আব্দুর রব, মৌলভীবাজার
রোদেলা বিকেল। ভিড় বাড়তে শুরু করেছে মেলায়। লোকজনের তারস্বরে হাঁকডাক আর কোলাহলের মধ্যেই কোনো এক পাশ থেকে ভেসে আসছে বাঁশির সুর। এমন সুরের মূর্ছনা কোথা থেকে এল? খুঁজতে খুঁজতে পাওয়া গেল সেই বাঁশিওয়ালাকে। তাঁর মুখভর্তি সাদা দাড়ি, গায়ে সাদা শার্ট। মাথায় ক্যাপ আর পরনের লুঙ্গি বেশ ভালোই মানিয়েছে লোকটিকে। বয়স পঁচাত্তরের বেশি। এই বাঁশিওয়ালার নাম ফজলুর রহমান।
১৫ জানুয়ারি মৌলভীবাজার জেলা সদরে ঐতিহ্যবাহী হজরত সৈয়দ শাহ মোস্তফা (র.) ওরস ও মেলায় বাঁশি বিক্রি করছিলেন ফজলুর রহমান। বাঁশি কিনতে এসে লোকজন তাঁর সুর শুনে মুগ্ধ হন। বেচাকেনার ফাঁকে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। বংশীবাদক ফজলুর জানান, কিশোরগঞ্জের ভৈরবে তাঁর বাড়ি। তবে বাঁশি বিক্রি করতে ছুটে বেড়ান দেশের নানা প্রান্তে। ক্রেতারা তাঁর বাঁশির জাদুতে আটকে থাকেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
কথায় কথায় বেরিয়ে আসে আরও কিছু তথ্য। যেমন—শখের বশেই বাঁশি বাজান তিনি। গ্রামে তাঁর স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে, নাতি-নাতনি নিয়ে সুখের সংসার। বাঁশির প্রতি ঝোঁক থেকেই দেশের আনাচে-কানাচে ঘুরে বেড়ান। ষাটের দশকে কিশোর বয়সে শিখেছিলেন বাঁশি বাজানো। ১৯৭৬ সালে সাভারের করিম জুট মিলে চাকরি হয়। তখনই সুরের নেশা পেয়ে বসে তাঁকে। চাকরির ফাঁকে বাঁশিটা বেশ ভালো রপ্ত করে নেন ফজলুর।
চাকরি থেকে অবসর নিলেও বাঁশি থেকে ছুটি কিংবা অবসরের কোনোটাই পাননি। কথার এক পর্যায়ে ফজলুর বলে বসলেন, ‘বয়স হয়েছে অনেক। এবারের মেলা হয়তো শেষ মেলা, আর বাঁশি বাজাতে পারব কি না, জানি না।’
ফজলুর রহমানের ছেলেরা সংসার চালান। অভাব-অনটন খুব-একটা নেই। শুধু শখের বশেই ফজলুর এভাবে ঘুরে বেড়ান। তবে এখন আর নিজে বাঁশি তৈরি করেন না। পাইকারিতে কিনে অল্প লাভে বিক্রি কবে দেন। ফজলুর বলেন, ‘আমি লাভ-লস ভাবি না। ঘুরে ঘুরে বাঁশি বাজাতে আর বিক্রি করে আমার খুব ভালো সময় কাটে। এইটাই বড়।’
বাঁশিওয়ালা ফজলুর স্বভাবে বোহেমিয়ান। তবে বয়স বাড়ায় পরিবারের লোকজন এখন আর তাঁকে খুব দূরে যেতে দেন না। তারপরও বাঁশির টানে তিনি ঘরছাড়া। বাঁশির কদর কেমন? জানতে চাইলে তিনি ভারী কণ্ঠে জবাব দেন, ‘আমাগো সময় তো বাঁশি, তবলা এইগুলার যুগ ছিল! এখন তো দেখি কত সহজে কম্পিউটারে (সফটওয়্যারের সাহায্যে) গান হয়ে যায়! হ্যারা নাকি বাঁশিও বাজায় ফেলে মেশিনে। এখন আর খুব বেশি পোলাপান বাঁশি শেখে না। তাই বিক্রিও কম।’
কথা বলতে বলতে এক ক্রেতা হাজির হলেন। ফজলুরের কাছ থেকে বাঁশি কিনলেন তরুণ সমীরণ চাকলাদার। সমীরণ বলেন, ‘এই প্রবীণের কাছে নানা রকমের বাঁশি দেখে আসছি। আর উনি এত সুন্দর করে বাঁশি বাজান, না-কিনলেও হয়তো আমি সুর শুনতে আসতাম। আমি বাঁশি বাজাতে পারি না। তবে তাঁর সুর শুনে সম্মান করতে ৭০ টাকা দিয়ে একটি বাঁশি কিনেছি।’
এই মেলা সত্যিই কি শেষ মেলা, নাকি কথাচ্ছলে বলা? এমন প্রশ্নের উত্তরে ফজলুর রহমান বলেন, ‘লম্বা সময় বাঁশি বাজাতে বাজাতে শ্বাসকষ্ট আমার। এখন আগের মতো পারি না। তাই ভাবছি মেলায় আর আসব না।’
রোদেলা বিকেল। ভিড় বাড়তে শুরু করেছে মেলায়। লোকজনের তারস্বরে হাঁকডাক আর কোলাহলের মধ্যেই কোনো এক পাশ থেকে ভেসে আসছে বাঁশির সুর। এমন সুরের মূর্ছনা কোথা থেকে এল? খুঁজতে খুঁজতে পাওয়া গেল সেই বাঁশিওয়ালাকে। তাঁর মুখভর্তি সাদা দাড়ি, গায়ে সাদা শার্ট। মাথায় ক্যাপ আর পরনের লুঙ্গি বেশ ভালোই মানিয়েছে লোকটিকে। বয়স পঁচাত্তরের বেশি। এই বাঁশিওয়ালার নাম ফজলুর রহমান।
১৫ জানুয়ারি মৌলভীবাজার জেলা সদরে ঐতিহ্যবাহী হজরত সৈয়দ শাহ মোস্তফা (র.) ওরস ও মেলায় বাঁশি বিক্রি করছিলেন ফজলুর রহমান। বাঁশি কিনতে এসে লোকজন তাঁর সুর শুনে মুগ্ধ হন। বেচাকেনার ফাঁকে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। বংশীবাদক ফজলুর জানান, কিশোরগঞ্জের ভৈরবে তাঁর বাড়ি। তবে বাঁশি বিক্রি করতে ছুটে বেড়ান দেশের নানা প্রান্তে। ক্রেতারা তাঁর বাঁশির জাদুতে আটকে থাকেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
কথায় কথায় বেরিয়ে আসে আরও কিছু তথ্য। যেমন—শখের বশেই বাঁশি বাজান তিনি। গ্রামে তাঁর স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে, নাতি-নাতনি নিয়ে সুখের সংসার। বাঁশির প্রতি ঝোঁক থেকেই দেশের আনাচে-কানাচে ঘুরে বেড়ান। ষাটের দশকে কিশোর বয়সে শিখেছিলেন বাঁশি বাজানো। ১৯৭৬ সালে সাভারের করিম জুট মিলে চাকরি হয়। তখনই সুরের নেশা পেয়ে বসে তাঁকে। চাকরির ফাঁকে বাঁশিটা বেশ ভালো রপ্ত করে নেন ফজলুর।
চাকরি থেকে অবসর নিলেও বাঁশি থেকে ছুটি কিংবা অবসরের কোনোটাই পাননি। কথার এক পর্যায়ে ফজলুর বলে বসলেন, ‘বয়স হয়েছে অনেক। এবারের মেলা হয়তো শেষ মেলা, আর বাঁশি বাজাতে পারব কি না, জানি না।’
ফজলুর রহমানের ছেলেরা সংসার চালান। অভাব-অনটন খুব-একটা নেই। শুধু শখের বশেই ফজলুর এভাবে ঘুরে বেড়ান। তবে এখন আর নিজে বাঁশি তৈরি করেন না। পাইকারিতে কিনে অল্প লাভে বিক্রি কবে দেন। ফজলুর বলেন, ‘আমি লাভ-লস ভাবি না। ঘুরে ঘুরে বাঁশি বাজাতে আর বিক্রি করে আমার খুব ভালো সময় কাটে। এইটাই বড়।’
বাঁশিওয়ালা ফজলুর স্বভাবে বোহেমিয়ান। তবে বয়স বাড়ায় পরিবারের লোকজন এখন আর তাঁকে খুব দূরে যেতে দেন না। তারপরও বাঁশির টানে তিনি ঘরছাড়া। বাঁশির কদর কেমন? জানতে চাইলে তিনি ভারী কণ্ঠে জবাব দেন, ‘আমাগো সময় তো বাঁশি, তবলা এইগুলার যুগ ছিল! এখন তো দেখি কত সহজে কম্পিউটারে (সফটওয়্যারের সাহায্যে) গান হয়ে যায়! হ্যারা নাকি বাঁশিও বাজায় ফেলে মেশিনে। এখন আর খুব বেশি পোলাপান বাঁশি শেখে না। তাই বিক্রিও কম।’
কথা বলতে বলতে এক ক্রেতা হাজির হলেন। ফজলুরের কাছ থেকে বাঁশি কিনলেন তরুণ সমীরণ চাকলাদার। সমীরণ বলেন, ‘এই প্রবীণের কাছে নানা রকমের বাঁশি দেখে আসছি। আর উনি এত সুন্দর করে বাঁশি বাজান, না-কিনলেও হয়তো আমি সুর শুনতে আসতাম। আমি বাঁশি বাজাতে পারি না। তবে তাঁর সুর শুনে সম্মান করতে ৭০ টাকা দিয়ে একটি বাঁশি কিনেছি।’
এই মেলা সত্যিই কি শেষ মেলা, নাকি কথাচ্ছলে বলা? এমন প্রশ্নের উত্তরে ফজলুর রহমান বলেন, ‘লম্বা সময় বাঁশি বাজাতে বাজাতে শ্বাসকষ্ট আমার। এখন আগের মতো পারি না। তাই ভাবছি মেলায় আর আসব না।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪