত্বের শীর্ষ পর্যায়ের প্রায় সবাইকে কারাগারে পুরে ফেলেছিল সরকার। ছাত্রলীগই এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল সেই আন্দোলন। নিষেধাজ্ঞা আসার আগপর্যন্ত ইত্তেফাকই দিয়েছিল তার ইতিবাচক প্রচার। সেই সময়ের অন্যান্য পত্র-পত্রিকার দিকে চোখ রাখলেও ইত্তেফাকের এই ভূমিকা প্রমাণিত হবে। প্রয়োজন ঠিকভাবে গবেষণা করা।

তিন. আমরা ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধুর ভাষণগুলোর আলোকেই আলোচনা করব। এর আগে বলে রাখা দরকার, পাকিস্তানের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো ১৯৬৬ সালের ২০ মার্চ পাকিস্তান মুসলিম লীগের কাউন্সিলে বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা দাবির তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি ছয় দফা নিয়ে বিতর্ক করতে উৎসুক।

আওয়ামী লীগ এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে। ২১ মার্চ পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদ ভুট্টোকে নিজ পছন্দ অনুযায়ী প্রদেশের যেকোনো স্থানে ২৭ মার্চ জনসভার আয়োজন করার আহ্বান জানান। ভুট্টো তাতে সাড়া দেননি। ১২ এপ্রিল ঢাকায় এসে ভুট্টো আবার চ্যালেঞ্জ ছোড়েন। বঙ্গবন্ধু এবারও সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন এবং ২৪ এপ্রিল পল্টন ময়দানে জনসমাবেশে সামনাসামনি আলোচনা করার জন্য ভুট্টোকে আহ্বান জানান। ভুট্টো জানান, ২৪ এপ্রিল নয়, ১৭ এপ্রিল তিনি বিতর্ক করতে প্রস্তুত আছেন।

রাজনৈতিক মহলেই শুধু নয়, সাধারণ জনগণের মধ্যেও এতে সাড়া পড়ে যায়। কিন্তু আগেরবারের মতোই এবারও ভুট্টো পিছু হটেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে যশোরে বঙ্গবন্ধু যে ভাষণ দেন, তা ছিল তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি বলেছিলেন, ভুট্টোর এই পশ্চাদপসরণ শুধু তাঁর একারই পরাজয় নয়, তা সামগ্রিকভাবে বর্তমান সরকারেরই পরাজয়। কেন্দ্রীয় সরকারের কেউই ছয় দফা প্রশ্নে সামনাসামনি দাঁড়াতে সক্ষম নন। আসলে ছয় দফার কাছে পাকিস্তানি সরকারের নৈতিক পরাজয় শুরু হয়ে গিয়েছিল এখান থেকেই। এর আগে মুসলিম লীগ ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন নেতা ছয় দফার সমালোচনা করেছিলেন বটে, কিন্তু ভুট্টোর এই পশ্চাদপসরণ মূলত ছয় দফার গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়ে দেয়।

চার. কেন ছয় দফা দেওয়া হলো—দেশের বিভিন্ন জায়গায় বক্তৃতাকালে বঙ্গবন্ধু তার ব্যাখ্যা করেন। ছয় দফার ব্যাপারে তিনি কতটা অঙ্গীকারবদ্ধ ছিলেন, তার প্রমাণ রয়েছে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের দীঘিরপাড়ে দেওয়া বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতায়। তিনি বলেছিলেন, ‘ছয় দফা দাবি উত্থাপনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের কেউ ব্যক্তিগত কোনো আকাঙ্ক্ষা চরিতার্থ করতে চায় না। সরকার যদি ছয় দফা মেনে নেয়, তবে আমি আদালতে হলফ করে লিখিত চুক্তি সম্পাদন করে আজীবন রাজনীতি থেকে অবসর গ্রহণে প্রস্তুত আছি।’ বঙ্গবন্ধু এই ভাষণ দিয়েছিলেন ১৯৬৬ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি।

এই প্রতিজ্ঞার একটি ইঙ্গিত আগেই পাওয়া যায় ২৫ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে দেওয়া এক ভাষণে। পাঠকদের মনে করিয়ে দেব, বঙ্গবন্ধুর বয়স তখন মাত্র ৪৬ বছর। সেই বয়সে ছয় দফার প্রবক্তা বলছেন, ‘আমরাও আজ বার্ধক্যের কোঠায় এসে পৌঁছতে চলেছি।নতুন দিগন্তে আজ আমরা নতুন মুখের দেখা পাচ্ছি। অন্তত এই নতুনদের জীবনকে যাতে আমরা বঞ্চনা ও নির্যাতনমুক্ত করে তাদের 
সুখ ও সমৃদ্ধির নিশ্চয়তার সন্ধান দিয়ে যেতে পারি, সে জন্যই আসুন, আমরা কোরবানির জন্য প্রস্তুত হই।’

এ তাহলে কিসের ইঙ্গিত? প্রস্তাবিত ছয় দফায়ই রয়েছে নতুন প্রজন্মের মুক্তির ইঙ্গিত। ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের সময় পুরো পূর্ব পাকিস্তান ছিল অরক্ষিত। সে কথা স্মরণ করে ২৬ মার্চ সন্দ্বীপে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘বিগত যুদ্ধের সময় দেখা গেছে, গোটা পূর্ব পাকিস্তানই সন্দ্বীপের মতো একটি দ্বীপ। সারা বিশ্বের সঙ্গে পূর্ব পাকিস্তানের কোনো সম্পর্ক ছিল না। বিগত ১৮ বছর প্রদেশের ওপর দিয়ে অত্যাচার ও শোষণের ঝঞ্ঝা বয়ে গেছে। শোষণ-জর্জরিত পূর্ব পাকিস্তানের সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষ আজ হৃতসর্বস্ব। দেশের রাজধানীর ওপর পূর্ব পাকিস্তানের কোনো কর্তৃত্ব নেই, মূলধনের ওপর কোনো এখতিয়ার নেই। তার ওপর সামরিক বাহিনীর তিনটি সদর দপ্তরই পশ্চিম পাকিস্তানে। পূর্ব পাকিস্তানের যথাযোগ্য প্রতিরক্ষাব্যবস্থাও নেই। তাই পূর্ব পাকিস্তানকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সর্বনাশের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য একটি নিরাপত্তা বাঁধের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।’

এই নিরাপত্তা বাঁধটি হলো ছয় দফা। ইঙ্গিতগুলো যে কেউ বুঝতে পারবে। বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামটি ছিল নিয়মতান্ত্রিক। সে কথা তিনি বারবার উল্লেখ করেছেন। গৃহযুদ্ধ বাধানোর কোনো মতলবি ধারণার বশবর্তী তিনি হননি। চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ২৭ মার্চ তিনি বলেছিলেন, ‘যদিও দেশের দায়িত্বশীল মহল থেকে (অর্থাৎ সরকারি মহল) গৃহযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হওয়ার ডাক পাওয়া গেছে, তবুও আমরা গৃহযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে রাজি নই। আমাদের সংগ্রাম শান্তিপূর্ণ। আমাদের ওপর আঘাত হানা হলে আমরা প্রত্যাঘাত করব না, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আঘাত সহ্য করব।’

খুবই গুরুত্বপূর্ণ এ কথা। নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের পক্ষে শেখ মুজিবুর রহমানের অবস্থানের কথাই তা প্রমাণ করে। কেন ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু সরাসরি স্বাধীনতার ঘোষণা করেননি, কেন ২৫ মার্চ ক্র্যাকডাউনের আগপর্যন্ত তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি, তার কারণও এ থেকে প্রস্ফুটিত হয়।

আরেকটি বক্তৃতার উদাহরণ দিচ্ছি। খুলনায় এই বক্তৃতা দিয়েছিলেন তিনি ১৭ এপ্রিল। বলেছিলেন, ‘হিন্দু ও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের জাঁতাকলে উপমহাদেশের দশ কোটি মুসলমান বিলুপ্ত হওয়ার উপক্রম হলেই পাকিস্তান দাবি উত্থাপিত হয় এবং মুসলমানরা পাকিস্তান কায়েম করে। আজ সাড়ে পাঁচ কোটি পূর্ব পাকিস্তানিকেও রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্তিত্ব রক্ষার জন্য ছয় দফা আদায় করতে হবে।’
অর্থাৎ হিন্দু, খ্রিষ্টান, মুসলমান, যখন যে সুযোগ পেয়েছে, তখনই সে শোষণ করেছে এই অঞ্চলের মানুষদের। সেই শোষণ থেকেই মুক্তি চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।

পাঁচ. তাহলে পরিষ্কারভাবে বলা দরকার, ছয় দফার মাধ্যমে এই অঞ্চলের মানুষের মুক্তির স্বপ্নই দেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু এবং নিয়মতান্ত্রিক পথেই আসবে সে মুক্তি, সেটাই ছিল তাঁর স্বপ্ন।দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বিদেশি শোষণের অবসান হলো ঠিকই, কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে কি পৌঁছাতে পারল দেশ? ঘুষ-দুর্নীতি, পেশিশক্তির ব্যবহার, ধর্মব্যবসা, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা থেকে কি মুক্তি মিলেছে আমাদের? অসাম্প্রদায়িকতা, জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র কি চলার পথের সঙ্গী হলো?

কেন মিলল না মুক্তি, তা নিয়েই তো ভাবতে হবে আমাদের এবং সেই ভাবনাকে সংহত করার জন্য বলি, এই যে ব্যাংকের পর ব্যাংক থেকে লোপাট হচ্ছে জনগণের টাকা এবং লুণ্ঠনকারীদের কেশাগ্র স্পর্শ করা যাচ্ছে না, তার ভেতরেও কি স্বাধীন রাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতাটা চোখে পড়ছে না?

এই লুণ্ঠনকারীদের বিচারের মুখোমুখি করা না গেলে শোষণ-মুক্তির পথ বহুদূরেই থেকে যাবে। তাতে মুখস্থবিদ্যারই জয় হবে, বাস্তব কোনো সদিচ্ছা না থাকায় জীবনে সমতা আনার পথ হবে ব্যাহত। শোষণ-বঞ্চনা থেকে মুক্তি পাবে না আপামর সাধারণ মানুষ।
বঙ্গবন্ধু যে ‘নিরাপত্তা বাঁধ’-এর কথা বলেছিলেন, সেই বাঁধটির খুব দরকার এখন।

লেখক: উপসম্পাদক, আজকের পত্রিকা

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শেখ মুজিবকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ছাত্রদল নেতার পোস্ট, শোকজ পেয়ে নিলেন অব্যাহতি

সিলেটের ডিসি হলেন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে শাস্তি পাওয়া সারওয়ার আলম

আলাস্কা বৈঠকে পুতিনের দেহরক্ষীর হাতে ‘মলমূত্রবাহী স্যুটকেস’ কেন

অপারেশন সিঁদুরে নিহত প্রায় দেড় শ সেনার তালিকা প্রকাশ করে মুছে ফেলল পাকিস্তানি টিভি

মুচলেকা দিয়ে ক্যাম্পাস ছাড়লেন আনন্দ মোহন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত