Ajker Patrika

রাস্তায় বাঁশের বেড়া, সাত দিন ধরে অবরুদ্ধ পরিবার

মেলান্দহ (জামালপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২২, ১২: ০৪
রাস্তায় বাঁশের বেড়া, সাত দিন ধরে অবরুদ্ধ পরিবার

জামালপুরের মেলান্দহে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এতে একটি পরিবার সাত দিন ধরে অবরুদ্ধ আবস্থায় আছে। উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের ভালুকা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সাত দিন ধরে গরু নিয়ে ভুক্তভোগী খুকির পরিবারের লোকজন রাস্তায় রাত কাটাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে, জমি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে আদালতে মামলা আছে। তাই তাদের পক্ষ থেকে কোনো হস্তক্ষেপ করা হয়নি।

উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নে ভালুকা এলাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, খুকি বেওয়ার বাড়ির লোকজনের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। বাড়ির পাশে রাস্তায় গরু ছাগল নিয়ে অবস্থান করছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।

খুকি বেওয়া বলেন, ‘আমরা বাড়ির মধ্যে যাইতে পারতাছি না। বেড়া দিয়ে রাখছে আব্দুর রহমানসহ সাবেদ আলীর বংশের লোকজন। গরু-ছাগল নিয়ে রাস্তায় আছি। এই বেড়া দেওয়া নিয়ে আগেও আমার মেয়েকে সাবেদ আলী, আব্দুর রহমান, মমতাজ উদ্দীন মারধর করছে। আমার স্বামী অনেক আগেই মারা গেছে। খুব গরিব মানুষ আমরা। সামান্য জায়গায় গরু বাছুর পালন করে কোনো রকম দিন চলে। সাত দিন ধইরা বাঁশের বেড়া দিয়ে রাখছে। গরু নিয়ে এখন বাড়িতে যাইতে পারতাছি না।’

ভুক্তভোগী খুকি বেওয়ার মেয়ে তহিরন বেগম বলেন, ‘আমারে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করছে মমতাজ উদ্দিন, সামাদ আলীসহ তাঁদের লোকজন। আমাকে মারধর করা হলে আমার বোন মেলান্দহ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তিন দিন থাইকা সুস্থ হইলাম। এই জমিজমার বিষয় নিয়ে থানায় মামলাও রয়েছে।’

স্থানীয়রা বলছেন, ‘কয়েক দিন ধরে খুকি ও তাঁর মেয়ে ও মেয়ের জামাই গরু রাস্তায় বেঁধে রেখেছেন। গরু নিয়ে বাড়ি প্রবেশ করতে পারছেন না।

এ বিষয়ে আব্দুর রহমান বলেন, ‘আমাদের জায়গায় আমরা বেড়া দিয়ে রেখেছি। পৃথিবী উল্টে গেলেও ওই বেড়া ভাঙা হবে না। ওই রাস্তা দিয়ে তাঁরা বাড়িতে ঢুকতে পারবে না। আমাদের বাড়ির ওপর দিয়ে জায়গা রয়েছে, সেটা দিয়ে চলাচল করবে কোনো সমস্যা নেই। তবে গরু-বাছুর নিয়ে ঢুকতে পারবে না। খুকি বাড়িতে যাওয়া-আসা করবে কোনো সমস্যা নাই, তবে তাঁর মেয়েরা বাড়িতে ঢুকতে পারবে না। এ জায়গা নিয়ে একাধিক মামলাও চলমান রয়েছে।’

কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুস ছালাম বলেন, ‘বাঁশ দিয়ে বেড়া দেওয়ার ঘটনাটি সত্য। সে মেয়ে মানুষ তাই অন্যদের সঙ্গে শক্তিতে পারতাছে না। পুলিশ গিয়েছিল। তাঁরা বলছে আমরা কি করব?

মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ময়নুল ইসলাম বলেন, ‘জমি নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চলছে। মারামারির ঘটনাটি আমরা জানি না। জমিজমা নিয়ে মামলা হয়েছে, সেইটা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।’

মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শফিকুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়টি প্রথম আপনাদের কাছ থেকে জানলাম। এটা নিয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পাকিস্তানে কীভাবে হামলা চালাতে পারে ভারত, ইতিহাস যা বলছে

প্রবাসীর রেমিট্যান্সের অর্থ আত্মসাৎ, নারী ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে

জনবল-সরঞ্জাম বেশি হলেও সমরশক্তিতে ভারত কি পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে

ভারতের সঙ্গে সংঘাতে পাকিস্তানের ভাগ্যনিয়ন্তা সেনাপ্রধান জেনারেল মুনির

ইতিহাস গড়ে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদে আইএসআইপ্রধান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত