নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নিজস্ব উৎসে গ্যাসের মজুত কমছে দ্রুত। সরকারি হিসাবে স্থানীয় উৎসে যে গ্যাসের মজুত আছে, সেটা দিয়ে চলা যাবে সর্বোচ্চ আর ১০ বছর। দ্রুত শিল্পায়নের কারণে দেশে বাড়ছে গ্যাসের চাহিদা। গ্যাসের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে সরকার স্থানীয় উৎসের পাশাপাশি আমদানি করছে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি)। এলএনজি আমদানি বাড়াতে ওমানের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি ওমান ওকিউ ট্রেডিংয়ের সঙ্গে নতুন করে বছরে ১ মিলিয়ন বা ১০ লাখ টন এলএনজি আমদানির চুক্তি করেছে তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ করপোরেশন পেট্রোবাংলা।
আজ সোমবার রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে ১০ বছর মেয়াদি এই নতুন এলএনজি আমদানির চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিব খায়রুজ্জামান মজুমদার ও পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্রনাথ সরকার। এই চুক্তির অধীনে ২০২৬ সাল থেকে এলএনজি সরবরাহ শুরু করবে ওমান। এর আগে ১ জুন কাতারের সঙ্গেও এলএনজি আমদানির ১৫ বছর মেয়াদি একটি চুক্তি সই করে বাংলাদেশ।
বর্তমানে বাংলাদেশ দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির অধীনে ওমান থেকে বছরে ১০ থেকে ১৫ লাখ টন এলএনজি আমদানি করছে। এই চুক্তির অতিরিক্ত হিসেবে আজ স্বাক্ষরিত ১০ বছরের জন্য নতুন চুক্তির অধীনে বছরে আরও ১০ লাখ টন আমদানি করা হবে।
২০২৬ সালে ৪ কার্গো এলএনজি সরবরাহের মধ্য দিয়ে সরবরাহ কার্যক্রম শুরু করবে ওমানের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানটি। ২০২৭ সালে ওমান থেকে ১৬ কার্গো এলএনজি ও ২০২৮ সালে আসবে ১৬ কার্গো এলএনজি। এ ছাড়া ২০২৯ সাল থেকে ২৪টি কার্গো করে পরবর্তী বছরগুলোতে এলএনজি সরবরাহ করবে কোম্পানিটি।
এদিকে ১ জুন কাতার থেকে এলএনজি আমদানি বাড়াতে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ২০২৬ সাল থেকে পরবর্তী ১৫ বছরের জন্য বার্ষিক অতিরিক্ত ১৫ লাখ টন এলএনজি পাওয়ার জন্য কাতারের সঙ্গে এটি নতুন চুক্তি। কাতারের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রাস লাফান লিকুইফাইড ন্যাচারাল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের (কাতারগ্যাস) সঙ্গে নতুন এ চুক্তিটি করেছে পেট্রোবাংলা।
ওই চুক্তির অধীনে কাতার ২০২৬ থেকে ২০৪০ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর অতিরিক্ত প্রায় ১৫ লাখ টন (এমটিপিএ) এলএনজি সরবরাহ করবে।
এর মধ্যে বাংলাদেশ ২০২৬ সালে ১২টি এবং ২০২৭ সালে ২৪টি এলএনজি কার্গো পাবে।
নতুন চুক্তির আওতায়, ২০২৬ সাল থেকে এলএনজি আমদানির জন্য দেশে তৃতীয় ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন টার্মিনাল নির্মাণে সামিট গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে পেট্রোবাংলা।
উল্লেখ্য, কাতার ও ওমানের সঙ্গে আগে থেকেই দুটি দীর্ঘমেয়াদি এলএনজি চুক্তি রয়েছে বাংলাদেশের।
এ ছাড়া ২০২০ সাল থেকে স্পট মার্কেট (খোলাবাজার) থেকে এলএনজি আমদানি করছে বাংলাদেশ। গত বছর কাতার, ওমান এবং স্পট মার্কেট থেকে মোট প্রায় ৪৪ লাখ ৩০ হাজার টন এলএনজি আমদানি করেছে সরকার। ২০২১ সালে এই আমদানির পরিমাণ ছিল ৫০ লাখ ৮০ হাজার টন।
তবে নতুন চুক্তির আওতায় অতিরিক্ত এই এলএনজি আমদানি সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করবে দেশের ক্রয়ক্ষমতার ওপর।
জানা গেছে, দেশে দৈনিক মোট চাহিদা ৪ হাজার মিলিয়ন ঘনফুটের (এমএমসিএফডি) বিপরীতে প্রায় ১ হাজার এমএমসিএফডির ঘাটতি আছে। চাহিদার বিপরীতে দেশীয় খাত থেকে ২ হাজার ৩০০ এমএমসিএফডি উৎপাদন করা হয় এবং ৭০০ এমএমসিএফডি আমদানি করা হয়।
নিজস্ব উৎসে গ্যাসের মজুত কমছে দ্রুত। সরকারি হিসাবে স্থানীয় উৎসে যে গ্যাসের মজুত আছে, সেটা দিয়ে চলা যাবে সর্বোচ্চ আর ১০ বছর। দ্রুত শিল্পায়নের কারণে দেশে বাড়ছে গ্যাসের চাহিদা। গ্যাসের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে সরকার স্থানীয় উৎসের পাশাপাশি আমদানি করছে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি)। এলএনজি আমদানি বাড়াতে ওমানের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি ওমান ওকিউ ট্রেডিংয়ের সঙ্গে নতুন করে বছরে ১ মিলিয়ন বা ১০ লাখ টন এলএনজি আমদানির চুক্তি করেছে তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ করপোরেশন পেট্রোবাংলা।
আজ সোমবার রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে ১০ বছর মেয়াদি এই নতুন এলএনজি আমদানির চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিব খায়রুজ্জামান মজুমদার ও পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্রনাথ সরকার। এই চুক্তির অধীনে ২০২৬ সাল থেকে এলএনজি সরবরাহ শুরু করবে ওমান। এর আগে ১ জুন কাতারের সঙ্গেও এলএনজি আমদানির ১৫ বছর মেয়াদি একটি চুক্তি সই করে বাংলাদেশ।
বর্তমানে বাংলাদেশ দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির অধীনে ওমান থেকে বছরে ১০ থেকে ১৫ লাখ টন এলএনজি আমদানি করছে। এই চুক্তির অতিরিক্ত হিসেবে আজ স্বাক্ষরিত ১০ বছরের জন্য নতুন চুক্তির অধীনে বছরে আরও ১০ লাখ টন আমদানি করা হবে।
২০২৬ সালে ৪ কার্গো এলএনজি সরবরাহের মধ্য দিয়ে সরবরাহ কার্যক্রম শুরু করবে ওমানের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানটি। ২০২৭ সালে ওমান থেকে ১৬ কার্গো এলএনজি ও ২০২৮ সালে আসবে ১৬ কার্গো এলএনজি। এ ছাড়া ২০২৯ সাল থেকে ২৪টি কার্গো করে পরবর্তী বছরগুলোতে এলএনজি সরবরাহ করবে কোম্পানিটি।
এদিকে ১ জুন কাতার থেকে এলএনজি আমদানি বাড়াতে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ২০২৬ সাল থেকে পরবর্তী ১৫ বছরের জন্য বার্ষিক অতিরিক্ত ১৫ লাখ টন এলএনজি পাওয়ার জন্য কাতারের সঙ্গে এটি নতুন চুক্তি। কাতারের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রাস লাফান লিকুইফাইড ন্যাচারাল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের (কাতারগ্যাস) সঙ্গে নতুন এ চুক্তিটি করেছে পেট্রোবাংলা।
ওই চুক্তির অধীনে কাতার ২০২৬ থেকে ২০৪০ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর অতিরিক্ত প্রায় ১৫ লাখ টন (এমটিপিএ) এলএনজি সরবরাহ করবে।
এর মধ্যে বাংলাদেশ ২০২৬ সালে ১২টি এবং ২০২৭ সালে ২৪টি এলএনজি কার্গো পাবে।
নতুন চুক্তির আওতায়, ২০২৬ সাল থেকে এলএনজি আমদানির জন্য দেশে তৃতীয় ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন টার্মিনাল নির্মাণে সামিট গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে পেট্রোবাংলা।
উল্লেখ্য, কাতার ও ওমানের সঙ্গে আগে থেকেই দুটি দীর্ঘমেয়াদি এলএনজি চুক্তি রয়েছে বাংলাদেশের।
এ ছাড়া ২০২০ সাল থেকে স্পট মার্কেট (খোলাবাজার) থেকে এলএনজি আমদানি করছে বাংলাদেশ। গত বছর কাতার, ওমান এবং স্পট মার্কেট থেকে মোট প্রায় ৪৪ লাখ ৩০ হাজার টন এলএনজি আমদানি করেছে সরকার। ২০২১ সালে এই আমদানির পরিমাণ ছিল ৫০ লাখ ৮০ হাজার টন।
তবে নতুন চুক্তির আওতায় অতিরিক্ত এই এলএনজি আমদানি সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করবে দেশের ক্রয়ক্ষমতার ওপর।
জানা গেছে, দেশে দৈনিক মোট চাহিদা ৪ হাজার মিলিয়ন ঘনফুটের (এমএমসিএফডি) বিপরীতে প্রায় ১ হাজার এমএমসিএফডির ঘাটতি আছে। চাহিদার বিপরীতে দেশীয় খাত থেকে ২ হাজার ৩০০ এমএমসিএফডি উৎপাদন করা হয় এবং ৭০০ এমএমসিএফডি আমদানি করা হয়।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে রামচন্দ্রপুর খালে দুই দিনের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। গত ২০ ও ২১ জুন তারিখে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি), ফুটস্টেপস বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে এই কার্যক্রমে অংশ নেয় আইডিএলসি ফাইন্যান্স।
২ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট অনুমোদিত হয়েছে। আজ রোববার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
২ ঘণ্টা আগেদেশীয় মৌসুমি ফলের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীর ফলের বাজারে নেমেছে স্বস্তির ছোঁয়া। আম, কাঁঠাল, লিচু, লটকন, পেয়ারা, আনারস, ড্রাগনের মতো ফলের প্রাচুর্যে শুধু দেশীয় ফল নয়; দাম কমেছে আমদানিকৃত আপেল, মাল্টা, আঙুরেরও।
১১ ঘণ্টা আগেবেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে ব্যবসায়ীদের খরচ বাড়ছে। হ্যান্ডলিংয়ের আগে পণ্য চালান পরীক্ষার নামে এই অতিরিক্ত খরচ চাপ দিচ্ছে। প্রতিটি চালানে ১৫-২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে। কখনো কখনো রিপোর্ট পেতে সময় লাগছে এক মাসেরও বেশি, আর ওই সময় পণ্য বন্দরে আটকা পড়ে।
১৫ ঘণ্টা আগে