Ajker Patrika

পরিবহন শ্রমিকদের লোভের কারণেই মহাসড়ক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে: র‍্যাব

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পরিবহন শ্রমিকদের লোভের কারণেই মহাসড়ক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে: র‍্যাব

টাঙ্গাইলে মহাসড়কে চলন্ত বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী রতনসহ ডাকাত চক্রের ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। পরিবহন শ্রমিকদের বাড়তি আয়ের লোভের কারণে মাঝ রাস্তা থেকে টিকিট ছাড়া যাত্রী তোলায় মহাসড়কে যাতায়াতে ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছে র‍্যাব। 

সংস্থাটি বলছে, মহাসড়কে ডাকাতি রোধে টিকিট কেনার সময় কাউন্টার থেকে সঠিক জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও মোবাইল নম্বর ব্যবহার করলে ডাকাতির ঘটনা কমে আসবে। আর রাস্তার মাঝ থেকে ভুলেও যাত্রী তোলা যাবে না। 

আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের এসব কথা বলেন র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনায় ১০ ডাকাত গ্রেপ্তারের বিষয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। 

টাঙ্গাইল ও মধুপুরে বারবার ডাকাতি হচ্ছে। এরপরও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেন কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘ডাকাতির ঘটনায় আমরা আমাদের দায় এড়াতে পারি না। পাশাপাশি রাতে মহাসড়ক থেকে বাসে যাত্রী ওঠানো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। যাত্রীরা অস্ত্রশস্ত্র ব্যাগে নিয়ে বাসে উঠছে কিন্তু তাকে কোনো চেকআপ ছাড়াই বাসে ওঠানো হচ্ছে। বাসের সুপারভাইজার, হেলপার কিংবা চালক টাকার লোভে টিকিট ছাড়া রাস্তা থেকে যাত্রী তুলছে। এ বিষয়ে সবাই যদি সতর্ক থাকা যায় তবে ডাকাতির ঘটনা কমে আসবে।’ 

যাত্রী বহনের সময় সিসিটিভি ফুটেজ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে চলে এলে ডাকাতি অনেকাংশে কমে যেত বলেও দাবি করেন কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। 
 
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার মূল পরিকল্পনাকারী রতন এর আগে ১০টি বাসে ডাকাতি করেছে। তবে শ্লীলতাহানি বা ধর্ষণের মতো ঘটনা এর আগে কোনো বাসে করেনি বলে প্রাথমিকভাবে তারা জানিয়েছে। তবে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদে বিষয়টি নিশ্চিতভাবে জানা যাবে।’ 

গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে কে কে ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত ছিল এমন প্রশ্নে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘১৬৪ ধারায় জবানবন্দি ও মেডিকেল পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যাবে শ্লীলতাহানির সঙ্গে কারা জড়িত ছিল।’ 

মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার করলেও যাত্রীদের খোয়া যাওয়া টাকা উদ্ধার করতে পারেনি র‍্যাব। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কমান্ডার মঈন বলেন, ‘আপনারা জানেন, গাড়িতে ডাকাতির সময় ভাগাভাগি নিয়ে ডাকাতদের মধ্যে তর্কবিতর্কের সৃষ্টি হয়। এরপর টাঙ্গাইলের একটি বাসায় গিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া টাকা ও অন্যান্য সামগ্রী ডাকাতরা ভাগ বাঁটোয়ারা করে নেয়। নগদ অর্থ পেয়ে ডাকাতেরা খরচ করে ফেলে। ফলে নগদ টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। কত টাকা ডাকাতেরা যাত্রীদের কাছ থেকে নিয়েছিল সেটিও প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি।’ 

 ‘স্ক্যানিং’ ছাড়া বাসে যাত্রী নেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘যদি কোনো যাত্রী বোমা নিয়ে বাসে ওঠে তাহলে সেটি বাসে থাকা সব যাত্রীর জন্য বিপজ্জনক।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইরানের ‘দানবীয় ক্ষেপণাস্ত্রের’ সামনে উন্মুক্ত ইসরায়েলের ‘অ্যাকিলিস হিল’

ভারতীয় বিমানবন্দরে ১১ দিন ধরে পড়ে আছে ব্রিটিশ এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, ঘনাচ্ছে রহস্য

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফল আজ, যেভাবে দেখবেন

মামদানি শতভাগ কমিউনিস্ট উন্মাদ, দেখতেও খারাপ: ট্রাম্প

সারজিস আলমের পোস্ট: সেই সাবরেজিস্ট্রারের অফিসে দুদকের অভিযান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত