Ajker Patrika

অস্ত্রোপচার বন্ধ, দুশ্চিন্তা

জামালপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২১, ১৯: ৫৩
অস্ত্রোপচার বন্ধ, দুশ্চিন্তা

জামালপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে গত তিন মাস ধরে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব বন্ধ রয়েছে। অ্যানেসথেসিওলজিস্ট চিকিৎসক না থাকায় সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার বন্ধ রয়েছে বলে জানা গেছে। এতে গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র ও অসহায় প্রসূতি মায়েরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। কেননা এখানে তারা বিনা মূল্যে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের সেবা পেতেন। আর শহরের বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে গিয়ে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকায় অস্ত্রোপচার করাতে হবে। জামালপুর সদর উপজেলার মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটিতে প্রতি মাসে ২০ জনের মতো প্রসূতির সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করা হতো।

সরেজমিনে উপজেলার মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, কেন্দ্রে গ্রামাঞ্চল থেকে প্রসূতি মায়েরা প্রতিদিনই এখানে চিকিৎসা নিতে আসছেন। কেন্দ্রের দ্বিতীয় তলায় অস্ত্রোপচার কক্ষ। গত তিন মাস ধরে সেটি তালাবদ্ধ। একজন প্রসূতির সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের জন্য সেখানে সবই রয়েছে, কিন্তু মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে নেই অ্যানেসথেসিওলজিস্ট চিকিৎসক। কেননা এখানকার একমাত্র অ্যানেসথেসিওলজিস্ট চিকিৎসক তিন মাস আগে অবসরে গেছেন। অ্যানেসথেসিওলজিস্ট না থাকায় অস্ত্রোপচার এখন বন্ধ।

জামালপুর শহরের ময়না আকন্দের স্ত্রী একজন প্রসূতি রোগী। এই মাসেই চিকিৎসক তাকে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে অস্ত্রোপচার করাতে আগ্রহী। তিনি বলেন, ওই কেন্দ্রে প্রসূতি রোগীদের অনেক ভালো সেবা দেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারও বিনা মূল্যে করা হয়। ফলে তিনি ওই কেন্দ্রে খোঁজ নিতে যান। কিন্তু সেখানে অ্যানেসথেসিওলজিস্ট চিকিৎসক না থাকায় অস্ত্রোপচার বন্ধ রয়েছে। তাঁকে এখন কোনো বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করাতে হবে। এতে তাঁর অনেক টাকা লাগবে। ফলে তিনি চিন্তিত।

মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়া এলাকার বাসিন্দা বেলাল হোসেনের স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। স্ত্রীকে ওই কেন্দ্রের চিকিৎসকদের দেখিয়েছেন। তিনি সেখানে ভালো সেবা পেয়েছেন। ফলে তিনি ওই কেন্দ্রে তাঁর স্ত্রীকে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি বলেন, ওই কেন্দ্রে দরিদ্র পরিবারের জন্য বিনা মূল্যে অনেক ভালো সেবা দেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার করাতে কোনো টাকা লাগে না। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানতে পারি সেখানে অ্যানেসথেসিওলজিস্ট চিকিৎসক নেই। তাই অস্ত্রোপচার বন্ধ রয়েছে। ফলে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ করে বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করাতে হবে। এতে বেকায়দায় পড়ে যাবেন তিনি।

সদর উপজেলার কেন্দুয়ার রিকশা চালক হারুন জানান, তার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার বন্ধ শুনে তিনি দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। বাইরে বেসরকারি হাসপাতালে গেলে ১৫-২০ হাজার টাকা লাগবে। এই টাকা এখন কোথায় পাবেন।

কেন্দ্রটির আবাসিক মেডিকেল অফিসার (ক্লিনিক) উম্মে হাবিবা বলেন, এই কেন্দ্রে খুব আন্তরিকতার সঙ্গে গ্রামাঞ্চল থেকে আসা প্রসূতি রোগীদের সেবা দেওয়া হয়। অস্ত্রোপচারসহ বিভিন্ন সেবায় কোনো টাকা লাগে না। পুরো চিকিৎসা ব্যবস্থা বিনা মূল্যে দেওয়া হয়। ফলে এই কেন্দ্রে রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। বেশির ভাগ অন্তঃসত্ত্বা নারীকে নরমালেই ডেলিভারি করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পাকিস্তানে কীভাবে হামলা চালাতে পারে ভারত, ইতিহাস যা বলছে

জনবল-সরঞ্জাম বেশি হলেও সমরশক্তিতে ভারত কি পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে

প্রবাসীর রেমিট্যান্সের অর্থ আত্মসাৎ, নারী ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে

ইতিহাস গড়ে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদে আইএসআইপ্রধান

ভারতের সঙ্গে সংঘাতে পাকিস্তানের ভাগ্যনিয়ন্তা সেনাপ্রধান জেনারেল মুনির

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত