মো. সাইফুল ইসলাম আকাশ বোরহানউদ্দিন (ভোলা)
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ২৭৪ বছরের পুরোনো হায়দার আলী জমিদার বাড়িটি। ইতিহাস-ঐতিহ্যের এক অনন্য নিদর্শন এ বাড়ি। বাংলা ১১৫৫ সনে তৎকালীন জমিদার হায়দার আলী বাড়িটি নির্মাণ করেন ৷ তাঁর নামানুসারে এ বাড়ির নামকরণ করা হয় হায়দার মহল। সংস্কারের অভাবে বর্তমানে বাড়িটি জরাজীর্ণ হলেও এখনো দৃষ্টিনন্দন। প্রাচীন এ বাড়িটি দেখতে ছুটে আসেন দর্শনার্থীরা।
জানা গেছে, বাংলা ১১৫৫ সনে জমিদার হায়দার আলী জমিদারি শুরু করেন। তাঁর পরবর্তী প্রজন্ম ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত জমিদারি প্রথা ধরে রাখেন। ২৭৪ বছর আগে অর্থাৎ ১১৫৫ বঙ্গাব্দে হায়দার মহলের মূল ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হয়। ভবনটি তিনতলাবিশিষ্ট। এই হায়দার মহলের মূল ভবন ছাড়াও পেছনের দিকে একতলা আরও চারটি ভবন রয়েছে। এ ভবনগুলো তৈরিতে বালু ও সিমেন্টের পরিবর্তে ব্যয়বহুল চুন-সুরকি ব্যবহার হয়েছে। প্রতিটি দেয়াল ২৭ ইঞ্চি পুরু। ভবন নির্মাণের সময় বিম হিসেবে ব্যবহার হয় উন্নত মানের শালকাঠ, যা আজও অক্ষত। জমিদার বাড়ির মোট আয়তন ১৪ একর ২২ শতাংশ। এটি উপজেলার কুতুবা ইউনিয়নের পেট মানিকা গ্রামে অবস্থিত।
নিরাপত্তার জন্য বাড়ির চারদিকে ছিল ঘের কাটা। বাড়িটির পশ্চিম পাশে একটি বিশালাকৃতির দিঘি রয়েছে। সে সময় জমিদাররা শখ করে হরিণ, ময়ূরসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় প্রাণী পুষতেন। কালের সাক্ষী হিসেবে আজও এই হায়দার মহলে হরিণের শিং, ময়ূরের পালক, বাঘের চামড়াসহ নানা রকম ঐতিহ্য সংরক্ষিত রয়েছে। এ ছাড়া কিছু ঐতিহ্য জাতীয় জাদুঘরে শোভা পেয়েছে।
হায়দার মহলের সামনে রয়েছে ফুলের বাগান, দৃষ্টিনন্দন মসজিদ, সুপ্রাচীন প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাইক্লোন শেল্টার, ঈদগাহ মাঠ; যা পরবর্তী বংশধররা নির্মাণ করেন ৷ বর্তমানে এই বাড়িটি এমদাত আলী ও আসমত আলীর নাতিরা দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন। জামিদার বাড়ির মূল ভবনে বর্তমানে কেউ বসবাস করেন না।
হায়দার আলীর পঞ্চম প্রজন্মের বংশধর স্বপন মিয়া জানান, জমিদার হায়দার আলীর ছয় ছেলে ছিলেন। তাঁরা হলেন আসমত আলী মিয়া, হেদায়েত আলী, এহসান আলী, এমদাত আলী, ইয়াকুব আলী ও লুতফে আলী। ২০ বছর জমিদারি হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা অবস্থায় ৪২ বছর বয়সে তিনি মারা যান। পরে তাঁর দুই ছেলে এমদাদ আলী ও লুতফে আলী ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত জমিদারি প্রথা ধরে রাখেন। তাঁর অন্য ছেলেদের মধ্যে ইয়াকুব আলী ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে খেলাফত ও কংগ্রেস কর্মী হিসেবে বড় ভূমিকা পালন করেন। জমিদার হায়দার আলী চার হাজার একর সম্পত্তির মালিক ছিলেন।
অযত্ন-অবহেলায় পড়ে রয়েছে ২৭৪ বছরের এই জমিদার বাড়িটি। প্রাচীন ঐতিহ্য ধরে রাখার দাবি স্থানীয়দের।
হায়দার আলীর বংশধর ও বর্তমান কুতুবা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান জোবায়েদ মিয়া জানান, বাড়িটি রক্ষণাবেক্ষণসহ অন্য খরচ পরিচালনার জন্য এজমালি একটি ফান্ড রয়েছে ৷ নিজেদের উদ্যোগে এই বাড়িটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণ করে রাখা হবে।’
বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুর রহমান বলেন, ‘প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী এই বাড়িটি সংরক্ষণে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ২৭৪ বছরের পুরোনো হায়দার আলী জমিদার বাড়িটি। ইতিহাস-ঐতিহ্যের এক অনন্য নিদর্শন এ বাড়ি। বাংলা ১১৫৫ সনে তৎকালীন জমিদার হায়দার আলী বাড়িটি নির্মাণ করেন ৷ তাঁর নামানুসারে এ বাড়ির নামকরণ করা হয় হায়দার মহল। সংস্কারের অভাবে বর্তমানে বাড়িটি জরাজীর্ণ হলেও এখনো দৃষ্টিনন্দন। প্রাচীন এ বাড়িটি দেখতে ছুটে আসেন দর্শনার্থীরা।
জানা গেছে, বাংলা ১১৫৫ সনে জমিদার হায়দার আলী জমিদারি শুরু করেন। তাঁর পরবর্তী প্রজন্ম ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত জমিদারি প্রথা ধরে রাখেন। ২৭৪ বছর আগে অর্থাৎ ১১৫৫ বঙ্গাব্দে হায়দার মহলের মূল ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হয়। ভবনটি তিনতলাবিশিষ্ট। এই হায়দার মহলের মূল ভবন ছাড়াও পেছনের দিকে একতলা আরও চারটি ভবন রয়েছে। এ ভবনগুলো তৈরিতে বালু ও সিমেন্টের পরিবর্তে ব্যয়বহুল চুন-সুরকি ব্যবহার হয়েছে। প্রতিটি দেয়াল ২৭ ইঞ্চি পুরু। ভবন নির্মাণের সময় বিম হিসেবে ব্যবহার হয় উন্নত মানের শালকাঠ, যা আজও অক্ষত। জমিদার বাড়ির মোট আয়তন ১৪ একর ২২ শতাংশ। এটি উপজেলার কুতুবা ইউনিয়নের পেট মানিকা গ্রামে অবস্থিত।
নিরাপত্তার জন্য বাড়ির চারদিকে ছিল ঘের কাটা। বাড়িটির পশ্চিম পাশে একটি বিশালাকৃতির দিঘি রয়েছে। সে সময় জমিদাররা শখ করে হরিণ, ময়ূরসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় প্রাণী পুষতেন। কালের সাক্ষী হিসেবে আজও এই হায়দার মহলে হরিণের শিং, ময়ূরের পালক, বাঘের চামড়াসহ নানা রকম ঐতিহ্য সংরক্ষিত রয়েছে। এ ছাড়া কিছু ঐতিহ্য জাতীয় জাদুঘরে শোভা পেয়েছে।
হায়দার মহলের সামনে রয়েছে ফুলের বাগান, দৃষ্টিনন্দন মসজিদ, সুপ্রাচীন প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাইক্লোন শেল্টার, ঈদগাহ মাঠ; যা পরবর্তী বংশধররা নির্মাণ করেন ৷ বর্তমানে এই বাড়িটি এমদাত আলী ও আসমত আলীর নাতিরা দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন। জামিদার বাড়ির মূল ভবনে বর্তমানে কেউ বসবাস করেন না।
হায়দার আলীর পঞ্চম প্রজন্মের বংশধর স্বপন মিয়া জানান, জমিদার হায়দার আলীর ছয় ছেলে ছিলেন। তাঁরা হলেন আসমত আলী মিয়া, হেদায়েত আলী, এহসান আলী, এমদাত আলী, ইয়াকুব আলী ও লুতফে আলী। ২০ বছর জমিদারি হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা অবস্থায় ৪২ বছর বয়সে তিনি মারা যান। পরে তাঁর দুই ছেলে এমদাদ আলী ও লুতফে আলী ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত জমিদারি প্রথা ধরে রাখেন। তাঁর অন্য ছেলেদের মধ্যে ইয়াকুব আলী ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে খেলাফত ও কংগ্রেস কর্মী হিসেবে বড় ভূমিকা পালন করেন। জমিদার হায়দার আলী চার হাজার একর সম্পত্তির মালিক ছিলেন।
অযত্ন-অবহেলায় পড়ে রয়েছে ২৭৪ বছরের এই জমিদার বাড়িটি। প্রাচীন ঐতিহ্য ধরে রাখার দাবি স্থানীয়দের।
হায়দার আলীর বংশধর ও বর্তমান কুতুবা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান জোবায়েদ মিয়া জানান, বাড়িটি রক্ষণাবেক্ষণসহ অন্য খরচ পরিচালনার জন্য এজমালি একটি ফান্ড রয়েছে ৷ নিজেদের উদ্যোগে এই বাড়িটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণ করে রাখা হবে।’
বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুর রহমান বলেন, ‘প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী এই বাড়িটি সংরক্ষণে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪