সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
১৫ ডিসেম্বর শুরু করে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত ফসল রক্ষা বাঁধের অর্ধেক কাজ শুরুই হয়নি। তা ছাড়া, বিনা কারণে গতবারের চেয়ে প্রকল্পের পরিমাণ অনেক বাড়ানো হয়েছে। ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারের জন্য বন্যার অজুহাত দেখিয়ে এ বছর দ্বিগুণ বরাদ্দ আনা হয়েছে। বরাদ্দ অনুমোদনের তুলনায় বাঁধের ততটা ক্ষতি হয়নি। আজ সোমবার সকালে এক মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বক্তারা এসব অভিযোগ করেছেন।
হাওর বাঁচলে আমরা বাঁচি—এই স্লোগান সামনে রেখে সুনামগঞ্জে আজ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে হাওর বাঁচাও আন্দোলন। ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ সময়মতো শুরু না করার প্রতিবাদে আজ বেলা সাড়ে ১১টায় সুনামগঞ্জ ট্রাফিক পয়েন্টে এই মানববন্ধন করা হয়। জেলার ১২টি উপজেলায় একযোগে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
হাওর বাঁচাও আন্দোলনের জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক কুদরত পাশা বলেন, গত বছর হাওরের বাঁধ ভেঙে যখন ফসল তলিয়ে যায়, তখন ঢাকা থেকে বড় কর্মকর্তারা ফটোসেশন করার জন্য পরিদর্শনে আসেন। এবার বাঁধের কাজে অবহেলার কারণে ফসলের ক্ষতি হলে কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
হাওর বাঁচাও আন্দোলনের নেতা শহীদ নুর আহমদ বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার বরাদ্দ ও প্রকল্প— দুটিই বাড়ানো হয়েছে, যা একেবারেই অপ্রয়োজনীয়। তিনি বলেন, হাওরে বাঁধের কাজের নামে ফটোসেশন করা হলে হাওর বাঁচাও আন্দোলন এবার দাঁতভাঙা জবাব দেবে।
হাওর বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায় মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বলেন, হাওরের বাঁধ ভেঙে কৃষকের ফসল নষ্ট হলে পাউবো ও প্রশাসনকে জবাবদিহি করতে হবে। তা ছাড়া, বন্যার অজুহাত দেখিয়ে একটি বাঁধকে টুকরো করে দুটি প্রকল্প দেখানোর অভিযোগ করেন তিনি।
হাওর বাঁচাও আন্দোলনের জেলা সভাপতি ইয়াকুব বখত বহলুল বলেন, গত বছর অল্প বৃষ্টিতে বাঁধ ভেঙে কৃষকের ফসল ডুবে যায়। তখন ঢাকা থেকে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা বাঁধ পরিদর্শনের নামে পিকনিকের আয়োজন করেন। এবার বাঁধ ভেঙে ফসলের ক্ষতি হলে কোনো কর্মকর্তা যদি পরিদর্শনে আসেন, তাঁদের রুখে দেওয়া হবে।
বক্তারা আরও বলেন, হাওরে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে কোনো উদ্যোগ নেই। প্রতিবছর নামমাত্র কাজ করে প্রকল্পের নামে লুটপাট চলে। প্রতিটি প্রকল্পের উদ্দেশ্যই থাকে, তা যেন টেকসই না হয়; যাতে পরের বছর আবার কাজ করার নামে লুটপাট করা যায়।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী বলেন, ‘গত বছরের এপ্রিলে আগাম বন্যা ও জুনে ভয়াবহ বন্যায় বাঁধের বেশ ক্ষতি হয়েছে। সার্বিক বিষয়গুলো আমলে নিয়ে আমরা প্রকল্পের সংখ্যা বাড়িয়েছি। তা ছাড়া, গত বছর আগাম বন্যায় ফসল ঝুঁকিতে ছিল। এ বছর ফসল যাতে ঝুঁকিতে না থাকে, সে জন্য বাঁধের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।’
প্রবীর কুমার আরও বলেন, বাঁধের ডিজাইন টিম ঢাকা থেকে এসে সার্ভে করার পর এসব প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ বছর হাওর থেকে পানি নামতে দেরি হয়েছে। ফলে সার্ভে ও পিআইসি (প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি) গঠনে দেরি হয়। তাই কাজ শুরু করতেও দেরি হয়েছে। তবে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই আমরা সব কাজ শেষ করার চেষ্টা করব।’
চলতি বছর সুনামগঞ্জের ১২ উপজেলায় ১ হাজার ১০১টি প্রকল্পের মাধ্যমে ৭৫৯ কিলোমিটার বাঁধের কাজ হওয়ার কথা। তবে এখন পর্যন্ত অনুমোদিত প্রকল্পের মধ্যে ৫১৬টির কাজ চলছে। বাকিগুলোর কাজ এখনো শুরুই হয়নি। এসব প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২০৮ কোটি টাকা। গত বছর প্রকল্প ছিল ৭২৭টি।
১৫ ডিসেম্বর শুরু করে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত ফসল রক্ষা বাঁধের অর্ধেক কাজ শুরুই হয়নি। তা ছাড়া, বিনা কারণে গতবারের চেয়ে প্রকল্পের পরিমাণ অনেক বাড়ানো হয়েছে। ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারের জন্য বন্যার অজুহাত দেখিয়ে এ বছর দ্বিগুণ বরাদ্দ আনা হয়েছে। বরাদ্দ অনুমোদনের তুলনায় বাঁধের ততটা ক্ষতি হয়নি। আজ সোমবার সকালে এক মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বক্তারা এসব অভিযোগ করেছেন।
হাওর বাঁচলে আমরা বাঁচি—এই স্লোগান সামনে রেখে সুনামগঞ্জে আজ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে হাওর বাঁচাও আন্দোলন। ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ সময়মতো শুরু না করার প্রতিবাদে আজ বেলা সাড়ে ১১টায় সুনামগঞ্জ ট্রাফিক পয়েন্টে এই মানববন্ধন করা হয়। জেলার ১২টি উপজেলায় একযোগে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
হাওর বাঁচাও আন্দোলনের জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক কুদরত পাশা বলেন, গত বছর হাওরের বাঁধ ভেঙে যখন ফসল তলিয়ে যায়, তখন ঢাকা থেকে বড় কর্মকর্তারা ফটোসেশন করার জন্য পরিদর্শনে আসেন। এবার বাঁধের কাজে অবহেলার কারণে ফসলের ক্ষতি হলে কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
হাওর বাঁচাও আন্দোলনের নেতা শহীদ নুর আহমদ বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার বরাদ্দ ও প্রকল্প— দুটিই বাড়ানো হয়েছে, যা একেবারেই অপ্রয়োজনীয়। তিনি বলেন, হাওরে বাঁধের কাজের নামে ফটোসেশন করা হলে হাওর বাঁচাও আন্দোলন এবার দাঁতভাঙা জবাব দেবে।
হাওর বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায় মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বলেন, হাওরের বাঁধ ভেঙে কৃষকের ফসল নষ্ট হলে পাউবো ও প্রশাসনকে জবাবদিহি করতে হবে। তা ছাড়া, বন্যার অজুহাত দেখিয়ে একটি বাঁধকে টুকরো করে দুটি প্রকল্প দেখানোর অভিযোগ করেন তিনি।
হাওর বাঁচাও আন্দোলনের জেলা সভাপতি ইয়াকুব বখত বহলুল বলেন, গত বছর অল্প বৃষ্টিতে বাঁধ ভেঙে কৃষকের ফসল ডুবে যায়। তখন ঢাকা থেকে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা বাঁধ পরিদর্শনের নামে পিকনিকের আয়োজন করেন। এবার বাঁধ ভেঙে ফসলের ক্ষতি হলে কোনো কর্মকর্তা যদি পরিদর্শনে আসেন, তাঁদের রুখে দেওয়া হবে।
বক্তারা আরও বলেন, হাওরে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে কোনো উদ্যোগ নেই। প্রতিবছর নামমাত্র কাজ করে প্রকল্পের নামে লুটপাট চলে। প্রতিটি প্রকল্পের উদ্দেশ্যই থাকে, তা যেন টেকসই না হয়; যাতে পরের বছর আবার কাজ করার নামে লুটপাট করা যায়।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী বলেন, ‘গত বছরের এপ্রিলে আগাম বন্যা ও জুনে ভয়াবহ বন্যায় বাঁধের বেশ ক্ষতি হয়েছে। সার্বিক বিষয়গুলো আমলে নিয়ে আমরা প্রকল্পের সংখ্যা বাড়িয়েছি। তা ছাড়া, গত বছর আগাম বন্যায় ফসল ঝুঁকিতে ছিল। এ বছর ফসল যাতে ঝুঁকিতে না থাকে, সে জন্য বাঁধের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।’
প্রবীর কুমার আরও বলেন, বাঁধের ডিজাইন টিম ঢাকা থেকে এসে সার্ভে করার পর এসব প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ বছর হাওর থেকে পানি নামতে দেরি হয়েছে। ফলে সার্ভে ও পিআইসি (প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি) গঠনে দেরি হয়। তাই কাজ শুরু করতেও দেরি হয়েছে। তবে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই আমরা সব কাজ শেষ করার চেষ্টা করব।’
চলতি বছর সুনামগঞ্জের ১২ উপজেলায় ১ হাজার ১০১টি প্রকল্পের মাধ্যমে ৭৫৯ কিলোমিটার বাঁধের কাজ হওয়ার কথা। তবে এখন পর্যন্ত অনুমোদিত প্রকল্পের মধ্যে ৫১৬টির কাজ চলছে। বাকিগুলোর কাজ এখনো শুরুই হয়নি। এসব প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২০৮ কোটি টাকা। গত বছর প্রকল্প ছিল ৭২৭টি।
রাজধানীর মিরপুরে ছিনতাইয়ের ঘটনায় ইমরান খান সাকিব ওরফে শাকিল (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে মিরপুর মডেল থানা-পুলিশ। ডিএমপি জানায়, শাকিল পেশাদার ছিনতাইকারী। গতকাল শুক্রবার সকাল ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে গাজীপুরের পুবাইল থানার কুদাব পশ্চিমপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়...
১৮ দিন আগেরাজধানীর খিলগাঁওয়ের তালতলায় ‘আপন কফি হাউসে’ তরুণীকে মারধরের ঘটনায় কফি হাউসের ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) আল আমিন ও কর্মচারী শুভ সূত্রধরকে এক দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাকিবুল হাসান এ আদেশ দেন।
২১ দিন আগেক্যামেরার লেন্সে ধরা পড়ল অমানবিক দৃশ্য— মেয়েটিকে বেশ কিছুক্ষণ ধমকানো হলো। এরপর ঘাড় ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়। সে যেন মানুষ নয়, পথের ধুলো। এর মধ্যেই এক কর্মচারী হঠাৎ মোটা লাঠি নিয়ে আঘাত করে তাঁর ছোট্ট পায়ে। শিশুটি কাতরাতে কাতরাতে পাশের দুটি গাড়ির ফাঁকে আশ্রয় নেয়। কিন্তু নির্যাতন থামে না, সেই লাঠি আব
২২ দিন আগেটিআইবি নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘ধর্ষণ’ শব্দ ব্যবহার না করার অনুরোধের মাধ্যমে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বাস্তবে ধর্ষকের পক্ষ নিচ্ছেন। তিনি এই বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে বলেন, অপরাধকে লঘু করার কোনো...
১৬ মার্চ ২০২৫