Ajker Patrika

চার্লি চ্যাপলিন

সম্পাদকীয়
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২: ২৩
চার্লি চ্যাপলিন

চার্লি চ্যাপলিন একাধারে ছিলেন অভিনেতা, পরিচালক, চিত্রনাট্যকার ও সংগীতকার। এমনকি চেলো, বেহালা ও পিয়ানো বাজানোতেও ছিলেন সিদ্ধহস্ত। এসব শিখেছিলেন কোনো গুরুর দীক্ষা ছাড়াই! প্রতিটি ছবির সংগীত রচনা করেছেন নিজে। কোনো ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা তাঁর ছিল না।

তিনি লন্ডনের এক বস্তিতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর মা-বাবা দুজনই ছিলেন থিয়েটার মঞ্চের গায়ক-গায়িকা। গান গেয়ে তাঁরা যে সামান্য আয় করতেন, তা দিয়ে কোনো রকমে সংসার চলত। একসময় তাঁদের বিচ্ছেদ হয়।

দুস্থ শিশুদের স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষালাভ করেন চার্লি। সাত বছর বয়সেই আয়-রোজগারে নামতে হয় তাঁকে। নয় বছর বয়স থেকে মঞ্চে কৌতুকশিল্পী হিসেবে প্রতিভার পরিচয় দিতে থাকেন। ১৯১০ সালে ‘ফ্রেড কার্নো’ থিয়েটার কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যান শো করতে। একুশ মাসের ট্যুর শেষে ১৯১২ সালে ইংল্যান্ডে ফিরে এলেও তাঁর প্রতিভা তাঁকে আবার টেনে নিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্রে। নিউইয়র্ক মোশন পিকচার কোম্পানির দাওয়াতে প্রবেশ করেন হলিউডে। সেখানেই ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন চলচ্চিত্র জগতের রাজা।

১৯২০ সালের শেষ দিকে তিনি সিটি লাইটস (১৯৩১), মডার্ন টাইমস (১৯৩৬), দ্য গ্রেট ডিকটেটর (১৯৪০), লাইমলাইট (১৯৫০) প্রভৃতি চমৎকার সব সিনেমা নির্মাণ করে চলচ্চিত্রপ্রেমীদের আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন। অভিনয়ও করেছেন এসব সিনেমায়। দর্শকেরা তাঁর চমৎকার ও অতুলনীয় হাস্যরসের উদ্রেককারী অভিনয়ে মুগ্ধ হয়ে যেতেন।

তিনি প্রগতিশীল, মানবতাবাদী ও সাম্যবাদে বিশ্বাসী ছিলেন। যেকোনো বৈষম্য, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সমালোচনায় ছিলেন অকুতোভয়।হাসাতে হাসাতেই কষে চড় মারিয়েছেন পুঁজিবাদের গালে। যুক্তরাষ্ট্রের অভিজাত সমাজের সমালোচনাও বাদ যায়নি তাঁর সিনেমায়।

এ কারণে মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগের রোশানলে পড়ে পঞ্চাশের দশকের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। এরপর সুইজারল্যান্ডে চলে যান। ভবঘুরের জীবন কাহিনি থেকে বেরিয়ে নতুন আঙ্গিকের ছায়াছবি নির্মাণ শুরু করেন সেখানে।

চার্লি চ্যাপলিন মৃত্যুবরণ করেন ১৯৭৭ সালের ২৫ ডিসেম্বর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত