Ajker Patrika

দাকোপে ভয়াবহ নদীভাঙন

দাকোপ প্রতিনিধি
আপডেট : ১১ অক্টোবর ২০২১, ১৩: ১৫
দাকোপে ভয়াবহ নদীভাঙন

দাকোপে ভয়াবহ নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। গত শনিবার উপজেলার পানখালী ইউনিয়নের লক্ষ্মীখোলা গ্রামে ভদ্রা নদীতে দেখা দেয় এ ভাঙন।

এ ভাঙনে লক্ষ্মীখোলা থেকে মোজামনগর যাওয়ার রাস্তাটি বিলীন হতে চলেছে। এর ফলে বেড়িবাঁধ মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

জানা গেছে, ভদ্রা নদীর জোয়ারের পানির চাপে ক্ষতিগ্রস্ত ওয়াপদা রাস্তাটি মেরামত না করায় নদীভাঙন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।

নদীতে ইতিমধ্যে ওয়াপদা রাস্তার তিন ভাগের দুই ভাগ বিলীন হয়ে গেছে। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে বিভিন্ন যানবাহন। দ্রুত ভাঙনকবলিত স্থান মেরামত না করলে পানখালী ইউনিয়নের বেশির ভাগ এলাকা প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে এ অবস্থা হয়েছে বলে তাঁরা মনে করছেন।

পানখালী ইউনিয়নের লক্ষ্মীখোলা গ্রামের পিচের রাস্তার মাথায় নদীভাঙনকবলিত স্থানে গিয়ে দেখা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩১ নম্বর পোল্ডারে এর অবস্থান। লক্ষ্মীখোলা থেকে মোজামনগর যাওয়ার রাস্তাটি ভদ্রা নদীতে বিলীন হতে চলেছে। ওয়াপদা রাস্তার ২০০ ফুট নদীভাঙনে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

রাস্তার প্রায় তিন ভাগের দুই ভাগ নদীতে চলে গেছে। স্থানীয়ভাবে পাইলিং করে এবং জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু জোয়ারের পানি বাড়ার কারণে তা বিফলে যায়।

ফলে নদীভাঙন আরও মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। ঝুঁকিপূর্ণভাবে মানুষ, ভ্যান, মোটরসাইকেল চলাচল করছে। স্থানীয় বাসিন্দারা ভয়ে ভয়ে দিনাতিপাত করছেন। যেকোনো মুহূর্তে ওয়াপদা বাঁধ ভেঙে পানিতে প্লাবিত হতে পারে এলাকা। তাঁরা দ্রুত নদীভাঙনকবলিত স্থান মেরামতসহ টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।

ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সাইদুর রহমান সৌধ জানান, বেশ কয়েক দিন ধরে লক্ষ্মীখোলা পিচের মাথায় পাউবোর প্রায় ৫০০ ফুট ওয়াপদা বেড়িবাঁধ মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে।

কিছুদিন আগে ঝুঁকিপূর্ণ এক অংশে প্রায় ৫০ ফুট ওয়াপদার রাস্তা ভেঙে যায়। তখন পাউবো তার পাশ দিয়ে বিকল্প বাঁধ দেয়। এ ছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ পুরো ওয়াপদার পাশ দিয়ে বিকল্প বাঁধের কাজ শুরু করে পাউবো।

কিন্তু জমির মালিকেরা বাধা দেওয়ার কারণে বাঁধের নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে ওই স্থান মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বাঁধের বিভিন্ন অংশে দেখা দিয়েছে বড় বড় ফাটল এবং বাঁধ নদীতে দেবে যাচ্ছে।

দ্রুত বিকল্প বাঁধ না দিলে যেকোনো মুহূর্তে ভদ্রা নদীতে বিলীন হয়ে অনেক এলাকা প্লাবিত হতে পারে। আর এতে আমন ফসলসহ অসংখ্য মানুষের বাড়িঘরের অপূরণীয় ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সাইদুর রহমান।

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ ছাব্বির আহম্মেদ বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল আলম জানান, খুব শিগগির ঝুঁকিপূর্ণ ওয়াপদার পাশ দিয়ে বিকল্প বেড়িবাঁধের কাজ শুরু করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

‘ঘুষের জন্য’ ৯১টি ফাইল আটকে রাখেন মাউশির ডিডি: দুদক

রাখাইনে মানবিক করিডর কি প্রক্সি যুদ্ধের ফাঁদ হবে, ভারত-চীন কীভাবে দেখবে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত