খ্যাতিমান অভিনেতা, নির্দেশক, চিত্রশিল্পী আফজাল হোসেনের বিয়ের তিন দশক পূর্তি হলো। ত্রিশ বছর আগে তানজিন হালিম মনাকে বিয়ে করেন তিনি। সেই থেকে তাঁরা একসঙ্গে। সুখে, দুঃখে, আনন্দ, বিরহে এতগুলো দিন পেরিয়ে এসে আফজাল হোসেনের কেবলই মনে হয়– ‘জীবনে ভালো কিছু করেছি, মনা সেই পুণ্যের ফল’।
বিয়ের ত্রিশ বছর উপলক্ষে স্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে দীর্ঘ গদ্য লিখেছেন আফজাল হোসেন। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, কীভাবে কত নিপুণ হাতে ঘর–বাহির সবদিক সামলান তাঁর স্ত্রী। সংসারের টুকিটাকি কাজ থেকে শুরু করে আফজালের ছবি আঁকাআঁকি– সবদিকেই তাঁর খেয়াল। যা রীতিমতো অবাক করে আফজাল হোসেনকে।
পাঠকদের জন্য আফজাল হোসেনের পুরো স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো–
তিরিশ বছর হয়ে গেল একসঙ্গে আছি। যথার্থ শোনায়, তার সংসারে তার সঙ্গে বাস করি বললে। তিরিশ বছর কেটেছে। আমাদের সন্তানদের জন্মতারিখ বলতে পারব, কার কত বয়স হলো বলতে গেলে হিসাবে বসতে হবে। তার চেয়ে সহজ মনাকে জিজ্ঞাসা করে জেনে নেওয়া।
আরাফ ও বউ দেশের বাইরে থাকে। মনা তাদের প্রায় রোজকার খবর বলতে পারবে। ঈমানের স্কুলের বেতন কত, আমার জানা নেই। আমি জানি না মাসের বাজার খরচ, চালের দাম, লবণ কত টাকা কেজি। জানা নেই রান্নাঘরের চুলো জ্বলছে কি না, বেসিনে পানি আটকে গেছে বা ঘরে বৈদ্যুতিক কোনো সমস্যা হলে কোনোটার জন্য কাকে ফোন করতে হবে।
এখন আমার ব্লাডপ্রেসার কত থাকে। সকালে কী কী ওষুধ খেতে হয় বা রাতে কী কী খাই, সবই জানে সে। আমি জানি না। আম্মাকেও এখন প্রতিদিন কতগুলো ওষুধ খেতে হয়। ডাক্তার কোনটি নতুন যোগ করেছে, কোন কোনটা শেষ হওয়ার পথে, মাসে গ্যাস, বিদ্যুৎ বিল কত আসে, গাড়ির সার্ভিসিং কবে, কবে আজিমপুর গোরস্থানে পাপা, মার কবরের দেখভাল করার মানুষটাকে টাকা পাঠাতে হবে, সবই তার মনে–মাথায় সাজানো।
আব্বার মৃত্যুবার্ষিকী অমুক তারিখে, পারুলিয়ায় কিছু করা হবে নাকি মিরপুরের এতিমখানায়–মাথায় থাকে। শিশুকালে আরাফকে কোলে নিয়ে ঘুরত বা তার সঙ্গে খেলত যে মেয়েটা, তার এখন দুটো বাচ্চা। থাকে সিলেটে। একদিন হয়তো তার সংসারের এক অসুবিধার কথা বলেছিল–মনার মাথায় আছে। সমস্যা আছে না গেছে খোঁজ নেয়। যা করতে পারে করে। অবাক হই, এত কিছু একটা মাথায় থাকে কীভাবে! দুপুরে ইমান খেতে চেয়েছে কাও পাট খাই, তার রেসিপি পড়তে পড়তে মনার মনে হয়ে যায় আরিমা, পরিবারের সবচেয়ে ছোটজন (বোনের মেয়ে) খানিক আগে একটা ছবি এঁকে পাঠিয়েছে– মামনা দিস ইজ ফর ইউ। কেমন হয়েছে বা খুশি হয়েছি, জানানো হয়নি তাকে।
নির্ভানা, আমাদের আম্মু (ছোট ভাইয়ের মেয়ে) ইদানীং খুব আগ্রহে উৎসাহে কেক–পেস্ট্রি বানায়। তার এক দুশ্চিন্তা-কেকের ভেতরটা কেন তত নরম থাকছে না। তা নিয়ে আম্মুর সঙ্গে কথা হওয়া দরকার। শীলা, ছোট ভাইয়ের স্ত্রীর শরীর ভালো নেই। এটাও জানে, একজনও সাহায্যকারী নেই রুমার বাসায়। এ রকম অজস্র দুশ্চিন্তা, সমস্যা ও সমাধানের চেষ্টা মগজে বয়ে সে হাসিমুখে ঠান্ডা মাথায় চলতে–ফিরতে পারে।
এমন বলেই সাহায্যকর্মী সরবরাহকারী, ইন্টারনেট ও পেস্ট কন্ট্রোল কর্মী, ট্রেডমিল মেকানিক, দরজি, মাংস বিক্রেতা, মুদি দোকানি, সোফা মিস্ত্রি, রং মিস্ত্রি ইত্যাদি নানা পরিচয়ের মানুষেরা পছন্দ করে ম্যাডাম, আপাকে।
এত কিছু বলার পর মনে হতেই পারে, আমি তাহলে একটা অযথা লোক। যুক্তি খাটালে অন্য মানেও পাওয়া যেতে পারে। জীবনে ভালো কিছু করেছি। মনা, সেই পুণ্যেরই ফল। অনেক বছর ছবি আঁকিনি। আঁকাআঁকিতে আবার ফিরতে পারব, মনে হতো না। মনার বিশ্বাস অটুট ছিল। পারব। বছরের পর বছর আমাদের পুরো বাড়ির সব ঘরের দেয়াল সে ফাঁকা রেখে দেয়। বলেছিল, ফাঁকাই থাকুক। নিজের আঁকা ছবি ঝোলানোর আগে কারও ছবি দিয়ে ঘর সাজানো যাবে না। সেই নিঃশব্দ জোর খাটানোর ফলাফল, এখন ঘরের দেয়াল ফাঁকা নেই।
জগৎ ও জীবন শেখার জন্য। রোজ আমি তার কাছ থেকে শিখি। ঘরের ধুলো পরিষ্কার আর জলরঙে ছবি আঁকা–দুটোতেই নিবেদন লাগে। একই রকম মনোযোগ, নিষ্ঠা লাগে। এক শ রকম ঘটনার মধ্যে থেকেও নিজের জলরংয়ের ছবি কীভাবে আরও ভালো করা যায়, সে জন্য মনা যখন ইউটিউবে বিশ্বখ্যাত জলরং শিল্পীদের অনুশীলন দেখে, যেভাবে দেখে অবাক হই। ভাবি, নিজে শিল্পী হতে চেয়েছি, তবে এতটা মনোযোগী কি কখনো হতে পেরেছি?
সৃষ্টিকর্তা আমাদের ভালো রেখেছেন, রাখবেন–এই আশা। আরও আশা, আমরা উভয়ের জন্য উভয়েই যেন আরও কিছুকাল সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারি। শুভ বিবাহবার্ষিকী মনা।
খ্যাতিমান অভিনেতা, নির্দেশক, চিত্রশিল্পী আফজাল হোসেনের বিয়ের তিন দশক পূর্তি হলো। ত্রিশ বছর আগে তানজিন হালিম মনাকে বিয়ে করেন তিনি। সেই থেকে তাঁরা একসঙ্গে। সুখে, দুঃখে, আনন্দ, বিরহে এতগুলো দিন পেরিয়ে এসে আফজাল হোসেনের কেবলই মনে হয়– ‘জীবনে ভালো কিছু করেছি, মনা সেই পুণ্যের ফল’।
বিয়ের ত্রিশ বছর উপলক্ষে স্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে দীর্ঘ গদ্য লিখেছেন আফজাল হোসেন। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, কীভাবে কত নিপুণ হাতে ঘর–বাহির সবদিক সামলান তাঁর স্ত্রী। সংসারের টুকিটাকি কাজ থেকে শুরু করে আফজালের ছবি আঁকাআঁকি– সবদিকেই তাঁর খেয়াল। যা রীতিমতো অবাক করে আফজাল হোসেনকে।
পাঠকদের জন্য আফজাল হোসেনের পুরো স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো–
তিরিশ বছর হয়ে গেল একসঙ্গে আছি। যথার্থ শোনায়, তার সংসারে তার সঙ্গে বাস করি বললে। তিরিশ বছর কেটেছে। আমাদের সন্তানদের জন্মতারিখ বলতে পারব, কার কত বয়স হলো বলতে গেলে হিসাবে বসতে হবে। তার চেয়ে সহজ মনাকে জিজ্ঞাসা করে জেনে নেওয়া।
আরাফ ও বউ দেশের বাইরে থাকে। মনা তাদের প্রায় রোজকার খবর বলতে পারবে। ঈমানের স্কুলের বেতন কত, আমার জানা নেই। আমি জানি না মাসের বাজার খরচ, চালের দাম, লবণ কত টাকা কেজি। জানা নেই রান্নাঘরের চুলো জ্বলছে কি না, বেসিনে পানি আটকে গেছে বা ঘরে বৈদ্যুতিক কোনো সমস্যা হলে কোনোটার জন্য কাকে ফোন করতে হবে।
এখন আমার ব্লাডপ্রেসার কত থাকে। সকালে কী কী ওষুধ খেতে হয় বা রাতে কী কী খাই, সবই জানে সে। আমি জানি না। আম্মাকেও এখন প্রতিদিন কতগুলো ওষুধ খেতে হয়। ডাক্তার কোনটি নতুন যোগ করেছে, কোন কোনটা শেষ হওয়ার পথে, মাসে গ্যাস, বিদ্যুৎ বিল কত আসে, গাড়ির সার্ভিসিং কবে, কবে আজিমপুর গোরস্থানে পাপা, মার কবরের দেখভাল করার মানুষটাকে টাকা পাঠাতে হবে, সবই তার মনে–মাথায় সাজানো।
আব্বার মৃত্যুবার্ষিকী অমুক তারিখে, পারুলিয়ায় কিছু করা হবে নাকি মিরপুরের এতিমখানায়–মাথায় থাকে। শিশুকালে আরাফকে কোলে নিয়ে ঘুরত বা তার সঙ্গে খেলত যে মেয়েটা, তার এখন দুটো বাচ্চা। থাকে সিলেটে। একদিন হয়তো তার সংসারের এক অসুবিধার কথা বলেছিল–মনার মাথায় আছে। সমস্যা আছে না গেছে খোঁজ নেয়। যা করতে পারে করে। অবাক হই, এত কিছু একটা মাথায় থাকে কীভাবে! দুপুরে ইমান খেতে চেয়েছে কাও পাট খাই, তার রেসিপি পড়তে পড়তে মনার মনে হয়ে যায় আরিমা, পরিবারের সবচেয়ে ছোটজন (বোনের মেয়ে) খানিক আগে একটা ছবি এঁকে পাঠিয়েছে– মামনা দিস ইজ ফর ইউ। কেমন হয়েছে বা খুশি হয়েছি, জানানো হয়নি তাকে।
নির্ভানা, আমাদের আম্মু (ছোট ভাইয়ের মেয়ে) ইদানীং খুব আগ্রহে উৎসাহে কেক–পেস্ট্রি বানায়। তার এক দুশ্চিন্তা-কেকের ভেতরটা কেন তত নরম থাকছে না। তা নিয়ে আম্মুর সঙ্গে কথা হওয়া দরকার। শীলা, ছোট ভাইয়ের স্ত্রীর শরীর ভালো নেই। এটাও জানে, একজনও সাহায্যকারী নেই রুমার বাসায়। এ রকম অজস্র দুশ্চিন্তা, সমস্যা ও সমাধানের চেষ্টা মগজে বয়ে সে হাসিমুখে ঠান্ডা মাথায় চলতে–ফিরতে পারে।
এমন বলেই সাহায্যকর্মী সরবরাহকারী, ইন্টারনেট ও পেস্ট কন্ট্রোল কর্মী, ট্রেডমিল মেকানিক, দরজি, মাংস বিক্রেতা, মুদি দোকানি, সোফা মিস্ত্রি, রং মিস্ত্রি ইত্যাদি নানা পরিচয়ের মানুষেরা পছন্দ করে ম্যাডাম, আপাকে।
এত কিছু বলার পর মনে হতেই পারে, আমি তাহলে একটা অযথা লোক। যুক্তি খাটালে অন্য মানেও পাওয়া যেতে পারে। জীবনে ভালো কিছু করেছি। মনা, সেই পুণ্যেরই ফল। অনেক বছর ছবি আঁকিনি। আঁকাআঁকিতে আবার ফিরতে পারব, মনে হতো না। মনার বিশ্বাস অটুট ছিল। পারব। বছরের পর বছর আমাদের পুরো বাড়ির সব ঘরের দেয়াল সে ফাঁকা রেখে দেয়। বলেছিল, ফাঁকাই থাকুক। নিজের আঁকা ছবি ঝোলানোর আগে কারও ছবি দিয়ে ঘর সাজানো যাবে না। সেই নিঃশব্দ জোর খাটানোর ফলাফল, এখন ঘরের দেয়াল ফাঁকা নেই।
জগৎ ও জীবন শেখার জন্য। রোজ আমি তার কাছ থেকে শিখি। ঘরের ধুলো পরিষ্কার আর জলরঙে ছবি আঁকা–দুটোতেই নিবেদন লাগে। একই রকম মনোযোগ, নিষ্ঠা লাগে। এক শ রকম ঘটনার মধ্যে থেকেও নিজের জলরংয়ের ছবি কীভাবে আরও ভালো করা যায়, সে জন্য মনা যখন ইউটিউবে বিশ্বখ্যাত জলরং শিল্পীদের অনুশীলন দেখে, যেভাবে দেখে অবাক হই। ভাবি, নিজে শিল্পী হতে চেয়েছি, তবে এতটা মনোযোগী কি কখনো হতে পেরেছি?
সৃষ্টিকর্তা আমাদের ভালো রেখেছেন, রাখবেন–এই আশা। আরও আশা, আমরা উভয়ের জন্য উভয়েই যেন আরও কিছুকাল সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারি। শুভ বিবাহবার্ষিকী মনা।
ঈদে মুক্তি পাওয়া আফরান নিশো অভিনীত ‘দাগি’ সিনেমায় জেফার রহমানের গাওয়া ‘নিয়ে যাবে কি’ শিরোনামের গানটি ইতিমধ্যেই শ্রোতাদের মন ছুঁয়েছে। অনলাইনেও গানটি নেটিজেনদের প্রশংসা কুড়াচ্ছে। ‘নিয়ে যাবে কি আমায় দূরে কল্পনায়, তোমার আর আমার গল্পে কি আবার হবে নতুন সূচনা’ এমন কথায় গানটি লিখেছেন বাঁধন, সুর করেছেন জেফার
৪ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক নৃত্য দিবসে নতুন উদ্যোগের কথা জানালেন অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী উম্মে হাবিবা। রাজধানীর নিকেতনে শুরু করেছেন নিজের নৃত্য প্রতিষ্ঠান। টিম কালারস ড্যান্স ক্লাস নামের এই প্রতিষ্ঠানে ভরতনাট্যম, সেমি-ক্লাসিক্যাল, কনটেম্পরারি ও বলিউড নৃত্যশৈলীতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
৪ ঘণ্টা আগেমহান মে দিবসে শিশুশিল্পীদের নিয়ে দুরন্ত টিভি প্রচার করবে বিশেষ নৃত্যানুষ্ঠান ‘নোঙর তোলো তোলো’। অনুষ্ঠানটিতে এম আর ওয়াসেকের নৃত্য পরিচালনায় গণসংগীতের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেছে নন্দনকলা কেন্দ্রের নৃত্যশিল্পী পুষ্পিতা, অর্পিতা, ইমি, পিউ, ইরা, অর্জন, মাহমুদা, শ্রেষ্ঠা, লাবিবা, সিলভা, সাদিয়া, সিজান, সিফা
৪ ঘণ্টা আগেদীর্ঘ খরা কাটিয়ে ২০২৩ সালে পরপর তিন সিনেমা দিয়ে রাজকীয় প্রত্যাবর্তন ঘটে শাহরুখ খানের। ‘পাঠান’, ‘জওয়ান’ ও ‘ডানকি’ দিয়ে সে বছর বক্স অফিসে নয়া রেকর্ড গড়েন বলিউড বাদশা। এরপর কিছুটা বিরতি। গত বছর কোনো সিনেমা মুক্তি পায়নি শাহরুখের, এ বছরটাও ফাঁকা যাবে। নতুন সিনেমা নিয়ে তিনি প্রেক্ষাগৃহে ফিরবেন ২০২৬ সালে।
৪ ঘণ্টা আগে