নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শ মেনে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারণে ‘ক্রলিং পেগ’ চালু করল বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন পদ্ধতিতে ডলারের দাম একলাফে ৭ টাকা বাড়িয়ে ১১৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ বুধবার (৮ মে) এক সার্কুলারে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
আইএমএফের ঋণের শর্তের পাশাপাশি বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ানো হলো। হঠাৎ ডলারের দাম বৃদ্ধি বাজারে মূল্যস্ফীতি উসকে দেবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সার্কুলারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, মার্কিন ডলারের ক্রয় ও বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্রলিং পেগ এক্সচেঞ্জ রেট পদ্ধতি চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। ক্রলিং পেগ মিড রেট (সিপিএমআর) ধরে প্রতি ডলারের দাম ১১৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ফলে ব্যাংকগুলো এর কাছাকাছি দরে ডলার কেনা-বেচা করতে পারবে এবং আন্তব্যাংক লেনদেন করতে পারবে।
ক্রলিং পেগ পদ্ধতিতে একটি মুদ্রার বিনিময় হারকে একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে ওঠানামা করার অনুমতি দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে মুদ্রার দরের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন সীমা নির্ধারণ করা থাকে। ফলে দাম একবারেই খুব বেশি বাড়তে পারবে না, আবার কমতেও পারবে না।
২০২২ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হচ্ছে, প্রাথমিকভাবে ব্যালেন্স অব পেমেন্টের ঘাটতির কারণে রিজার্ভ কমে গেছে। এ ছাড়া আমদানি ব্যয় বাড়ায় দেশের মূল্যস্ফীতি বেড়েছে।
এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ডলারের দাম ছিল ১১০ টাকা, যা ছিল অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাফেদা নির্ধারিত ডলার রেট।
অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানিনির্ভর দেশ হওয়ায় আমদানি খরচ বেড়ে যাবে, দাম বাড়বে পণ্যের। চাপ বাড়বে সাধারণ মানুষের, মূল্যস্ফীতি আরও বেড়ে যাবে। নেতিবাচক প্রভাব পড়বে আমদানিতে।
এ বিষয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ১১৭ টাকা যে ডলারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে, ক্রলিং পেগের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা গেলে ভালো। তবে এতে মূল্যস্ফীতি বাড়ার সম্ভাবনা অবশ্যই আছে।
এ বিষয়ে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সহসভাপতি এবং বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের দেশ আমদানিনির্ভর। দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের অর্থনীতি চাপে আছে। এখন হঠাৎ করেই ডলার দাম খুব বেশি হলে এর নেতিবাচক প্রভাব তৈরি হবে, বিশেষ করে আমদানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। পণ্যের আমদানি খরচ বেড়ে যাবে অনেক, এতে পণ্যের দামও বাড়াতে বাধ্য হবেন আমদানিকারকেরা।’
তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করেই ডলারের বেশি দাম বাড়ার এমন সিদ্ধান্তে চাপে পড়বেন সাধারণ মানুষ। মূল্যস্ফীতি আরও বেড়ে যাবে, মানুষ কষ্ট পাবেন। তবু আমাদের অর্থনীতিকে একটা জায়গাতে আনতে হবে। এ ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে দাম বাড়লে হয়তো কষ্ট কিছুটা কম হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের উচিত হবে সব দিক বিবেচনায় নেওয়া।’
গত বছরের জানুয়ারিতে আইএমএফের কাছ থেকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের প্রতিশ্রুতি পায় বাংলাদেশ। দুই দফায় ঋণ এরই মধ্যে ছাড় হয়েছে। এই ঋণের গত বছরের নভেম্বর থেকে ক্রলিং পেগ এক্সচেঞ্জ রেট চালুর জন্য বাংলাদেশকে আহ্বান জানিয়ে আসছে আইএমএফ।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শ মেনে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারণে ‘ক্রলিং পেগ’ চালু করল বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন পদ্ধতিতে ডলারের দাম একলাফে ৭ টাকা বাড়িয়ে ১১৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ বুধবার (৮ মে) এক সার্কুলারে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
আইএমএফের ঋণের শর্তের পাশাপাশি বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ানো হলো। হঠাৎ ডলারের দাম বৃদ্ধি বাজারে মূল্যস্ফীতি উসকে দেবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সার্কুলারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, মার্কিন ডলারের ক্রয় ও বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্রলিং পেগ এক্সচেঞ্জ রেট পদ্ধতি চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। ক্রলিং পেগ মিড রেট (সিপিএমআর) ধরে প্রতি ডলারের দাম ১১৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ফলে ব্যাংকগুলো এর কাছাকাছি দরে ডলার কেনা-বেচা করতে পারবে এবং আন্তব্যাংক লেনদেন করতে পারবে।
ক্রলিং পেগ পদ্ধতিতে একটি মুদ্রার বিনিময় হারকে একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে ওঠানামা করার অনুমতি দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে মুদ্রার দরের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন সীমা নির্ধারণ করা থাকে। ফলে দাম একবারেই খুব বেশি বাড়তে পারবে না, আবার কমতেও পারবে না।
২০২২ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হচ্ছে, প্রাথমিকভাবে ব্যালেন্স অব পেমেন্টের ঘাটতির কারণে রিজার্ভ কমে গেছে। এ ছাড়া আমদানি ব্যয় বাড়ায় দেশের মূল্যস্ফীতি বেড়েছে।
এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ডলারের দাম ছিল ১১০ টাকা, যা ছিল অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাফেদা নির্ধারিত ডলার রেট।
অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানিনির্ভর দেশ হওয়ায় আমদানি খরচ বেড়ে যাবে, দাম বাড়বে পণ্যের। চাপ বাড়বে সাধারণ মানুষের, মূল্যস্ফীতি আরও বেড়ে যাবে। নেতিবাচক প্রভাব পড়বে আমদানিতে।
এ বিষয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ১১৭ টাকা যে ডলারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে, ক্রলিং পেগের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা গেলে ভালো। তবে এতে মূল্যস্ফীতি বাড়ার সম্ভাবনা অবশ্যই আছে।
এ বিষয়ে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সহসভাপতি এবং বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের দেশ আমদানিনির্ভর। দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের অর্থনীতি চাপে আছে। এখন হঠাৎ করেই ডলার দাম খুব বেশি হলে এর নেতিবাচক প্রভাব তৈরি হবে, বিশেষ করে আমদানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। পণ্যের আমদানি খরচ বেড়ে যাবে অনেক, এতে পণ্যের দামও বাড়াতে বাধ্য হবেন আমদানিকারকেরা।’
তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করেই ডলারের বেশি দাম বাড়ার এমন সিদ্ধান্তে চাপে পড়বেন সাধারণ মানুষ। মূল্যস্ফীতি আরও বেড়ে যাবে, মানুষ কষ্ট পাবেন। তবু আমাদের অর্থনীতিকে একটা জায়গাতে আনতে হবে। এ ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে দাম বাড়লে হয়তো কষ্ট কিছুটা কম হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের উচিত হবে সব দিক বিবেচনায় নেওয়া।’
গত বছরের জানুয়ারিতে আইএমএফের কাছ থেকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের প্রতিশ্রুতি পায় বাংলাদেশ। দুই দফায় ঋণ এরই মধ্যে ছাড় হয়েছে। এই ঋণের গত বছরের নভেম্বর থেকে ক্রলিং পেগ এক্সচেঞ্জ রেট চালুর জন্য বাংলাদেশকে আহ্বান জানিয়ে আসছে আইএমএফ।
বাংলাদেশের টেক জায়ান্ট ওয়ালটনের তৈরি ইউরোপের ঐতিহ্যবাহী এসিসি ব্র্যান্ডের এসি কিনে এবার মিলিয়নিয়ার হয়েছেন খুলনার খালিশপুরের জুয়েলারি ব্যবসায়ী মিঠুন দত্ত। ওয়ালটনের চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২২–এর আওতায় কিস্তিতে এসি কিনে তিনি পেয়েছেন ১০ লাখ টাকা। এই বিশাল অঙ্কের টাকা পাওয়ায় মিঠুন দত্তের পর
১ ঘণ্টা আগেদেশের শীর্ষস্থানীয় নিত্য-ব্যবহার্য ও ভোগ্যপণ্য (এফএমসিজি) উৎপাদন ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান ইউনিলিভার বাংলাদেশ চট্টগ্রামের ব্যবস্থাপনার বাইরে থাকা (অব্যবস্থাপিত) ১০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াকরণ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে। ২০২৩ এবং ২০২৪ সালে এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণের পর ২০২৫
১ ঘণ্টা আগেরপ্তানি খাতকে প্রতিযোগী সক্ষম করতে আইএমএফের পরামর্শ মেনে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করার দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে না। তাঁরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্ক অর্থনীতিকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। সবচেয়ে প্রভাব পড়বে উৎপাদন ও সেবা খাতে।
২ ঘণ্টা আগেবিশ্বের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি মানুষের প্রধান খাদ্য তৈরি হয় চাল থেকে। কিন্তু এই মৌলিক খাদ্যশস্য এখন সংকটে। বিশ্বের ৯০ শতাংশ চাল উৎপন্ন হয় এশিয়ায়। কিন্তু অঞ্চলটি খরাপ্রবণ। এর পাশাপাশি প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ ও অনিয়মিত আবহাওয়ার কারণে দিন দিন কমছে ফলন। উৎপাদন কমে যাওয়ায় বিশ্বজুড়ে চালের দাম এখন
৩ ঘণ্টা আগে