বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের পোশাকশিল্পের ইতিহাসে এক শোকাবহ দিন ২৪ এপ্রিল। আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠন আইএলওর হিসাবমতে, ২০১৩ সালের এই দিনে সাভারে রানা প্লাজা ধসে ১ হাজার ১৩২ জন নিহত হন। আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় প্রায় আড়াই হাজার মানুষকে। রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি নিয়ে ২০১৫ সালে নির্মাতা কামার আহমাদ সাইমন বানিয়েছেন ‘একটি সূতার জবানবন্দী’। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় শিল্প দুর্ঘটনা রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির এক যুগ পূর্তির দিনে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পাচ্ছে চলচ্চিত্রটি। মাঝে কয়েকটি বিশেষ প্রদর্শনী হলেও নির্মাণের ১০ বছর পর দর্শকদের জন্য মুক্তি দেওয়া হচ্ছে সিনেমাটি।
পোশাকশিল্পের দুর্ঘটনা ও কর্মীদের মানবেতর জীবনযাপন নিয়ে তৈরি হয়েছে একটি সূতার জবানবন্দী। এর দৈর্ঘ্য ৫২ মিনিট। তবে একে প্রামাণ্যচিত্র বা পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বলতে নারাজ নির্মাতা। কামার আহমাদ সাইমনের ভাষায় একটি সূতার জবানবন্দী হলো একটি অসমাপ্ত মনোলগ কোলাজ।
কামার আহমাদ সাইমন বলেন, ‘আকিরা কুরোসাওয়ার রাশোমনের (১৯৫০) অনুপ্রেরণায় একটি সূতার জবানবন্দী ৫২ মিনিটের একটি মনোলগ কোলাজ। আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে মারাত্মক কাঠামোগত ব্যর্থতার সংখ্যার পেছনে মানুষের মুখ খুঁজে বের করার চেষ্টা। রানা প্লাজার পর আমাদের সমাজে যে ব্যাপক আলোচনা চলছিল, সেইটা নিয়ে একটা রিসার্চ করছিলাম। একটা পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা বানানোর ইচ্ছা ছিল, শেষ পর্যন্ত সিনেমাটি বানানো যায়নি। কারণ অনেক, আমরা তখন নতুন করে সেলফ সেন্সরড হতে শুরু করেছিলাম। তা ছাড়া নিউ লিবারেল পুঁজির দাপটে গোটা কালচারাল ইন্ডাস্ট্রিই তখন এক অর্থে লুম্পেনাইজড। তাই এর রিসার্চ ম্যাটেরিয়াল জোড়া দিয়ে একরকম অসম্পূর্ণ একটা কোলাজ দাঁড় করেছিলাম, যেটাকে প্রামাণ্যচিত্র বা ফিচার সিনেমা কোনোটাই বলা যাবে না। আমি বলি অসম্পূর্ণ মনোলগ কোলাজ, দর্শক স্রেফ ছবি হিসেবে দেখতে পারেন।’
নির্মাণের ১০ বছর পর সিনেমাটি মুক্তি দেওয়া প্রসঙ্গে কামার আহমাদ সাইমন বলেন, ‘আমার সিনেমাগুলো একটু ডিমান্ডিং, সময়ের বিচারে সম্ভবত ১০ বছর আগে বানানো। আমার প্রথম সিনেমা “শুনতে কি পাও”-এর ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছিল, সেটিও ওটিটিতে এসেছে প্রায় ১০ বছর পরে। আমাদের প্রচলিত যে চলচ্চিত্র চর্চা বা কালচারাল ইন্ডাস্ট্রি, তার সঙ্গে এই সিনেমাগুলোর কোনো দেনা-পাওনা ছিল না। কিন্তু এখন বরং একরকম উল্টো, অনেক দিন পরে মানুষ একসঙ্গে পুরোনো বন্দোবস্তগুলো বোঝার চেষ্টা করছে, নতুন করে রাস্তা খুঁজছে। সংস্কৃতিচর্চায় “দায় আর দরদ”-এর প্রশ্ন তাই এখন অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক। এখনকার দর্শকও অনেক এক্সপোজড, তারা সারা দুনিয়ার ফিকশন, নন-ফিকশন, হাইব্রিড অনেক ধরনের কনটেন্ট দেখে অভ্যস্ত।’
পোশাকশিল্পে দুর্ঘটনা ও পোশাককর্মীদের মানবেতর জীবনের যে চিত্র এতে দেখানো হয়েছে, এত দিনেও কি সেই অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে নির্মাতার ভাষ্য, ‘আজকের দুনিয়ায় পোশাকশিল্প হলো নতুন ক্রীতদাস ব্যবস্থা। পার্থক্য শুধু, আগে জলদস্যুরা জোর করে সহজসরল মানুষের ধরে নিয়ে গিয়ে ভিনদেশে দাস হিসেবে বিক্রি করে দিত। আর এখন লিবারেল পুঁজি দেশি রাজনীতি-ব্যবসায়ী-ঠিকাদারের চক্করে দেশে দেশেই দাসব্যবস্থা তৈরি করে। তাই শ্রমিক-কৃষকের আলাপ আমাদের শহরকেন্দ্রিক তত্ত্বালোচনার বাইরেই থাকে। তাই পরিবর্তন তো দূরের কথা, প্রশ্নগুলোই তো আমরা এখনো তুলতে পারিনি।’
কামার আহমাদ সাইমনের রচনা ও পরিচালনা এবং সারা আফরীনের প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে একটি সূতার জবানবন্দী। ২০১৩ সালে ‘দ্য এশিয়ান পিস’ পুরস্কার জয় করেছিল এটি। পরবর্তী সময়ে এশিয়ার অন্যতম চারটি টেলিভিশন—জাপানের এনএইচকে, কোরিয়ার কেবিএস, তাইওয়ানের পিটিএস ও সিঙ্গাপুরের মিডিয়াকর্প যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে সিনেমাটি।
দেশের পোশাকশিল্পের ইতিহাসে এক শোকাবহ দিন ২৪ এপ্রিল। আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠন আইএলওর হিসাবমতে, ২০১৩ সালের এই দিনে সাভারে রানা প্লাজা ধসে ১ হাজার ১৩২ জন নিহত হন। আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় প্রায় আড়াই হাজার মানুষকে। রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি নিয়ে ২০১৫ সালে নির্মাতা কামার আহমাদ সাইমন বানিয়েছেন ‘একটি সূতার জবানবন্দী’। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় শিল্প দুর্ঘটনা রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির এক যুগ পূর্তির দিনে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পাচ্ছে চলচ্চিত্রটি। মাঝে কয়েকটি বিশেষ প্রদর্শনী হলেও নির্মাণের ১০ বছর পর দর্শকদের জন্য মুক্তি দেওয়া হচ্ছে সিনেমাটি।
পোশাকশিল্পের দুর্ঘটনা ও কর্মীদের মানবেতর জীবনযাপন নিয়ে তৈরি হয়েছে একটি সূতার জবানবন্দী। এর দৈর্ঘ্য ৫২ মিনিট। তবে একে প্রামাণ্যচিত্র বা পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বলতে নারাজ নির্মাতা। কামার আহমাদ সাইমনের ভাষায় একটি সূতার জবানবন্দী হলো একটি অসমাপ্ত মনোলগ কোলাজ।
কামার আহমাদ সাইমন বলেন, ‘আকিরা কুরোসাওয়ার রাশোমনের (১৯৫০) অনুপ্রেরণায় একটি সূতার জবানবন্দী ৫২ মিনিটের একটি মনোলগ কোলাজ। আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে মারাত্মক কাঠামোগত ব্যর্থতার সংখ্যার পেছনে মানুষের মুখ খুঁজে বের করার চেষ্টা। রানা প্লাজার পর আমাদের সমাজে যে ব্যাপক আলোচনা চলছিল, সেইটা নিয়ে একটা রিসার্চ করছিলাম। একটা পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা বানানোর ইচ্ছা ছিল, শেষ পর্যন্ত সিনেমাটি বানানো যায়নি। কারণ অনেক, আমরা তখন নতুন করে সেলফ সেন্সরড হতে শুরু করেছিলাম। তা ছাড়া নিউ লিবারেল পুঁজির দাপটে গোটা কালচারাল ইন্ডাস্ট্রিই তখন এক অর্থে লুম্পেনাইজড। তাই এর রিসার্চ ম্যাটেরিয়াল জোড়া দিয়ে একরকম অসম্পূর্ণ একটা কোলাজ দাঁড় করেছিলাম, যেটাকে প্রামাণ্যচিত্র বা ফিচার সিনেমা কোনোটাই বলা যাবে না। আমি বলি অসম্পূর্ণ মনোলগ কোলাজ, দর্শক স্রেফ ছবি হিসেবে দেখতে পারেন।’
নির্মাণের ১০ বছর পর সিনেমাটি মুক্তি দেওয়া প্রসঙ্গে কামার আহমাদ সাইমন বলেন, ‘আমার সিনেমাগুলো একটু ডিমান্ডিং, সময়ের বিচারে সম্ভবত ১০ বছর আগে বানানো। আমার প্রথম সিনেমা “শুনতে কি পাও”-এর ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছিল, সেটিও ওটিটিতে এসেছে প্রায় ১০ বছর পরে। আমাদের প্রচলিত যে চলচ্চিত্র চর্চা বা কালচারাল ইন্ডাস্ট্রি, তার সঙ্গে এই সিনেমাগুলোর কোনো দেনা-পাওনা ছিল না। কিন্তু এখন বরং একরকম উল্টো, অনেক দিন পরে মানুষ একসঙ্গে পুরোনো বন্দোবস্তগুলো বোঝার চেষ্টা করছে, নতুন করে রাস্তা খুঁজছে। সংস্কৃতিচর্চায় “দায় আর দরদ”-এর প্রশ্ন তাই এখন অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক। এখনকার দর্শকও অনেক এক্সপোজড, তারা সারা দুনিয়ার ফিকশন, নন-ফিকশন, হাইব্রিড অনেক ধরনের কনটেন্ট দেখে অভ্যস্ত।’
পোশাকশিল্পে দুর্ঘটনা ও পোশাককর্মীদের মানবেতর জীবনের যে চিত্র এতে দেখানো হয়েছে, এত দিনেও কি সেই অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে নির্মাতার ভাষ্য, ‘আজকের দুনিয়ায় পোশাকশিল্প হলো নতুন ক্রীতদাস ব্যবস্থা। পার্থক্য শুধু, আগে জলদস্যুরা জোর করে সহজসরল মানুষের ধরে নিয়ে গিয়ে ভিনদেশে দাস হিসেবে বিক্রি করে দিত। আর এখন লিবারেল পুঁজি দেশি রাজনীতি-ব্যবসায়ী-ঠিকাদারের চক্করে দেশে দেশেই দাসব্যবস্থা তৈরি করে। তাই শ্রমিক-কৃষকের আলাপ আমাদের শহরকেন্দ্রিক তত্ত্বালোচনার বাইরেই থাকে। তাই পরিবর্তন তো দূরের কথা, প্রশ্নগুলোই তো আমরা এখনো তুলতে পারিনি।’
কামার আহমাদ সাইমনের রচনা ও পরিচালনা এবং সারা আফরীনের প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে একটি সূতার জবানবন্দী। ২০১৩ সালে ‘দ্য এশিয়ান পিস’ পুরস্কার জয় করেছিল এটি। পরবর্তী সময়ে এশিয়ার অন্যতম চারটি টেলিভিশন—জাপানের এনএইচকে, কোরিয়ার কেবিএস, তাইওয়ানের পিটিএস ও সিঙ্গাপুরের মিডিয়াকর্প যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে সিনেমাটি।
গত নভেম্বরে ফার্স্ট লুক পোস্টার প্রকাশ করে আদর আজাদ ও বুবলী অভিনীত ‘পিনিক’ সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। জানানো হয়েছিল, রোজার ঈদে মুক্তির লক্ষ্য নিয়ে তৈরি হচ্ছে সিনেমাটি। শেষ পর্যন্ত ঈদে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হয়নি। রোজার ঈদে না এলেও কোরবানির ঈদে প্রেক্ষাগৃহে আসবে পিনিক। আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি
১১ ঘণ্টা আগেআজ ২৯ এপ্রিল, আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস। এ উপলক্ষে রাত ১০টা ৩০ মিনিটে মাছরাঙা টেলিভিশন প্রচার করবে বিশেষ অনুষ্ঠান ‘মায়া বেঙ্গল ইন মোশন’। সম্প্রতি রাজধানীর গুলশানের একটি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজন করা হয়েছিল অনুষ্ঠানটি। সেটি আজ প্রচার করা হবে দর্শকদের জন্য।
১১ ঘণ্টা আগে‘বজরঙ্গি ভাইজান’ দেখে চোখ ভিজেছিল দর্শকদের। ২০১৫ সালে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি প্রায় ৯৬৯ কোটি রুপি ব্যবসা করেছিল। শুধু টাকার অঙ্ক নয়, সালমানের ক্যারিয়ারও সমৃদ্ধ করেছিল হনুমানভক্ত পবন কল্যাণ আর এক বোবা শিশুর ঘরে ফেরার এই গল্প। অনেক দিন ধরে গুঞ্জন, আসতে পারে বজরঙ্গি ভাইজান-এর সিকুয়েল। এবার সেই গুঞ্জনের
১১ ঘণ্টা আগেজনপ্রিয় কোরিয়ান সিরিজ ‘ডিসেন্ডেন্টস অব দ্য সান’ এবার দেখা যাবে বাংলায়। ভিউজ অ্যান্ড ভিশনসের পরিবেশনায় আগামী ১ মে থেকে স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম টফিতে দেখা যাবে সিরিজটির বাংলা সংস্করণ।
১২ ঘণ্টা আগে