Ajker Patrika

সুপারির ফলন ও দাম ভালো

ঝালকাঠি প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ নভেম্বর ২০২১, ১২: ৫৮
সুপারির ফলন ও দাম ভালো

ঝালকাঠিতে প্রচুর সুপারি উৎপাদন হয়েছে। অন্য বছরের তুলনায় এবারও ভালো দাম রয়েছে বলে জানা গেছে। রাজাপুর উপজেলা সদরের বাঘরী বাজার ও সাতুরিয়া ইউনিয়নের লেবুবুনিয়া বাজার, কাঠালিয়া উপজেলার বিনাপানি ও আমুয়া সুপারির হাট ঘরে এই তথ্য জানা গেছে।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রংপুর-দিনাজপুরসহ উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে যায় ঝালকাঠির সুপারি। সামান্য মূলধন নিয়ে সুপারির ব্যবসা করে দক্ষিণাঞ্চলের অসংখ্য মানুষের সংসারে সচ্ছলতা ফিরেছে।

লেবুবুনিয়া হাটের সুপারি ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘শীতকালে মোগো বেচাকেনা ভালো হয়। এফিরগো ফলন ভালো, দামও ভালো। আইজগো ৩০০ টাহা হইররা কুড়ি চলে।’

এই হাটের আরেক ব্যবসায়ী সালাম খান বলেন, ‘রংপুর ও দিনাজপুরে আমাগো সুপারি যায়। কিন্তু এ বছর পাশের জেলা পিরোজপুরে ফলন বেশি হওয়ায় অনেক পাইকার ওই দিকের হাটে গেছে। আইজগো মুই মাঝারি আকারের কাঁচা সুপারি ৩৩০ টাহা হইররা কুড়ি বেচছি।’

হাটগুলো ঘুরে জানা গেছে, সুপারি গণনার হিসেবটা একটু ভিন্ন। হাটে গিয়ে প্রথমে সুপারির দাম জানতে চাইলে বিক্রেতারা জানান, ৩০০ টাকা কুড়ি। এতে অবাক হওয়ারই কথা। কিন্তু সুপারি ক্রেতা আনিস হাওলাদার বলেন, ‘সুপারি গণনার হিসেবটা অন্য রকম। এখানে ২১০টা সুপারিকে এক কুড়ি বলা হয়।’

ঝালকাঠি স্টেশন সড়কের সুপারি ব্যবসায়ী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘দাম একটু কম পেয়েছি বিধায় পাশের জেলা পিরোজপুরের কাউখালী থেকে আমি আজকে ১০ হাজার সুপারি কিনে এনেছি। মাঝারি ও বড় দুই আকারের প্রতিটি ১ টাকা ৪০ পয়সা হারে ১০ হাজার সুপারির দাম পরেছে ১৪ হাজার টাকা। এটি এখন সংরক্ষণ করে রাখব, দাম যখন বাড়বে তখন বিক্রি করব।’ রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া গ্রামের রমজান আলী জানান, কোনো প্রকার ব্যয় ছাড়াই সুপারিতে অধিক আয়ের সুযোগ রয়েছে। তিনি তাঁর বসতভিটার ৭০টি সুপারি গাছ থেকে প্রতি বছর সুপারি বিক্রি করে ৩০ থেকে ৩২ হাজার টাকা আয় করছেন।

সুপারি ব্যবসায়ী নুর উদ্দিন জানান, তিনি অল্প পুঁজি নিয়ে কাঁচা-পাকা সুপারি বেচাকেনা করেন। হাট থেকে পাইকারি দরে সুপারি কিনে কাঁচা সুপারি খিলি পানের দোকানে বিক্রি করেন। আর পাকা সুপারিগুলো মাটিতে পুঁতে রেখে সেগুলো মজিয়ে ৫ মাস পর তুলে অধিক মূল্যে বিক্রি করে থাকেন।

লেবুবুনিয়া এলাকার সুপারি বিক্রেতা আমজেদ শিকদার জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে সুপারির ব্যবসা করছেন। ফলন মৌসুমের আগে সুপারির বাগান কিনে রাখেন, পরবর্তীতে গাছে সুপারি ধরার পর তা বিভিন্ন স্থানের পাইকারদের কাছে বিক্রি করেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ঝালকাঠি খামার বাড়ির উপপরিচালক ফজলুল হক বলেন, ‘রাজাপুর ও কাঠালিয়া উপজেলায় সুপারির ফলন বেশি হয়। এই ফলটি উৎপাদনে গাছ মালিকদের পরিশ্রম করতে হয় না। ফলনের পর বিক্রি করতেও ঝামেলা কম, তাই রাজাপুর ও কাঠালিয়া অঞ্চলে সুপারি ব্যবসায় জড়িত অধিকাংশ গৃহস্থ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রীকে বিদেশ যেতে বাধা

‘মেয়েরা যেন আমার মরা মুখ না দেখে’, চিরকুট লিখে ঠিকাদারের ‘আত্মহত্যা’

ফরিদপুরে পালিয়ে যাওয়া আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার, থানার ওসিকে বদলি

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় ভারতের উদ্বেগ

কাতারের রাজপরিবারের দেওয়া বিলাসবহুল বিমান না নেওয়াটা বোকামি: ট্রাম্প

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত