রকিব হাসান নয়ন, মেলান্দহ (জামালপুর)
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার কাটাখালি নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় তীরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনে নদীর তীরবর্তী গ্রামের অনেকে ইতিমধ্যে বসতভিটা ও আবাদি জমি হারিয়েছেন। ভাঙনের মুখে বিএডিসির একটি সেচপাম্প।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলছেন, কাটাখালি নদী থেকে বালু উত্তোলন করতে সরকারিভাবে কাউকে কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি।
উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের বেলতৈল এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, বেলতৈল বাজারের পাশে কাটাখালি নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। বেলতৈল সেতুর পশ্চিম পাশে কাটাখালি নদী থেকে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন দুটি অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবাধে চলছে বালু উত্তোলন। নদী থেকে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে আমিত্তি এলাকাসহ ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকায়। এভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করতে থাকলে যেকোনো মুহূর্তে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, এলাকার প্রভাবশালী লোকজন নদী থেকে প্রায় পাঁচ-ছয় মাস ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। নদী থেকে বালু উত্তোলনের কোনো অনুমোদন দেয়নি সরকার।
এ বালুদস্যু চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে নদীতে ড্রেজার বসিয়ে বালু বিক্রি করে প্রতি মাসে কয়েক লাখ টাকার বালু বিক্রি করছে। নদী থেকে দিনরাত বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছে, নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় প্রতিবছর বন্যায় ফসলি জমি ভেঙে যাচ্ছে। বালু উত্তোলনের ফলে অনেক আগেই সেতুও ভেঙে গেছে। তাই নদীর তীরে ফসলি জমি ভাড়া করে রাস্তা বানিয়ে চলাচল করছে ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের দুই এলাকার লোকজন।
স্থানীয় কৃষক নাজির উদ্দিন বলেন, অনেক দিন ধরে নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে ইউনিয়নের কিছু বালু ব্যবসায়ী। বালু নদী থেকে তোলার ফলে প্রতিবছর বন্যায় ভেঙে যাচ্ছে জমি।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। কেউ কেউ মুখ খুললে পরে তাদের বিভিন্নভাবে হেনস্তা করে প্রভাবশালীরা। এর আগেও একবার আগুন লাগিয়ে ড্রেজার মেশিন পুড়িয়ে দিয়েছিল প্রশাসনের লোকজন। তার দুই দিন পর থেকেই আবারও বালু উত্তোলন শুরু হয়েছে।
আব্দুল্লাহ নাম এক ব্যক্তি জানান, অবৈধভাবে বালু তোলার কারণে নদী তার গতিপথ হারাচ্ছে। ফলে প্রতিবছর বর্ষায় নদীতে ফসলের জমি ভেঙে যাচ্ছে। বর্তমানে সরকারি একটি সেচপাম্পসহ ফসলের জমি হুমকির মুখে রয়েছে।
এলাকাবাসীর দাবি, অবিলম্বে এই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে হবে। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত থেকে কারা সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছে, সেটা তদন্ত করার দাবি জানান।
কাটাখালি নদীতে এক কিলোমিটারের মধ্যে অন্তত চারটি ড্রেজার মেশিন রয়েছে। এর একটির মালিক শহীদ মিয়া। তাঁকে বালু উত্তোলনের বিষয়ে জানতে ফোন দিলেও পাওয়া যায়নি।
ঘোষেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সাইদুল ইসলাম লিটু বলেন, যেখান থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে, মনে হয় সেটি ব্যক্তিগত জায়গা। তারপরও আমরা বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।’
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, খুব দ্রুত অভিযান পরিচালনা করা হবে। ওই নদীতে আগেও বালু উত্তোলনের ফলে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা হয়েছিল।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শফিকুল ইসলাম বলেন, নদী থেকে বালু উত্তোলনের জন্য কাউকে কোনো সরকারিভাবে অনুমতি দেওয়া হয়নি।
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার কাটাখালি নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় তীরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনে নদীর তীরবর্তী গ্রামের অনেকে ইতিমধ্যে বসতভিটা ও আবাদি জমি হারিয়েছেন। ভাঙনের মুখে বিএডিসির একটি সেচপাম্প।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলছেন, কাটাখালি নদী থেকে বালু উত্তোলন করতে সরকারিভাবে কাউকে কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি।
উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের বেলতৈল এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, বেলতৈল বাজারের পাশে কাটাখালি নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। বেলতৈল সেতুর পশ্চিম পাশে কাটাখালি নদী থেকে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন দুটি অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবাধে চলছে বালু উত্তোলন। নদী থেকে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে আমিত্তি এলাকাসহ ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকায়। এভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করতে থাকলে যেকোনো মুহূর্তে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, এলাকার প্রভাবশালী লোকজন নদী থেকে প্রায় পাঁচ-ছয় মাস ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। নদী থেকে বালু উত্তোলনের কোনো অনুমোদন দেয়নি সরকার।
এ বালুদস্যু চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে নদীতে ড্রেজার বসিয়ে বালু বিক্রি করে প্রতি মাসে কয়েক লাখ টাকার বালু বিক্রি করছে। নদী থেকে দিনরাত বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছে, নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় প্রতিবছর বন্যায় ফসলি জমি ভেঙে যাচ্ছে। বালু উত্তোলনের ফলে অনেক আগেই সেতুও ভেঙে গেছে। তাই নদীর তীরে ফসলি জমি ভাড়া করে রাস্তা বানিয়ে চলাচল করছে ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের দুই এলাকার লোকজন।
স্থানীয় কৃষক নাজির উদ্দিন বলেন, অনেক দিন ধরে নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে ইউনিয়নের কিছু বালু ব্যবসায়ী। বালু নদী থেকে তোলার ফলে প্রতিবছর বন্যায় ভেঙে যাচ্ছে জমি।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। কেউ কেউ মুখ খুললে পরে তাদের বিভিন্নভাবে হেনস্তা করে প্রভাবশালীরা। এর আগেও একবার আগুন লাগিয়ে ড্রেজার মেশিন পুড়িয়ে দিয়েছিল প্রশাসনের লোকজন। তার দুই দিন পর থেকেই আবারও বালু উত্তোলন শুরু হয়েছে।
আব্দুল্লাহ নাম এক ব্যক্তি জানান, অবৈধভাবে বালু তোলার কারণে নদী তার গতিপথ হারাচ্ছে। ফলে প্রতিবছর বর্ষায় নদীতে ফসলের জমি ভেঙে যাচ্ছে। বর্তমানে সরকারি একটি সেচপাম্পসহ ফসলের জমি হুমকির মুখে রয়েছে।
এলাকাবাসীর দাবি, অবিলম্বে এই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে হবে। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত থেকে কারা সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছে, সেটা তদন্ত করার দাবি জানান।
কাটাখালি নদীতে এক কিলোমিটারের মধ্যে অন্তত চারটি ড্রেজার মেশিন রয়েছে। এর একটির মালিক শহীদ মিয়া। তাঁকে বালু উত্তোলনের বিষয়ে জানতে ফোন দিলেও পাওয়া যায়নি।
ঘোষেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সাইদুল ইসলাম লিটু বলেন, যেখান থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে, মনে হয় সেটি ব্যক্তিগত জায়গা। তারপরও আমরা বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।’
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, খুব দ্রুত অভিযান পরিচালনা করা হবে। ওই নদীতে আগেও বালু উত্তোলনের ফলে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা হয়েছিল।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শফিকুল ইসলাম বলেন, নদী থেকে বালু উত্তোলনের জন্য কাউকে কোনো সরকারিভাবে অনুমতি দেওয়া হয়নি।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪