Ajker Patrika

পারভীনকে হত্যার পর ডোবায় ফেলেন স্বামী

ঝালকাঠি প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২১, ১৮: ১৯
পারভীনকে হত্যার পর ডোবায় ফেলেন স্বামী

ঝালকাঠি সদর উপজেলার বেরমহল গ্রামে পারভীন আক্তার নামের এক গৃহবধূকে তাঁর স্বামী তানজিল হাওলাদার হত্যার পর ডোবায় ফেলে দেন বলে দাবি পুলিশের। আসামি তানজিলকে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এসব বিষয় জানিয়েছেন ঝালকাঠি জেলা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সহকারী পুলিশ সুপার অরিত সরকার।

জানা যায়, ঝালকাঠি সদর উপজেলার বেরমহল গ্রামে স্বামীর বাড়ির পাশের একটি ডোবা থেকে গত ১৩ অক্টোবর গৃহবধূ পারভীন আক্তারের (২৪) মরদেহ উদ্ধার করে থানা-পুলিশ। তখন থেকেই পারভীনের স্বামী তানজিল হাওলাদার (২৬) পলাতক ছিলেন। ১৪ অক্টোবর ঝালকাঠি সদর থানায় একটি মামলা হয়। পরে ২ নভেম্বর হত্যার মামলার প্রধান আসামি তানজিল হাওলাদারকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি।

সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার অরিত সরকার আসামির স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে জানান, বেরমহল গ্রামের তানজিল হাওলাদার চলতি বছরের ১২ অক্টোবর রাত সাড়ে ১০টার দিকে স্ত্রী পারভীন আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ গোপন করে ঢাকায় পালিয়ে যান। তিনি স্ত্রীকে হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক শাহদাৎ হোসেনসহ ঝালকাঠির সিআইডি টিম ঢাকা সিআইডি টিমের সহায়তায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে গত ২ নভেম্বর তানজিলকে কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঝালকাঠি সিআইডির উপপরিদর্শক শাহদাৎ হোসেন বলেন, ‘আড়াই বছর আগে চাঁদপুর সদর উপজেলার জিন্নাত আলী মোল্লার মেয়ে পারভীন আক্তারের সঙ্গে ঝালকাঠি সদর উপজেলার বেরমহল গ্রামের তানজিল হাওলাদারের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ১ বছর ৮ মাস বয়সী এক মেয়ে রয়েছে। এক বছর ধরে পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে বিরোধ চলছিল পারভীনের। অভিযোগ রয়েছে, পারভীনের স্বামী তানজিল হাওলাদার ও শাশুড়ি সুলতানা বেগম প্রায়ই তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। গত ৯ অক্টোবর পারভীন অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় তাঁর মায়ের কাছে চলে যান। এরপর পারভীন জানতে পারেন, স্বামী তাঁকে তালাক দিয়েছেন। এ ঘটনার সত্যতা যাচাই করার জন্য তিনি ঝালকাঠি এসে স্বামীর বাড়ির পাশের একটি বাড়িতে ওঠেন। এরপর ১৩ অক্টোবর রাতে পারভীনের ফোনে কল দিয়ে তাঁকে বাইরে যেতে বলেন তানজিল। সে সময় বাড়ির পাশের খালি জায়গায় তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে পারভীনকে গলাটিপে হত্যা করে মরদেহ ডোবায় ফেলে পালিয়ে যান তানজিল।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত