Ajker Patrika

পর্যটনকেন্দ্র খুলবে কি না পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পর্যটনকেন্দ্র খুলবে কি না পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত

সরকার সব বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছে, এতে করোনার সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে। সরকারও তাদের উদ্বেগের বিষয়টি আমলে নিয়েছে। বলেছে, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনে পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্র খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হবে।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গতকাল শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কারিগরি কমিটির পরামর্শ আমাদের বিবেচনায় আছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করেই আমরা পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্র খোলার অনুমতি দিয়েছি। যদি এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হয়, আরও পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনে আমরা তা করব। আমাদের হাতে এখনো সময় আছে।’

গত শুক্রবার জাতীয় কারিগরি কমিটির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারের দ্রুত বিধিনিষেধ শিথিল করা বা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত উদ্বেগজনক। স্বাস্থ্যবিধি শিথিল করার বিষয়ে সরকার তাড়াহুড়ো করছে। এতে সংক্রমণ আবারও বাড়তে পারে। অর্থনীতি আরও বেশি হুমকির মুখে পড়তে পারে।

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের ওপরে থাকলে সেটিকে উচ্চমাত্রার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এখনো সংক্রমণের হার ২০ শতাংশের বেশি। আর্থসামাজিক অবস্থা বিবেচনায় বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে, এটা ঠিক আছে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ রাখা উচিত। হোটেল-রেস্টুরেন্টে বসে খাওয়ার অনুমতি দেওয়ায় আমরা ঝুঁকিতে পড়ব। সরকারের এমন সিদ্ধান্তে সংক্রমণের হার আবার বাড়তে পারে।

সংক্রমণের হার কত শতাংশে নামলে পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়া যায়—এমন প্রশ্নে অধ্যাপক সহিদুল্লা বলেন, ‘সংক্রমণ পাঁচ শতাংশের নিচে নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চিন্তা করা হয়। কিন্তু পর্যটনের ক্ষেত্রে কোনো বাঁধাধরা নিয়ম নেই। সংক্রমণের হার ১২-১৩ শতাংশে নামলে এসব খোলা যেতে পারে।

উচ্চ সংক্রমণের হারের মধ্যে এসব খোলা ঠিক হবে না। আমাদের সুপারিশ, বিনোদন ও পর্যটনকেন্দ্র খোলার সিদ্ধান্ত থেকে সরকারের সরে আসা উচিত।’

আগামী ১৯ আগস্ট থেকে পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্র খুলে দেওয়ার পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এগুলো টানা ১৯ দিন বন্ধ ছিল, তার আগে আরও ১৪ দিন বন্ধ ছিল। তাদের জিনিসপত্র নষ্ট হচ্ছে। ওইসব প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের বেতন দিতে হয়। আমরা সবকিছু বিবেচনা করেই সেগুলো খোলার সিদ্ধান্ত দিয়েছি।’

ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘বিধিনিষেধ দেওয়ায় সংক্রমণ অনেক কমেছে। আমরা পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্র খোলার সিদ্ধান্ত দিলেও হাতে এখনো সময় আছে। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।’

জীবিকার তাগিদেই বিধিনিষেধ প্রত্যাহার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, মানুষের জীবন-জীবিকার তাগিদেই করোনার ঊর্ধ্বমুখী অবস্থার মধ্যেও সবকিছু খুলে দেওয়া হয়েছে। এখন স্বাস্থ্যবিধি, টিকা আর মাস্কে ভরসা করতে হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আরও টিকা আসছে। টিকা কার্যক্রম ভবিষ্যতে আরও বেগবান হবে। আমরা আর সংক্রমণ ও মৃত্যু চাই না।’

গতকাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

আগামী ১৯ আগস্ট থেকে ধারণক্ষমতার অর্ধেক ব্যবহার করে পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার। ওই দিন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সড়ক, রেল ও নৌপথে সব গণপরিবহন চলবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

‘ঘুষের জন্য’ ৯১টি ফাইল আটকে রাখেন মাউশির ডিডি: দুদক

রাখাইনে মানবিক করিডর কি প্রক্সি যুদ্ধের ফাঁদ হবে, ভারত-চীন কীভাবে দেখবে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত