Ajker Patrika

জামালপুরে সবজির বাম্পার ফলনে খুশি কৃষকেরা

জামালপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২১, ১৪: ৪৩
জামালপুরে সবজির বাম্পার ফলনে খুশি কৃষকেরা

জামালপুরের চরাঞ্চলে শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। উৎপাদিত সবিজ নিজ এলাকার পাশাপাশি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে। প্রতিদিন পাইকারেরা এসে সবজি কিনে গাড়িতে করে নিয়ে যাচ্ছে। সবজির দাম ভালো হওয়ায় খুশি কৃষকেরা। উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা বলছেন, কৃষকদের সব সময় খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। এবার কৃষকেরা অন্য বছরের তুলনায় বেশি লাভবান হবেন।

জানা গেছে, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নানা ধরনের সবজি তোলায় ব্যস্ত এই অঞ্চলের কৃষকেরা। শীতের শুরুতেই তাদের উৎপাদিত সবজির বিক্রি সবচেয়ে বেশি। আর এই সময়ে দামও ভালো পাওয়া যায়। জামালপুর জেলার ৬ উপজেলাসহ সদর উপজেলার চরাঞ্চলে প্রায় ৪ হেক্টর জমিতে নানা ধরনের সবজির আবাদ করেছেন স্থানীয় কৃষকেরা। এ বছর বন্যা না হওয়ায় আগে ভাগেই সবজি বাগান শুরু করা হয়েছে।

জামালপুর সদর উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের চরাঞ্চলের শরিফপুর, চরযর্থাথপুর, টেবিরচর, তুলশীরচর, টিকরাকান্দি, বারুয়ামারি, লক্ষ্মীপুরসহ ১৫টি ইউনিয়ন জুড়ে সবজির বাগান করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই সব বাগান থেকে বাজারে আসতে শুরু করেছে নতুন আলু, বেগুন, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাউ, করলা, ঝিঁঙ্গাসহ নানা সবজি। শীতের কুয়াশাচ্ছন্ন ভোর থেকেই কৃষকেরা খেতে সবজি তোলা শুরু করেন। খেতে বিভিন্নস্থান থেকে পাইকারেরা খেতে আসছেন সবজি কিনতে। দাম মিটিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সবজি। আবার অনেকেই বাজারে নিয়ে বিক্রি করছেন তাদের উৎপাদিত সবজি। এতে আরও বেশি লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। শীতের শুরুতে বাজারে বেগুন প্রতিকেজি ৪০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ টাকা, ফুলকপি ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি, নতুন আলু ১০০ টাকা কেজি, সিম ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সবজি চাষিরা জানিয়েছেন, প্রতিদিন স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে চরাঞ্চলের এই সবজি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে। এ বছর বন্যা না হওয়ায় প্রথম ধাপেই সবজির বাগান করেছেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা। তারা জানান, এর আগের বছর দফায় দফায় বন্যার পানিতে সবজির ক্ষতি হয়েছে। এ বছর সবজির বাগান করে যে খরচ হয়েছে শীতের শুরুতেই তার অর্ধেকটা উঠে গেছে। পুরো দুই মাস বিক্রি হবে এই সবজি। অন্যান্য ফসলের বাম্পার ফলনে কৃষকেরা খুশি হলেও এ বছর করলা চাষিরা পড়েছেন হতাশায়। এ বছর করলা চাষ করে ক্ষতির মুখে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকেরা।

করলা গাছে দেখা দিয়েছে অজানা রোগ। এই রোগে গাছের পাতা হলুদ ও কোঁকড়া হয়ে যাচ্ছে। তেমন ফলনও আসছে না। গত বছর যেখানে প্রতি বিঘায় করলা চাষ করে ২০ মন ফলন পাওয়া গেছে। এ বছর ২-৩ মন ফলন উঠছে। কৃষি অফিসের মাঠকর্মীরা এসে প্রয়োজনীয় কীটনাশক দিয়েও কোন সুরাহা করতে পারিনি।

চরযর্থাথপুরের কৃষক তাজুল বলেন, এ বছর ভালো ফলনের আশায় স্থানীয় বীজ ঘর থেকে বীজ এনে ৪০ শতাংশ জমিতে করলার বাগান করেছিলাম। ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে বাগান করতে। এখন ফলনের জোয়ার আসার কথা কিন্তু গাছের পাতা হলুদ হয়ে পাতাগুলো কোঁকড়া হয়ে গাছ মরে যাচ্ছে। করলা চাষি হেলাল শেখ বলেন, সোয়া এক বিঘা জমিতে চিচিঙ্গা ও করলার আবাদ করেছিলাম। এবার বন্যা না হওয়ায় বেশি ফলনের আশা ছিল। ৫০ হাজার টাকা খরচ করে এ পর্যন্ত ১০ হাজার টাকা বিক্রি করেছি। এই লোকসান কি দিয়ে মেটাবো বুঝতে পারছি না।

এ ব্যাপারে জামালপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলরুবা ইয়াসমিন বলেন, এ বছর চরাঞ্চলে শীতের সবজির বাম্পার ফলন পেয়ে কৃষকেরা। কৃষি অফিসের মাধ্যমে কৃষকদের খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। এবার কৃষকেরা অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি লাভবান হবে আশা করছি। করলা গাছে সমস্যার বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। যদি কৃষকেরা যোগাযোগ করে তাহলে দেখব।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পাকিস্তানে কীভাবে হামলা চালাতে পারে ভারত, ইতিহাস যা বলছে

জনবল-সরঞ্জাম বেশি হলেও সমরশক্তিতে ভারত কি পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে

প্রবাসীর রেমিট্যান্সের অর্থ আত্মসাৎ, নারী ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে

ইতিহাস গড়ে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদে আইএসআইপ্রধান

ভারতের সঙ্গে সংঘাতে পাকিস্তানের ভাগ্যনিয়ন্তা সেনাপ্রধান জেনারেল মুনির

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত