আজকের পত্রিকা ডেস্ক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কের খগড়ের কারণে এখনো অস্থির হয়ে আছে বিশ্ববাজার। এর ফলে, আজ সোমবার সোনার দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং ডলারের মান পড়ে গেছে বেশ খানিকটা। ফলে, পুঁজিবাজারে মিশ্র প্রবণতা দেখা গেছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোনার ক্রমবর্ধমান হারে দাম বৃদ্ধি, ডলারের পতন এবং শেয়ারবাজারের অস্থিরতার পেছনের মূল কারণ—ট্রাম্পের আগ্রাসী শুল্ক নীতি এবং মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের সঙ্গে তাঁর প্রকাশ্য সংঘাত।
ইস্টার সানডের ছুটি চলায় অনেক বাজার বন্ধ থাকলেও, বিনিয়োগকারীরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। কারণ, চলতি সপ্তাহে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক উপাত্ত, যা ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাব বোঝাতে সাহায্য করবে।
শুল্কের চাপ কিছুটা কমাতে জাপানসহ বেশ কয়েকটি দেশ এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করার চেষ্টা করছে। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স আজ সোমবার ভারতে পৌঁছেছেন বাণিজ্য আলোচনা চালাতে। দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থ ও বাণিজ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলও ওয়াশিংটনে বৈঠকে বসছে।
কিন্তু চীন আজ সোমবার কড়া ভাষায় সতর্ক করে দিয়েছে—কোনো দেশ যেন বেইজিংয়ের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করে এমন চুক্তিতে না যায়। যুক্তরাষ্ট্র যেখানে অন্যান্য দেশের ওপর ১০ শতাংশ হারে ‘বেজলাইন ট্যারিফ’ বা ভিত্তি শুল্ক বসিয়েছে, চীনের ক্ষেত্রে সেটা অনেক বেশি—অনেক পণ্যে ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত। জবাবে চীনও মার্কিন পণ্যে ১২৫ পর্যন্ত শুল্ক বসিয়েছে।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আপস সব সময় শান্তি আনে না এবং স্বার্থের বিনিময়ে আপস কখনো সম্মান পায় না। নিজের স্বার্থ রক্ষার নামে অন্যের ক্ষতি করলে শেষ পর্যন্ত উভয় পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বিশ্ব বাণিজ্যে উন্মুক্ততা, পারস্পরিক লাভ ও সমঝোতার পক্ষে মত দিয়ে বলেছেন, একতরফা সিদ্ধান্ত ও বাণিজ্য রক্ষা নীতি ক্ষতিকর।
চীন থেকে আসা ছোট প্যাকেটের জন্যও শুল্কমুক্ত সুবিধা বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ধারণা করা হচ্ছে, এই পদক্ষেপ মূলত টেমু ও শেইনের মতো চীনা অনলাইন খুচরো বিক্রেতাদের টার্গেট করেই নেওয়া হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে ডিএইচএল ঘোষণা দিয়েছে—তারা যুক্তরাষ্ট্রে ৮০০ ডলারের বেশি মূল্যের ব্যবসায়িক পণ্য পাঠানো সাময়িকভাবে বন্ধ রাখবে।
এই অবস্থায় সোনার দাম এই অবস্থায় লাফিয়ে উঠে আউন্সপ্রতি (২৮.৩৫ গ্রাম) ৩ হাজার ৩৯৩ ডলার ছুঁয়েছে। বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ সম্পদ হিসেবে স্বর্ণে ঝুঁকছেন। ডলারের দুর্বলতাও এতে সহায়তা করেছে। এই দুর্বলতার পেছনে অন্যতম কারণ—ট্রাম্পের সঙ্গে ফেড চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের বিরোধ। পাওয়েল সম্প্রতি বলেছেন, ট্রাম্পের শুল্ক নীতির কারণে মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে এবং সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা নেই।
জবাবে ট্রাম্প হুমকির সুরে বলেন, আমি যদি চাই, তিনি (পাওয়েল) খুব তাড়াতাড়ি চলে যাবেন। পাওয়েল যদিও স্পষ্ট করেছেন, তিনি পদত্যাগ করবেন না এবং ফেডের স্বাধীনতা আইনসম্মত বিষয়। শিকাগো ফেডের প্রধান অস্টান গুলসবিও বলেছেন, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিচালনা করা জরুরি—এ বিষয়ে অর্থনীতিবিদদের মধ্যে প্রায় সর্বসম্মত মত রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে শেয়ারবাজারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। টোকিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইয়েনের শক্তিশালী অবস্থানে, তবে সাংহাই, সিউল, সিঙ্গাপুর ও মুম্বাইতে ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। এ ছাড়া, তেলের দাম পড়ে গেছে—বিশ্ব অর্থনীতির দুর্বল ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ এর পেছনে প্রধান কারণ।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কের খগড়ের কারণে এখনো অস্থির হয়ে আছে বিশ্ববাজার। এর ফলে, আজ সোমবার সোনার দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং ডলারের মান পড়ে গেছে বেশ খানিকটা। ফলে, পুঁজিবাজারে মিশ্র প্রবণতা দেখা গেছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোনার ক্রমবর্ধমান হারে দাম বৃদ্ধি, ডলারের পতন এবং শেয়ারবাজারের অস্থিরতার পেছনের মূল কারণ—ট্রাম্পের আগ্রাসী শুল্ক নীতি এবং মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের সঙ্গে তাঁর প্রকাশ্য সংঘাত।
ইস্টার সানডের ছুটি চলায় অনেক বাজার বন্ধ থাকলেও, বিনিয়োগকারীরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। কারণ, চলতি সপ্তাহে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক উপাত্ত, যা ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাব বোঝাতে সাহায্য করবে।
শুল্কের চাপ কিছুটা কমাতে জাপানসহ বেশ কয়েকটি দেশ এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করার চেষ্টা করছে। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স আজ সোমবার ভারতে পৌঁছেছেন বাণিজ্য আলোচনা চালাতে। দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থ ও বাণিজ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলও ওয়াশিংটনে বৈঠকে বসছে।
কিন্তু চীন আজ সোমবার কড়া ভাষায় সতর্ক করে দিয়েছে—কোনো দেশ যেন বেইজিংয়ের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করে এমন চুক্তিতে না যায়। যুক্তরাষ্ট্র যেখানে অন্যান্য দেশের ওপর ১০ শতাংশ হারে ‘বেজলাইন ট্যারিফ’ বা ভিত্তি শুল্ক বসিয়েছে, চীনের ক্ষেত্রে সেটা অনেক বেশি—অনেক পণ্যে ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত। জবাবে চীনও মার্কিন পণ্যে ১২৫ পর্যন্ত শুল্ক বসিয়েছে।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আপস সব সময় শান্তি আনে না এবং স্বার্থের বিনিময়ে আপস কখনো সম্মান পায় না। নিজের স্বার্থ রক্ষার নামে অন্যের ক্ষতি করলে শেষ পর্যন্ত উভয় পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বিশ্ব বাণিজ্যে উন্মুক্ততা, পারস্পরিক লাভ ও সমঝোতার পক্ষে মত দিয়ে বলেছেন, একতরফা সিদ্ধান্ত ও বাণিজ্য রক্ষা নীতি ক্ষতিকর।
চীন থেকে আসা ছোট প্যাকেটের জন্যও শুল্কমুক্ত সুবিধা বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ধারণা করা হচ্ছে, এই পদক্ষেপ মূলত টেমু ও শেইনের মতো চীনা অনলাইন খুচরো বিক্রেতাদের টার্গেট করেই নেওয়া হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে ডিএইচএল ঘোষণা দিয়েছে—তারা যুক্তরাষ্ট্রে ৮০০ ডলারের বেশি মূল্যের ব্যবসায়িক পণ্য পাঠানো সাময়িকভাবে বন্ধ রাখবে।
এই অবস্থায় সোনার দাম এই অবস্থায় লাফিয়ে উঠে আউন্সপ্রতি (২৮.৩৫ গ্রাম) ৩ হাজার ৩৯৩ ডলার ছুঁয়েছে। বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ সম্পদ হিসেবে স্বর্ণে ঝুঁকছেন। ডলারের দুর্বলতাও এতে সহায়তা করেছে। এই দুর্বলতার পেছনে অন্যতম কারণ—ট্রাম্পের সঙ্গে ফেড চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের বিরোধ। পাওয়েল সম্প্রতি বলেছেন, ট্রাম্পের শুল্ক নীতির কারণে মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে এবং সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা নেই।
জবাবে ট্রাম্প হুমকির সুরে বলেন, আমি যদি চাই, তিনি (পাওয়েল) খুব তাড়াতাড়ি চলে যাবেন। পাওয়েল যদিও স্পষ্ট করেছেন, তিনি পদত্যাগ করবেন না এবং ফেডের স্বাধীনতা আইনসম্মত বিষয়। শিকাগো ফেডের প্রধান অস্টান গুলসবিও বলেছেন, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিচালনা করা জরুরি—এ বিষয়ে অর্থনীতিবিদদের মধ্যে প্রায় সর্বসম্মত মত রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে শেয়ারবাজারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। টোকিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইয়েনের শক্তিশালী অবস্থানে, তবে সাংহাই, সিউল, সিঙ্গাপুর ও মুম্বাইতে ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। এ ছাড়া, তেলের দাম পড়ে গেছে—বিশ্ব অর্থনীতির দুর্বল ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ এর পেছনে প্রধান কারণ।
আজ দেশের মুদ্রাবাজারে প্রধান মুদ্রাগুলোর মধ্যে ডলারের দাম কিছুটা কমেছে। ব্রিটিশ পাউন্ড স্টারলিংয়ের দাম বেড়েছে। পাশাপাশি দাম কমেছে ইউরোরও। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত বৈদেশিক মুদ্রার দামের চেয়ে কিছুটা বেশি দামে খোলাবাজারে বিক্রি হয়।
২৪ মিনিট আগেবাণিজ্যিক বিমানের সাফল্য পরিমাপের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সূচক হচ্ছে এর উৎপাদন সংখ্যা। এই ক্ষেত্রে বোয়িং ৭৩৭ কিংবা এয়ারবাস এ৩২০-এর মতো প্রযুক্তিতে ঠাসা উড়োজাহাজের কথাই আগে মাথায় আসে। তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো—এগুলোর কোনোটিই ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত বাণিজ্যিক বিমান নয়।
৩২ মিনিট আগেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করে বলেছেন, তাঁর দেশে আবারও বিশ শতকের ত্রিশ দশকের মতো মহামন্দা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে, মার্কিন আদালত যদি তাঁর ব্যাপক শুল্ক আরোপের ক্ষমতা আরোপের ক্ষমতা খর্ব করে তাহলে এই বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি), লালদিয়া ও বে টার্মিনাল পরিচালনার জন্য বিদেশি অপারেটর নিয়োগের প্রক্রিয়া আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করতে চায় চায় সরকার। এর মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা চার গুণ বৃদ্ধি করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে