Ajker Patrika

সোহেলের শূন্য পদে প্রার্থী হতে চান স্ত্রী, ভাই ও স্বজন

কুমিল্লা প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ জানুয়ারি ২০২২, ১৩: ২৬
সোহেলের শূন্য পদে প্রার্থী হতে চান স্ত্রী, ভাই ও স্বজন

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সোহেল খুন হওয়ার পর মৃত্যুজনিত কারণে পদটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। এই ওয়ার্ডে সোহেলের উন্নয়নকাজ সমাপ্ত ও ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে কাজ করতে চান তাঁর স্ত্রী, ভাইসহ আরও অনেকে। ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে এরই মধ্যে নিজেদের জানান দিচ্ছেন তাঁরা।

তাঁদের মধ্যে নিহত সোহেলের স্ত্রী শাহনাজ আক্তার রোনা, ভাই যুবলীগ নেতা সৈয়দ রোমন, আওয়ামী লীগ নেতা হানিফ মাহমুদ, ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল, ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মো. জহিরুল ইসলামসহ অনেকে কাউন্সিলর প্রার্থী হতে চান।

নিহত সোহেলের অসমাপ্ত কাজ শেষ করাসহ একটি আধুনিক ওয়ার্ড গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতি নিয়ে মাঠে রয়েছেন তাঁরা। এ বিষয়ে নিহত কাউন্সিলর সোহেলের স্ত্রী শাহনাজ আক্তার রোনা বলেন, ‘একটি অবহেলিত ও অনুন্নত ওয়ার্ডে উন্নয়নকাজ করেছেন আমার স্বামী। আমার স্বামীর অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করে একটি মডেল ওয়ার্ড করতে চাই। ওয়ার্ডের উন্নয়ন বজায় রাখতে ওয়ার্ডবাসী আমাকে কাউন্সিলর হিসেবে চাচ্ছেন।’

জাপান শাখা আওয়ামী লীগের নেতা মো. হানিফ মাহমুদ বলেন, ‘আমার বাবা মরহুম ইদ্রিস মিয়া এই ওয়ার্ডে চারবার কমিশনার ছিলেন। তিনি অবহেলিত এ অঞ্চলের শিক্ষার আলো ছড়াতে, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত এলাকা গড়ার জন্য কাজ করে গেছেন। সবাইকে একটি সামাজিক বন্ধনে আবদ্ধ করে সুন্দর ওয়ার্ড গড়তে চাই।’

ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ মিয়া বলেন, ‘শুরুতেই এই ওয়ার্ডে আমার নির্বাচন করার কথা ছিল। কাউন্সিলর সোহেলকে সমর্থন দিয়ে আমি তখন করিনি।

ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আমার পরিবারে জনপ্রতিনিধি ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় আমিও মানুষের জন্য কাজ করতে চাই।’ নিহত কাউন্সিলর সোহেলের ছোট ভাই ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা সৈয়দ রোমন বলেন, ‘আমি সব সময় ভাইয়ের সঙ্গে থেকে ওয়ার্ডবাসীর সেবা করেছি। ভাইয়ের বিভিন্ন উন্নয়নকাজের তদারকি করেছি। ওয়ার্ডবাসীর দ্বারে দ্বারে গিয়েছি। ওয়ার্ডবাসীর চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আমি এই ওয়ার্ডে নির্বাচন করতে চাই।’

ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘মাদক ও সন্ত্রাসের প্রতিবাদ করতে গিয়ে খুন হন কাউন্সিলর সোহেল। আমি ওয়ার্ডের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত পরিচ্ছন্ন ওয়ার্ড করতে কাজ করতে চাই।’

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. সফিকুল ইসলাম বলেন, কাউন্সিলর সোহেল নিহত হওয়ায় এ পদটি শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। এই ওয়ার্ডে সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর নেহার বেগমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের সময় যেহেতু হয়েছে, তাই এই ওয়ার্ডে আর উপনির্বাচন হচ্ছে না। মূল নির্বাচনই হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত