Ajker Patrika

গুদামের কৃষি প্রণোদনার মালামাল গোপনে বিক্রি

ঝালকাঠি প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২১, ১৭: ১০
গুদামের কৃষি প্রণোদনার মালামাল গোপনে বিক্রি

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার গুদামে মজুত রাখা কৃষি প্রণোদনার মালপত্র অবৈধভাবে বিক্রি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট অফিসের উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা খোকন চন্দ্র রায়ের নির্দেশে মোকাদ্দম ছালাম গাজী এই মালপত্র বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই দুজনকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইসরাত জাহান মিলি। গত সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি। এদিকে এই ঘটনায় কৃষকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, গত ৩ নভেম্বর ভোর সাড়ে ৫টার দিকে কৃষি অফিসের গুদামে থাকা কৃষি প্রণোদনার বিপুল পরিমাণ সার ও বীজ, কয়েকটি ড্রাম,৪-৫টি জাল ও ৫-৬ সেট পাইপ উপজেলার কুলকাঠি ইউনিয়নের এক কৃষকের কাছে অবৈধভাবে বিক্রি করেন সংশ্লিষ্ট অফিসের মোকাদ্দম ছালাম গাজী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা খোকন চন্দ্র রায়। গুদাম থেকে এসব মালামাল বিক্রির ঘটনা দেখে ফেলেন স্থানীয়রা। পরবর্তীতে ঘটনাটি জানাজানি হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে ওই দিন দুপুরে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইসরাত জাহান মিলি ওই দুজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। এতে অফিস প্রধানের অনুমতি ছাড়া অফিস সময় ব্যতীত আজিজ নামে কৃষককে ২টি জাল, একটি ড্রাম ও ২টি পাইপ দেওয়ার বিষয় উল্লেখ করা হয়। নোটিশে ওই দুজনের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা খোকন চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমি অফিসের পাশে একটি ভবনে ভাড়া থাকি। ওই দিন ভোরে মোকাদ্দম ছালাম গাজী আমাকে গুদামের সামনে ডেকে নেন। তবে প্রণোদনার মালপত্র ওই কৃষকের কাছে বিক্রি বা প্রদানের ঘটনায় আমি জড়িত নই।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইসরাত জাহান মিলি বলেন, ‘ওই দুজনকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ৩ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের জবাব দিতে বলা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত