Ajker Patrika

জালের মতো ছড়াচ্ছে চীন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক
আপডেট : ১০ জানুয়ারি ২০২২, ০৯: ১১
জালের মতো ছড়াচ্ছে চীন

২০১৩ সালে যাত্রা করা চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্প (বিআরআই) ইতিমধ্যে বিশ্বের ৭০টি বেশি দেশে জাল বিস্তার করেছে। প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের স্বপ্নের এ প্রকল্প এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ ছাড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রের চৌহদ্দির মধ্যে পৌঁছে গেছে। শিকড় গেড়েছে লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে, যা গুরুতর বিপাকে ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্রকে।

ক্যারিবীয় দেশগুলোর মধ্যে কিউবা বিআরআইয়ে যোগ দেয় ২০১৮ সালে। প্রকল্পটির আওতায় সেখানে অবকাঠামো, প্রযুক্তি, শিক্ষা, পর্যটন, জ্বালানি, টেলিযোগাযোগ এবং জৈবপ্রযুক্তিসহ নানা ক্ষেত্রে কাজ করবে চীন। এরপর গত ২৫ ডিসেম্বর দুই দেশ একটি ‘কোঅপারেশন প্ল্যান’ সই করে। বিআরআই প্রকল্প আরও বাড়াতে এ চুক্তি।

এর আগে গত অক্টোবরে বিআরআইয়ের জ্বালানি পার্টনারশিপে যোগ দেয় কিউবা। নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য তৈরি এ পার্টনারশিপে এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল, মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা, পূর্ব ইউরোপ এবং লাতিন আমেরিকার ৩২টি দেশ যোগ দিয়েছে।

এশিয়া টাইমসে লাইটস্ট্রিম রিসার্চের বিশ্লেষক স্কট ফস্টার লিখেন, ১৯৬০ সাল থেকে কিউবার ওপর উপর্যুপরি অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তাতে দেশটিতে অপুষ্টি বেড়েছে ঠিকই, যুক্তরাষ্ট্রের বলতে গেলে কোনো লাভ হয়নি। এখন চীনের সহায়তায় দেশটি তার ভাগ্য পরিবর্তনে চেষ্টা করবে।

নিজেদের মধ্যে আলোচনার জন্য ২০১১ সালে কমিউনিটি অব লাতিন আমেরিকা অ্যান্ড ক্যারিবিয়ান স্টেটস বা সিইএলএসি প্রতিষ্ঠা করে অঞ্চলটির ৩৩টি দেশ। সম্প্রতি সংস্থাটির নেতারা ‘চীন-সিইএলএসি জয়েন্ট অ্যাকশন প্ল্যান ফর কোঅপারেশন ইন কি অ্যারিয়াস (২০২২-২৪) ’ গ্রহণ করে। শুধু তাই নয়, ২০১৮ সাল পর্যন্ত ‘চীন-লাতিন আমেরিকা সুপিরিয়র ডিফেন্স ফোরামের’ মধ্য চারটি সম্মেলন হয়েছে।

এক দশকে লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় (এলএসি) অঞ্চলে চীনের বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়, এলএসির বর্তমান সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের পরই রয়েছে চীন।

অঞ্চলটির মধ্যে ব্রাজিলে চীনের বিনিয়োগ সবচেয়ে বেশি। তা ছাড়া আর্জেন্টিনা, পেরু, ইকুয়েডর, ভেনেজুয়েলা, কলম্বিয়া এবং মেক্সিকোয় চীনের বড় বিনিয়োগ রয়েছে। অর্থাৎ ভৌগোলিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তের ১০০ কিলোমিটারের পৌঁছে গেছে চীন।

নিজেদের নাগের ডগায় চলে আসায় নড়েচড়ে বসেছে মার্কিন রাজনীতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাডমিরাল ক্রেগ ফলার সম্প্রতি এনবিসি নিউজকে বলেন, ‘চীন আমাদের পেছনের উঠোনে চলে এসেছে। বিশ্বের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে চীন। চীনের এ ছড়িয়ে পড়া বিপজ্জনক।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত