নিজস্ব প্রতিবেদক ও কক্সবাজার প্রতিনিধি
‘আমাদের তিন তলার একটি কক্ষে রাখা হয়েছে। আমরা দুপুরে খাইনি। এখান থেকে চলে যেতে চাই। কিন্তু (পুলিশ) আমাদের যেতে দিচ্ছে না। চার দিন ধরে গোসল করিনি। এখন বাচ্চার মরার অবস্থা হয়ে গেছে। আমরা তিনজনই বর্তমানে অসুস্থ হয়ে গেছি।’
কক্সবাজারে ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগী নারীর স্বামী গতকাল নিজেদের বর্তমান অবস্থা জানালেন এভাবেই। নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বলে তিন দিন ধরে তাঁদের নিজেদের কার্যালয়ের একটি কক্ষে রেখেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
গতকাল ভুক্তভোগী নারী ও তাঁর স্বামীর সঙ্গে কথা বলতে এই প্রতিবেদক সেখানে গেলে ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি জিললুর রহমান জানান, তাঁদের সঙ্গে কথা বলা যাবে কি না, সেটি পরে জানানো হবে। অনেকক্ষণ সেখানে অপেক্ষার পরও ভুক্তভোগী নারী ও তাঁর স্বামীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলার অনুমতি মেলেনি। পরে পৌনে চারটার দিকে মামলার বাদী ধর্ষণের শিকার নারীর স্বামীর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হয় এই প্রতিবেদকের।
ধর্ষণের শিকার নারী ও তাঁর স্বামী পুলিশ বা আদালতের কাছে তাঁদের নিরাপত্তার অংশ হিসেবে পুলিশের হেফাজতে রাখার বিষয়ে কোনো আবেদন
করেননি বলে নিশ্চিত করেছেন ট্যুরিস্ট পুলিশের সুপার জিললুর রহমান ও ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ। এরপরও কেন তাঁদের এভাবে আটকে রাখা হয়েছে—জানতে চাইলে জিললুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভুক্তভোগী নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা পুলিশের দায়িত্ব। আর তাঁর স্বামী এই মামলার বাদী। বাদী মানে কিন্তু সাক্ষী। সেই হিসেবে আমরা তাঁদের সুরক্ষা দিচ্ছি। মামলাকে প্রমাণ করতে হলে তাঁর (বাদী) সর্বোচ্চ সহায়তা দরকার। সে জন্য তাঁদের আমাদের কাছে রাখা হয়েছে।’
ঘটনার পর পুলিশের বক্তব্যে ভুক্তভোগী নারীকে দোষী বানানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল। তবে গতকাল ওই নারীর জবানবন্দির কপি হাতে পাওয়ার পর অবশ্য কিছুটা সুর নরম হয়েছে তাদের। গতকাল জিললুর রহমান বলেন, ‘ওই নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, এ বিষয়ে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই। তবে তাঁকে পর্যটক বলাতেই আমাদের আপত্তি।’
পর্যটক বলতে আপত্তি কেন—এমন প্রশ্নে ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি বলেন, ‘চাকরি কিংবা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য ছাড়া যখন কোনো দর্শনীয় স্থান পরিদর্শনে আসেন, কিছু সময় অতিবাহিত করেন, তখন তিনি পর্যটক। তবে ওই নারী তিন মাস ধরেই কক্সবাজারে অবস্থান করছেন। সে জন্য আমরা তাঁকে পর্যটক বলতে চাইছি না।’
ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে স্বামী ও সন্তানসহ কক্সবাজারে বেড়াতে যান ওই নারী। গত বুধবার দিবাগত রাতে কক্সবাজার শহরের লাবণী পয়েন্ট থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে দুই দফায় দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করেন তিন যুবক। পরে র্যাব তাঁদের উদ্ধার করে। গত শুক্রবার ওই নারী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
ধর্ষণের ঘটনার পর তিন দিন পেরিয়ে গেলেও গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রধান আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। গ্রেপ্তার একমাত্র আসামি ছোটনকে গতকাল বিকেলে কক্সবাজার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হামিমুন তাসনিমের আদালতে হাজির করেন তদন্ত কর্মকর্তা ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক রুহুল আমিন। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার মূল আসামিদের এখনো ধরতে না পারার বিষয়ে জিললুর রহমান বলেন, ‘আসামিদের ছবি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে গেছে। এখন মনে হয় সবার ফোনে তাঁদের ছবি আছে। এ কারণে আসামিরা সতর্ক হয়ে গেছেন। জায়গা পরিবর্তন করছেন। আমরা যৌথভাবে তাঁদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছি। আশা করছি শিগগির তাঁদের ধরতে পারব।’
‘আমাদের তিন তলার একটি কক্ষে রাখা হয়েছে। আমরা দুপুরে খাইনি। এখান থেকে চলে যেতে চাই। কিন্তু (পুলিশ) আমাদের যেতে দিচ্ছে না। চার দিন ধরে গোসল করিনি। এখন বাচ্চার মরার অবস্থা হয়ে গেছে। আমরা তিনজনই বর্তমানে অসুস্থ হয়ে গেছি।’
কক্সবাজারে ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগী নারীর স্বামী গতকাল নিজেদের বর্তমান অবস্থা জানালেন এভাবেই। নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বলে তিন দিন ধরে তাঁদের নিজেদের কার্যালয়ের একটি কক্ষে রেখেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
গতকাল ভুক্তভোগী নারী ও তাঁর স্বামীর সঙ্গে কথা বলতে এই প্রতিবেদক সেখানে গেলে ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি জিললুর রহমান জানান, তাঁদের সঙ্গে কথা বলা যাবে কি না, সেটি পরে জানানো হবে। অনেকক্ষণ সেখানে অপেক্ষার পরও ভুক্তভোগী নারী ও তাঁর স্বামীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলার অনুমতি মেলেনি। পরে পৌনে চারটার দিকে মামলার বাদী ধর্ষণের শিকার নারীর স্বামীর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হয় এই প্রতিবেদকের।
ধর্ষণের শিকার নারী ও তাঁর স্বামী পুলিশ বা আদালতের কাছে তাঁদের নিরাপত্তার অংশ হিসেবে পুলিশের হেফাজতে রাখার বিষয়ে কোনো আবেদন
করেননি বলে নিশ্চিত করেছেন ট্যুরিস্ট পুলিশের সুপার জিললুর রহমান ও ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ। এরপরও কেন তাঁদের এভাবে আটকে রাখা হয়েছে—জানতে চাইলে জিললুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভুক্তভোগী নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা পুলিশের দায়িত্ব। আর তাঁর স্বামী এই মামলার বাদী। বাদী মানে কিন্তু সাক্ষী। সেই হিসেবে আমরা তাঁদের সুরক্ষা দিচ্ছি। মামলাকে প্রমাণ করতে হলে তাঁর (বাদী) সর্বোচ্চ সহায়তা দরকার। সে জন্য তাঁদের আমাদের কাছে রাখা হয়েছে।’
ঘটনার পর পুলিশের বক্তব্যে ভুক্তভোগী নারীকে দোষী বানানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল। তবে গতকাল ওই নারীর জবানবন্দির কপি হাতে পাওয়ার পর অবশ্য কিছুটা সুর নরম হয়েছে তাদের। গতকাল জিললুর রহমান বলেন, ‘ওই নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, এ বিষয়ে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই। তবে তাঁকে পর্যটক বলাতেই আমাদের আপত্তি।’
পর্যটক বলতে আপত্তি কেন—এমন প্রশ্নে ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি বলেন, ‘চাকরি কিংবা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য ছাড়া যখন কোনো দর্শনীয় স্থান পরিদর্শনে আসেন, কিছু সময় অতিবাহিত করেন, তখন তিনি পর্যটক। তবে ওই নারী তিন মাস ধরেই কক্সবাজারে অবস্থান করছেন। সে জন্য আমরা তাঁকে পর্যটক বলতে চাইছি না।’
ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে স্বামী ও সন্তানসহ কক্সবাজারে বেড়াতে যান ওই নারী। গত বুধবার দিবাগত রাতে কক্সবাজার শহরের লাবণী পয়েন্ট থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে দুই দফায় দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করেন তিন যুবক। পরে র্যাব তাঁদের উদ্ধার করে। গত শুক্রবার ওই নারী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
ধর্ষণের ঘটনার পর তিন দিন পেরিয়ে গেলেও গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রধান আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। গ্রেপ্তার একমাত্র আসামি ছোটনকে গতকাল বিকেলে কক্সবাজার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হামিমুন তাসনিমের আদালতে হাজির করেন তদন্ত কর্মকর্তা ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক রুহুল আমিন। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার মূল আসামিদের এখনো ধরতে না পারার বিষয়ে জিললুর রহমান বলেন, ‘আসামিদের ছবি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে গেছে। এখন মনে হয় সবার ফোনে তাঁদের ছবি আছে। এ কারণে আসামিরা সতর্ক হয়ে গেছেন। জায়গা পরিবর্তন করছেন। আমরা যৌথভাবে তাঁদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছি। আশা করছি শিগগির তাঁদের ধরতে পারব।’
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৬ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৭ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৭ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫