Ajker Patrika

দেড় বছর পর ক্লাসে ফিরে উচ্ছ্বাস

জাবি প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২১, ১৬: ৩১
দেড় বছর পর ক্লাসে ফিরে উচ্ছ্বাস

করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘ ১৮ মাস পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে ক্লাস ও পরীক্ষা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে অফিস কার্যক্রম। এ সময় শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। নানা আয়োজনে শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের শতভাগ টিকা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী টিকা বুথ স্থাপন করা হয়।

তবে প্রথম বর্ষ (৪৯ ব্যাচ) ছাড়াই শুরু হয়েছে শ্রেণি কার্যক্রম। এর আগে ১১ অক্টোবর তাঁদের ছাড়াই খোলা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬টি আবাসিক হল।

শিক্ষার্থীরা বলেন, দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার অবসান হয়েছে। বন্ধুদের সঙ্গে নতুনভাবে আড্ডা জমেছে। অনেক দিনের জমানো গল্প বাকি রয়েছে। সেই সঙ্গে পড়াশোনার ঘাটতি পুষিয়ে নিতে শিক্ষকদের পরামর্শ পাচ্ছি। সব মিলিয়ে দারুণ একটি অনুভূতি। মনে হচ্ছে নতুন যুগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিন।

ইতিহাস বিভাগের স্নাতকোত্তর পর্বের শিক্ষার্থী নুরুজ্জামান শুভ বলেন, ‘আজকের এই দিনটি আমার শিক্ষাজীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন। করোনায় যখন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়েছিল, এই দিনটি আবার ফিরে আসবে এমনটা ভাবতে পারিনি। বিভাগকে অনেক ধন্যবাদ এই দিনটি উপহার দেওয়ার জন্য। আশা করি, এখন থেকে নিয়মিত সশরীরে ক্লাস করতে পারব।’

অন্যদিকে সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা চালু এবং হলে ওঠার দাবিতে মানববন্ধন করেন ৪৯ ব্যাচের (২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ) শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী এতে অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবারের মধ্যেই হলে ওঠানোর ঘোষণা দেওয়ার দাবি জানান। অন্যথায় তাঁরা কঠিন আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন।

মানববন্ধনে ইংরেজি বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী হামিদুল্লাহ সালমান বলেন, ‘অন্য সব ব্যাচ সশরীরে ক্লাস শুরু করতে পারলেও একমাত্র ৪৯ ব্যাচকে এখনো সশরীরে ক্লাস করতে দেওয়া হয়নি। এমনকি তাঁদের হলেও উঠতে দেওয়া হয়নি। এতে শিক্ষার্থীরা চরম বিপাকে পড়েছেন। একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।’

আরেক শিক্ষার্থী সালমান বলেন, ‘এই চরম মানসিক এবং অর্থনৈতিক অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে আমাদের হলে ওঠানোর বিকল্প নেই। আমি প্রশাসনের নিকট অনুরোধ করছি, শিগগির আমাদেরকে হল এবং ক্লাসে ফিরিয়ে নেওয়া হোক। নতুবা আমরা যেকোনো কঠোর অবস্থানের দিকে যেতে বাধ্য হব।’

মানববন্ধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল প্রভোস্ট কমিটির সভাপতি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষার্থীরা।

প্রভোস্ট কমিটির সভাপতি পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, ‘সিন্ডিকেটে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের এখনই হলে না ওঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা শিক্ষার্থীদের দাবি শুনেছি। আশা করছি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদেরকে হলে ওঠানো হবে। এ জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষ আবারও আলোচনায় বসবে। এরপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত