গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্রে করে বরিশালের গৌরনদীতে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীর হামলায় এক নারী নিহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে আহত হয়েছেন আরও ৫ জন। এ সময় একটি বসতঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত ৭টার দিকে উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়নের বংকুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার সকালে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন নিহতের ভাতিজা মো. হানিফ।
এ মামলার আসামিরা হলেন, যুবলীগ নেতা নাসির কাজী (৪৫), ছাত্রলীগ নেতা সজীবুর রহমান (২৫), তাঁদের সহযোগী মো. রাব্বি (২৬), ডায়মন্ড (৩৫), সম্রাট (২৫), মো. সাব্বির (২০), মো. রিয়াজসহ (২৭) ১৬ জন।
প্রত্যক্ষদর্শী, নিহতের পরিবার ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়নের বংকুরা গ্রামের আর্শেদ বয়াতির ছেলে দুলাল বয়াতি (৪৫) সঙ্গে একই গ্রামের সৌদিপ্রবাসী বারেক বেপারীর স্ত্রী রিনা বেগমের (৩৮) বিরোধ চলছিল। গত মঙ্গলবার দুলাল বয়াতি রিনা বেগমের জমিতে ঘাস কাটতে যান। এ সময় উভয়ের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি হয়। একপর্যায়ে রিনা বেগম দুলাল বয়াতিকে চড়থাপ্পড় মারলে দুলালও রিনা বেগমকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন।
বিষয়টি রিনা বেগম তাঁর মেয়ে সোনিয়ার স্বামী গৌরনদী পৌর সদরের আশোকাঠি গ্রামের মো. নান্নু কাজীর ছেলে ও উপজেলা যুবলীগের সদস্য মো. নাসির কাজীকে (৪৫) অবহিত করেন। এরপর নাসির কাজী তাঁর বন্ধু গৌরনদী উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য সজীবুর রহমান ওরফে জিয়াসহ ২০ / ২৫ জন নেতা-কর্মী নিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় বংকুরা গ্রামে গিয়ে হামলা চালান।
নিহতের ভাতিজা মো. রকি বয়াতি অভিযোগ করে বলেন, মঙ্গলবারের হাতাহাতির ঘটনার জের ধরে রিনা বেগমের মেয়ে জামাতা যুবলীগ নেতা নাসির কাজী ও ছাত্রলীগ নেতা সজীবুর রহমান জিয়ার নেতৃত্বে ২০ / ২৫ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে চাচা দুলাল বয়াতির বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা চাচা দুলাল বয়াতির বসত ঘরের ব্যাপক ভাঙচুর করে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী প্রতিবেশী মাজেদ সরদার (৩৮) জানান, সন্ধ্যা ৭টার দিকে নিজ বাড়ি যাওয়ার পথে দুলাল বয়াতির বাড়িতে হামলার ঘটনা দেখে এগিয়ে যাই। সেখানে রিনা বেগমের মেয়ে জামাতা নাসির কাজীর নেতৃত্বে ২০ / ২৫ জন হামলা চালান। হামলাকারীরা দুলাল বয়াতিকে লক্ষ্য করে ধারালো অস্ত্রের আঘাত করতে যান। এ সময় ভাইকে রক্ষা করতে বোন শুকুরন বেগম (৪৮) এগিয়ে গেলে মাথায় আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এ ঘটনায় আহত হন দুলাল বয়াতি, তাঁর স্ত্রী শিল্পি বেগম (৩২), মেয়ে মনিকা আক্তার (১৫), শ্যালিকা মিনারা বেগম (৪৫) ও প্রতিবেশী মাজেদ সরদার (৩৮)। আহতদের গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মনতোষ হালদার জানান, নিহত শুকুরন বেগমের মাথায় ধারালো অস্ত্রে আঘাত রয়েছে। আঘাতের গভীরতা বেশি হওয়ায় অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের ফলে তিনি মারা গেছে।
মামলার বাদী নিহতের ভাতিজা হানিফ বলেন, ‘ছাত্রলীগের ২০-২৫ জন নেতা-কর্মী আমার চাচার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় আমার মা, চাচাতো বোন এবং আমার চাচিকে কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আমার চাচি মারা যায়।’
এদিকে প্রবাসীর স্ত্রী রিনা বেগম ও তাঁর জামাতা নাসির কাজী ও তাঁর বন্ধু ছাত্রলীগ নেতা সজীবুর রহমানের কাছে অভিযোগের ব্যাপারে জানতে একাধিকবার কল করলে তাদের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। ঘটনার পর থেকে তাঁরা গা ঢাকা দিয়েছে।
তবে রিনা বেগমের মেয়ে নাসির কাজীর স্ত্রী সোনিয়া আক্তারের কাছে অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন, ‘বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আমার মা ও স্বামী আমাকে ফোন করে বাড়িতে কিছু ঝামেলা হয়েছে বলে জানায়। এরপর ফোন বন্ধ করে দেয়। তারপর থেকে আর তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না। ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না।’
এদিকে ছাত্রলীগের কর্মীদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে কল করা হলে গৌরনদী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়ের ইসলাম সান্টু ভূঁইয়া কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসেন বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাতিজা মো. হানিফ বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ১০ / ১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্রে করে বরিশালের গৌরনদীতে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীর হামলায় এক নারী নিহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে আহত হয়েছেন আরও ৫ জন। এ সময় একটি বসতঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত ৭টার দিকে উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়নের বংকুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার সকালে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন নিহতের ভাতিজা মো. হানিফ।
এ মামলার আসামিরা হলেন, যুবলীগ নেতা নাসির কাজী (৪৫), ছাত্রলীগ নেতা সজীবুর রহমান (২৫), তাঁদের সহযোগী মো. রাব্বি (২৬), ডায়মন্ড (৩৫), সম্রাট (২৫), মো. সাব্বির (২০), মো. রিয়াজসহ (২৭) ১৬ জন।
প্রত্যক্ষদর্শী, নিহতের পরিবার ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়নের বংকুরা গ্রামের আর্শেদ বয়াতির ছেলে দুলাল বয়াতি (৪৫) সঙ্গে একই গ্রামের সৌদিপ্রবাসী বারেক বেপারীর স্ত্রী রিনা বেগমের (৩৮) বিরোধ চলছিল। গত মঙ্গলবার দুলাল বয়াতি রিনা বেগমের জমিতে ঘাস কাটতে যান। এ সময় উভয়ের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি হয়। একপর্যায়ে রিনা বেগম দুলাল বয়াতিকে চড়থাপ্পড় মারলে দুলালও রিনা বেগমকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন।
বিষয়টি রিনা বেগম তাঁর মেয়ে সোনিয়ার স্বামী গৌরনদী পৌর সদরের আশোকাঠি গ্রামের মো. নান্নু কাজীর ছেলে ও উপজেলা যুবলীগের সদস্য মো. নাসির কাজীকে (৪৫) অবহিত করেন। এরপর নাসির কাজী তাঁর বন্ধু গৌরনদী উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য সজীবুর রহমান ওরফে জিয়াসহ ২০ / ২৫ জন নেতা-কর্মী নিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় বংকুরা গ্রামে গিয়ে হামলা চালান।
নিহতের ভাতিজা মো. রকি বয়াতি অভিযোগ করে বলেন, মঙ্গলবারের হাতাহাতির ঘটনার জের ধরে রিনা বেগমের মেয়ে জামাতা যুবলীগ নেতা নাসির কাজী ও ছাত্রলীগ নেতা সজীবুর রহমান জিয়ার নেতৃত্বে ২০ / ২৫ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে চাচা দুলাল বয়াতির বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা চাচা দুলাল বয়াতির বসত ঘরের ব্যাপক ভাঙচুর করে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী প্রতিবেশী মাজেদ সরদার (৩৮) জানান, সন্ধ্যা ৭টার দিকে নিজ বাড়ি যাওয়ার পথে দুলাল বয়াতির বাড়িতে হামলার ঘটনা দেখে এগিয়ে যাই। সেখানে রিনা বেগমের মেয়ে জামাতা নাসির কাজীর নেতৃত্বে ২০ / ২৫ জন হামলা চালান। হামলাকারীরা দুলাল বয়াতিকে লক্ষ্য করে ধারালো অস্ত্রের আঘাত করতে যান। এ সময় ভাইকে রক্ষা করতে বোন শুকুরন বেগম (৪৮) এগিয়ে গেলে মাথায় আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এ ঘটনায় আহত হন দুলাল বয়াতি, তাঁর স্ত্রী শিল্পি বেগম (৩২), মেয়ে মনিকা আক্তার (১৫), শ্যালিকা মিনারা বেগম (৪৫) ও প্রতিবেশী মাজেদ সরদার (৩৮)। আহতদের গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মনতোষ হালদার জানান, নিহত শুকুরন বেগমের মাথায় ধারালো অস্ত্রে আঘাত রয়েছে। আঘাতের গভীরতা বেশি হওয়ায় অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের ফলে তিনি মারা গেছে।
মামলার বাদী নিহতের ভাতিজা হানিফ বলেন, ‘ছাত্রলীগের ২০-২৫ জন নেতা-কর্মী আমার চাচার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় আমার মা, চাচাতো বোন এবং আমার চাচিকে কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আমার চাচি মারা যায়।’
এদিকে প্রবাসীর স্ত্রী রিনা বেগম ও তাঁর জামাতা নাসির কাজী ও তাঁর বন্ধু ছাত্রলীগ নেতা সজীবুর রহমানের কাছে অভিযোগের ব্যাপারে জানতে একাধিকবার কল করলে তাদের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। ঘটনার পর থেকে তাঁরা গা ঢাকা দিয়েছে।
তবে রিনা বেগমের মেয়ে নাসির কাজীর স্ত্রী সোনিয়া আক্তারের কাছে অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন, ‘বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আমার মা ও স্বামী আমাকে ফোন করে বাড়িতে কিছু ঝামেলা হয়েছে বলে জানায়। এরপর ফোন বন্ধ করে দেয়। তারপর থেকে আর তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না। ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না।’
এদিকে ছাত্রলীগের কর্মীদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে কল করা হলে গৌরনদী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়ের ইসলাম সান্টু ভূঁইয়া কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসেন বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাতিজা মো. হানিফ বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ১০ / ১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
রাজধানীর মিরপুরে ছিনতাইয়ের ঘটনায় ইমরান খান সাকিব ওরফে শাকিল (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে মিরপুর মডেল থানা-পুলিশ। ডিএমপি জানায়, শাকিল পেশাদার ছিনতাইকারী। গতকাল শুক্রবার সকাল ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে গাজীপুরের পুবাইল থানার কুদাব পশ্চিমপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়...
১৩ দিন আগেরাজধানীর খিলগাঁওয়ের তালতলায় ‘আপন কফি হাউসে’ তরুণীকে মারধরের ঘটনায় কফি হাউসের ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) আল আমিন ও কর্মচারী শুভ সূত্রধরকে এক দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাকিবুল হাসান এ আদেশ দেন।
১৬ দিন আগেক্যামেরার লেন্সে ধরা পড়ল অমানবিক দৃশ্য— মেয়েটিকে বেশ কিছুক্ষণ ধমকানো হলো। এরপর ঘাড় ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়। সে যেন মানুষ নয়, পথের ধুলো। এর মধ্যেই এক কর্মচারী হঠাৎ মোটা লাঠি নিয়ে আঘাত করে তাঁর ছোট্ট পায়ে। শিশুটি কাতরাতে কাতরাতে পাশের দুটি গাড়ির ফাঁকে আশ্রয় নেয়। কিন্তু নির্যাতন থামে না, সেই লাঠি আব
১৬ দিন আগেটিআইবি নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘ধর্ষণ’ শব্দ ব্যবহার না করার অনুরোধের মাধ্যমে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বাস্তবে ধর্ষকের পক্ষ নিচ্ছেন। তিনি এই বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে বলেন, অপরাধকে লঘু করার কোনো...
১৬ মার্চ ২০২৫