কিছুদিনের তেজি থাকা পুঁজিবাজার আবারও দরপতনের মুখে পড়েছে। টানা সাত কার্যদিবস ধরে অব্যাহত রয়েছে সূচকের পতন। ফলে অজানা আতঙ্ক বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের মনে। গতকাল এক দিনেই সূচক কমেছে ৮৯ পয়েন্ট। ফলে সার্বিক সূচক কমে ৭ হাজার ৯৭ পয়েন্টে এসে ঠেকেছে। বিশ্লেষকেরা মনে করেন, স্বাভাবিক মূল্য সংশোধনসহ বেশ কয়েকটি কারণে বাজারে পতন চলছে। সহসাই বাজার স্থিতিশীল হবে বলে আশা তাঁদের।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস গতকাল ১৮ অক্টোবর দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচকের বড় পতন হয়। সেই সঙ্গে শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের। লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে লেনদেনের পাঁচ মিনিট না যেতেই বদলে যায় বাজারের পুরো চিত্র।
একপর্যায়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দরপতন হতে থাকে। ফলে ২০ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ৪৬ পয়েন্ট পড়ে যায়। এরপর সূচক কিছু বাড়লেও বেলা সাড়ে ১১টার পর থেকে টানা নিচের দিকে নামতে থাকে সূচক, পরবর্তী সময়ে এ পতন ১৩০ পয়েন্ট গিয়ে পৌঁছায়। টানা সূচক পতনে উদ্বিগ্ন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা। গতকাল কয়েকজন বিনিয়োগকারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাজারে কী হচ্ছে তাঁরা বুঝতে পারছেন না। অব্যাহতভাবে সূচকের পতনে তাঁরা উদ্বেগে আছেন। এ ব্যাপারে বিএসইসির কার্যকর পদক্ষেপ চেয়েছেন তাঁরা।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মার্চেন্টস ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ছায়েদুর রহমান বলেন, বিনিয়োগ নিয়ে কয়েকটি ব্যাংকের ওপর চাপ ছিল। এ ছাড়া তিনি মার্জিন রেশিও নিয়ে বিএসইসির একটি নির্দেশনার বিষয়ে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘বিএসইসি আট হাজার ইনডেক্স পর্যন্ত মার্জিন রেশিও পয়েন্ট ৮ থাকবে বলে জানিয়েছিল। আট হাজার পার হলে এ রেশিও কমে যাবে। এটাও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে একটা বিভ্রান্তি তৈরি করেছে। সত্যিকার অর্থে বাজারে পয়েন্ট ৮ নেই। এটা অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত। আমরা এ ব্যাপারে আগে থেকেই সতর্ক আছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাজার নিজস্ব গতিতেই দাঁড়াচ্ছে। মার্জিননির্ভর বাজার আমরা চাই না। মার্জিন আমাদের ব্যবসা নয়। এই সব কিছু মিলিয়েই বাজারের গতি একটু কমেছে। আশা করি ঠিক হয়ে যাবে।’
গতকালের বাজার পর্যালোচনা করে দেখা যায়, লেনদেনের শেষ দিকে এসে কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ে। এতে সূচকের পতনের মাত্রা কিছুটা কম হয়। তারপরও ধসের হাত থেকে রক্ষা পায়নি শেয়ারবাজার। প্রধান মূল্য সূচকের পাশাপাশি কমেছে ডিএসইর অপর দুই সূচক। এর মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ ২১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৫২৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ২৬ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৬৭৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া মাত্র ৩৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়লেও কমেছে ৩২৪টির দাম। আর অপরিবর্তিত ছিল ১৭টির দাম। বাজারে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৩৯৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। আগের দিনের তুলনায় লেনদেন কমেছে ২৬১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে ওরিয়ন ফার্মা, ডেলটা লাইফ, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, ফরচুন সুজ, বেক্সিমকো, আইএফআইসি ব্যাংক, এনআরবিসি ব্যাংক, জিনেক্স ইনফোসিসি এবং পাওয়ার গ্রিড।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই কমেছে ৩১৪ পয়েন্ট। লেনদেন হয়েছে ৭৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩০৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৫৭টির। আর অপরিবর্তিত ছিল ১৫টির দাম।
কিছুদিনের তেজি থাকা পুঁজিবাজার আবারও দরপতনের মুখে পড়েছে। টানা সাত কার্যদিবস ধরে অব্যাহত রয়েছে সূচকের পতন। ফলে অজানা আতঙ্ক বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের মনে। গতকাল এক দিনেই সূচক কমেছে ৮৯ পয়েন্ট। ফলে সার্বিক সূচক কমে ৭ হাজার ৯৭ পয়েন্টে এসে ঠেকেছে। বিশ্লেষকেরা মনে করেন, স্বাভাবিক মূল্য সংশোধনসহ বেশ কয়েকটি কারণে বাজারে পতন চলছে। সহসাই বাজার স্থিতিশীল হবে বলে আশা তাঁদের।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস গতকাল ১৮ অক্টোবর দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচকের বড় পতন হয়। সেই সঙ্গে শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের। লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে লেনদেনের পাঁচ মিনিট না যেতেই বদলে যায় বাজারের পুরো চিত্র।
একপর্যায়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দরপতন হতে থাকে। ফলে ২০ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ৪৬ পয়েন্ট পড়ে যায়। এরপর সূচক কিছু বাড়লেও বেলা সাড়ে ১১টার পর থেকে টানা নিচের দিকে নামতে থাকে সূচক, পরবর্তী সময়ে এ পতন ১৩০ পয়েন্ট গিয়ে পৌঁছায়। টানা সূচক পতনে উদ্বিগ্ন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা। গতকাল কয়েকজন বিনিয়োগকারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাজারে কী হচ্ছে তাঁরা বুঝতে পারছেন না। অব্যাহতভাবে সূচকের পতনে তাঁরা উদ্বেগে আছেন। এ ব্যাপারে বিএসইসির কার্যকর পদক্ষেপ চেয়েছেন তাঁরা।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মার্চেন্টস ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ছায়েদুর রহমান বলেন, বিনিয়োগ নিয়ে কয়েকটি ব্যাংকের ওপর চাপ ছিল। এ ছাড়া তিনি মার্জিন রেশিও নিয়ে বিএসইসির একটি নির্দেশনার বিষয়ে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘বিএসইসি আট হাজার ইনডেক্স পর্যন্ত মার্জিন রেশিও পয়েন্ট ৮ থাকবে বলে জানিয়েছিল। আট হাজার পার হলে এ রেশিও কমে যাবে। এটাও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে একটা বিভ্রান্তি তৈরি করেছে। সত্যিকার অর্থে বাজারে পয়েন্ট ৮ নেই। এটা অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত। আমরা এ ব্যাপারে আগে থেকেই সতর্ক আছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাজার নিজস্ব গতিতেই দাঁড়াচ্ছে। মার্জিননির্ভর বাজার আমরা চাই না। মার্জিন আমাদের ব্যবসা নয়। এই সব কিছু মিলিয়েই বাজারের গতি একটু কমেছে। আশা করি ঠিক হয়ে যাবে।’
গতকালের বাজার পর্যালোচনা করে দেখা যায়, লেনদেনের শেষ দিকে এসে কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ে। এতে সূচকের পতনের মাত্রা কিছুটা কম হয়। তারপরও ধসের হাত থেকে রক্ষা পায়নি শেয়ারবাজার। প্রধান মূল্য সূচকের পাশাপাশি কমেছে ডিএসইর অপর দুই সূচক। এর মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ ২১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৫২৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ২৬ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৬৭৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া মাত্র ৩৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়লেও কমেছে ৩২৪টির দাম। আর অপরিবর্তিত ছিল ১৭টির দাম। বাজারে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৩৯৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। আগের দিনের তুলনায় লেনদেন কমেছে ২৬১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে ওরিয়ন ফার্মা, ডেলটা লাইফ, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, ফরচুন সুজ, বেক্সিমকো, আইএফআইসি ব্যাংক, এনআরবিসি ব্যাংক, জিনেক্স ইনফোসিসি এবং পাওয়ার গ্রিড।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই কমেছে ৩১৪ পয়েন্ট। লেনদেন হয়েছে ৭৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩০৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৫৭টির। আর অপরিবর্তিত ছিল ১৫টির দাম।
২০১৩ সালে ব্যাক টু ব্যাক এলসি খুলেছিল মার্কেন্টাইল ব্যাংক। গ্রাহক এমা সিনটেক্স লিমিটেড ফ্যাব্রিকস পাঠায়, আমদানিকারক মিমময় ফ্যাশন বুঝে নেয়। এরপর ব্যাংকে বিল দাখিল হয়, সুইফট বার্তাও যায়। তারপর হঠাৎ সব থেমে যায়—বিল বাতিল।
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামভিত্তিক শিল্পগ্রুপ ইউনিটেক্স। ১৯৮০ সালে ব্যবসা শুরু করেন গ্রুপটির কর্ণধার মো. হানিফ চৌধুরী। প্রথমে তৈরি পোশাক, পরে টেক্সটাইল, স্পিনিং, গ্যাস, সিনথেটিক খাতে ব্যবসা সম্প্রসারণের মাধ্যমে গড়ে তোলা হয় ইউনিটেক্স গ্রুপ।
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড (ইউসিবিআইএল) এবং দেশের সর্ববৃহৎ অ্যাঞ্জেল ইনভেস্টিং প্ল্যাটফর্ম ‘বাংলাদেশ অ্যাঞ্জেলস নেটওয়ার্ক’ (ব্যান) আজ ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে।
১৫ ঘণ্টা আগে২০২৫ সালের প্রথম তিন মাসে ব্র্যাক ব্যাংকের ব্রাঞ্চ নেটওয়ার্ক ৫ হাজার কোটি টাকার নিট ডিপোজিট প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। রেকর্ড পরিমাণ এই ডিপোজিট প্রবৃদ্ধি আমানত সংগ্রহে ব্যাংকটির টেকসইতার প্রতিফলন।
১৬ ঘণ্টা আগে