Ajker Patrika

প্লাস্টিক বর্জ্যে হুমকিতে সাগরের জীববৈচিত্র্য

কক্সবাজার প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ জানুয়ারি ২০২২, ১০: ৪১
প্লাস্টিক বর্জ্যে হুমকিতে সাগরের জীববৈচিত্র্য

প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলাসহ নানাভাবে দূষণের শিকার বঙ্গোপসাগর। এসব কারণে আগামী ৩০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে সাগর ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা।

এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণে দেশের জনগণের মধ্যে সমুদ্র সংক্রান্ত জ্ঞান ছড়িয়ে দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন সমুদ্র বিজ্ঞানীরা। এ জন্য পাঠ্যপুস্তকে সমুদ্র সংক্রান্ত বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ তাঁদের।

গত বুধবার কক্সবাজারে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট (বুরি) মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা এ সব মতামত তুলে ধরেন। ‘সমুদ্র রক্ষা, পুনর্গঠন ও টেকসই ব্যবহারের জন্য সমুদ্র সাক্ষর জাতি গঠনের গুরুত্ব’ শিরোনামে ওই সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট ও বেসরকারি সংগঠন অক্টোফিন।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) সাঈদ মাহমুদ বেলাল।

আলোচনায় অংশ নেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও মৎস্য অনুষদের ডিন ড. রাশেদ উন নবী রাফি, নৌ-বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত চিফ হাইড্রোগ্রাফার শেখ মাহমুদুল হাসান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ওয়াহিদুল আলম, সহকারী অধ্যাপক ড. মো. সাইদুল ইসলাম সরকার ও ড. এনামুল হক, বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের কেমিক্যাল ওশানোগ্রাফি বিভাগের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবু সাইদ মোহাম্মদ শরিফ, ভূতাত্ত্বিক ওশানোগ্রাফি বিভাগের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকারিয়া, অক্টোফিনের ইসরাত জাহান, সানজিলা শারমীন, হৃষিকা বড়ুয়া, ইমরান ও জাহিন প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে, বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক সাঈদ মাহমুদ বেলাল বলেন, বর্তমানে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পাঠ্য পুস্তকে সমুদ্র সংক্রান্ত বিষয় পড়ানো হয় না। অনেকে সাগর দূষণ কথাটাও বোঝেন না এবং মানতেও চানা না। সিংহভাগ মানুষের মাঝে সমুদ্র সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই।

তিনি বলেন, দেশে সমুদ্র বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও গবেষকরাও এ পর্যন্ত সমুদ্রের বিশাল রহস্যের কিনারা করতে পারেননি। সবেমাত্র শতকরা ৫ ভাগ জানতে পেরেছে

সেমিনারে পরিবেশগত বিপর্যয়ের কারণে গত ২ বছর ধরে কক্সবাজার উপকূলে কাছিম আসছে না বলে জানান নেকমের ব্যবস্থাপক সমুদ্র বিজ্ঞানী আবদুল কাইয়ুম।

ড. ওয়াহিদুল আলম সাগরের পানিতে মাইক্রোবায়াল পলিউশন বা ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া দূষণ বেড়ে যাওয়ার কারণে পর্যটন শিল্পও হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফরিদপুরে পালিয়ে যাওয়া আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার, থানার ওসিকে বদলি

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় ভারতের উদ্বেগ

বিদায় বিশ্বের দরিদ্রতম প্রেসিডেন্ট

কাতারের রাজপরিবারের দেওয়া বিলাসবহুল বিমান না নেওয়াটা বোকামি: ট্রাম্প

সৌদি আরবের সঙ্গে ১৪২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির চুক্তি করে নিজের রেকর্ড ভাঙল যুক্তরাষ্ট্র

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত