Ajker Patrika

শেষ মুহূর্তে ক্রেতা সমাগমে জমজমাট ঈদের বাজার

মাদারীপুর প্রতিনিধি
শেষ মুহূর্তে ক্রেতা সমাগমে জমজমাট ঈদের বাজার

ঈদের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। মাদারীপুরের বাজারগুলোতে সকাল থেকে গভীর রাত অবধি চলছে বেচাকেনা। শেষ মুহূর্তে মার্কেটগুলোতে ভিড় বাড়ায় দম ফেলার ফুরসত নেই দোকানিদের।

মাদারীপুরের পুরান বাজার, চরমুগরিয়া, মস্তফাপুর, ঘটকচরসহ অন্তত অর্ধশত শপিং মল কিছুটা দেরিতে হলেও ক্রেতা-বিক্রেতার পদচারণে মুখর হয়ে উঠেছে। রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট, রাজৈর বাজার, কালকিনির উপজেলার ভূরঘাটা, কালকিনি পৌর মার্কেটে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। একদিকে বিক্রেতারা নতুন নতুন পোশাক নিয়ে দোকান ভরপুর করছে, আর অন্যদিকে মার্কেটে ক্রেতারা ছুটছেন নিজ সাধ্যমতো পছন্দের পোশাক বাছাই করে কিনতে।

পুরানবাজারের বস্ত্র বিতানের মালিক শাহ্ আলম বলেন, ‘২০ রোজার পর থেকে কেনা বেচা একটু বাড়ছে। আর ২৫ রোজার পর সবচে বেশি কাপড়-চোপড় বেচা হচ্ছে। শিশু-কিশোরদের পোশাক বেশি বিক্রি হচ্ছে। যে কারণে অন্য সময়ের চেয়ে এখন বেশি ব্যস্ত সময় পার করছি।’ 
আরেক দোকানি বলেন, ‘পরপর দুই বছর করোনার কারণে তেমন বিক্রি হয়নি। এবার একটু ভালোই বিক্রি হচ্ছে। শেষ মুহূর্তে বিক্রি ভালো হওয়ায় বছরের অন্য সময়ের চেয়ে ভালো আছি। পাইকারি বাজারে দাম বেশি হওয়ায় খুচরা বাজারেও তার প্রভাব পড়ছে। এ কারণে ক্রেতাদের সঙ্গে মাঝে মাঝে ঝামেলা হয়।’

ঈদের নতুন পোশাক কিনতে আসার সাইদুর রহমান বলেন, ‘ঈদে নতুন পোশাক ছাড়া ভাবাই যায় না। তাই নিজের ও পরিবার পরিজন নিয়ে নতুন পোশাক কিনতে এসেছি। দাম একটু বেশি হওয়ায় বাজেটের বাইরে চলে যাচ্ছে। কিন্তু পরিবারের সদস্যদের তো নতুন ড্রেস দিতেই হয়।’ 
আল-করিম নামে আরেক ক্রেতা বলেন, ‘এবার দাম একটু বেশি। দুই বছর মার্কেটে মানুষ আসতে না পারায় এবার তার পুরোটাই উঠিয়ে নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। গরমের কারণে মার্কেটে ঢোকাই দায় হয়ে পড়েছে। তাও কিনতে এসেছি।’

মাদারীপুরের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, ‘প্রতিটি মার্কেটে পুলিশ মোতায়েন আছে। যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। ছিনতাই রোধে কঠোর অবস্থানে আছি।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

বিবাহিতদের পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশ না করার প্রস্তাব

বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তাঁর প্রেমিকাকে ধর্ষণ করলেন ছাত্রদল নেতা

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

পরিপাকতন্ত্রের ওষুধের পেছনেই মানুষের ব্যয় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত