নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ২১ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে চাকরিবিধি অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’ ও ‘নাশকতামূলক’ কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আনা হয়েছে। একই সঙ্গে দুজন কর্মকর্তাকে শোকজ করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর অনুষ্ঠিত বিএসইসির এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত ৫ মার্চ বিএসইসিতে ঘটে যাওয়া বিশৃঙ্খল ঘটনায় এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এই প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে বিষয়টি বুধবার বিএসইসির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সাময়িক বরখাস্ত কর্মকর্তারা হলেন—বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম, পরিচালক আবু রায়হান মোহাম্মদ মুতাসীম বিল্লাহ, আবুল হাসান ও ফখরুল ইসলাম মজুমদার, অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ও মিরাজ উস সুন্নাহ, যুগ্ম পরিচালক রশীদুল আলম, উপপরিচালক বনি ইয়ামিন খান, কাজী মো. আল-ইসলাম, নানু ভূঞা, শহিদুল ইসলাম ও তৌহিদ হাসান, সহকারী পরিচালক জনি হোসেন, রায়হান কবির, সাজ্জাদ হোসেন, আমিনুল হক খান, তরিকুল ইসলাম ও আবদুল বাতেন, লাইব্রেরিয়ান মো. সেলিম রেজা বাপ্পী ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আবু ইউসুফ ও সমির ঘোষ।
অন্যদিকে শোকজ করা হয়েছে দুই নারী কর্মকর্তাকে। তাঁরা হলেন সহকারী পরিচালক মাকসুদা মিলা ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা কাওসার পাশা বৃষ্টি।
বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকালে কার্যালয়ে আসার পর বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা তাঁদের বরখাস্তের বিষয়টি জানতে পারেন। প্রত্যেক কর্মকর্তাকে ব্যক্তিগতভাবে চিঠি দিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়। সাময়িকভাবে বরখাস্ত থাকাকালে সরকারি বিধি ও আদেশ অনুযায়ী কর্মকর্তারা খোরাকি ভাতা পাবেন বলে বিএসইসির আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিন বিকেলে সব কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠকও করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান ও কমিশনাররা। সেখানে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে অনেকেই বিষয়টি সুরাহা করার চেষ্টাও করেন। তবে কমিশনের কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দিকে যেতে চান না। তাঁরা আইনি প্রক্রিয়ায় বিষয়টি এগিয়ে নেওয়ার পক্ষে। বিষয়টি সমাধানের জন্য সিনিয়র কর্মকর্তারা সহযোগিতা না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তাদের অনেকেই।
তবে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালামের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভায় কমিশনের চেয়ারম্যান-কমিশনাররা আগের সব ভুলভ্রান্তি ভুলে গিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান জানান। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিএসইসির বিভিন্ন বিষয়ের সুরাহার আশ্বাস দেন। সব কর্মকর্তা-কর্মচারী স্বতঃস্ফূর্তভাবে কমিশনের সঙ্গে পূর্ণ উদ্যম ও শৃঙ্খলার সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
গত ৪ মার্চ বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় খন্দকার রাশেদ মাকসুদের কমিশন। কমিশনের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে দায়িত্ব থাকাকালে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া কমিশন আরও অনেক কর্মকর্তাকে বিভিন্ন ইস্যুতে শোকজ করে। অনেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানা যায়।
এ ঘটনায় বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ তৈরি হয়। সাইফুর রহমানকে অবসরে পাঠানোর পরদিন বুধবার কর্মকর্তারা এসব বিষয়ে কথা বলতে চেয়ারম্যান-কমিশনারদের ফ্লোরে সমবেত হন।
তবে চেয়ারম্যান-কমিশনারদের দাবি, কর্মকর্তারা তাঁদের অবরুদ্ধ করেন। পরে সেনাবাহিনীর সহায়তায় চেয়ারম্যান-কমিশনাররা কার্যালয় ত্যাগ করেন।
পরদিন বৃহস্পতিবারও কর্মকর্তারা কর্মবিরতি পালন করেন। তবে এদিন বিএসইসি চেয়ারম্যার তাঁর গানম্যান আশিকুর রহমানকে দিয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় বিএসইসির ১৬ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করান।
মামলায় নাম থাকা কর্মকর্তাদের মধ্যে সাইফুর রহমানকে আগেই অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আরেক নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। বাকি ১৪ জন কর্মকর্তা জামিন নিয়ে কাজে ফিরেছিলেন। গত ২১ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় সেই মামলায় কর্মকর্তাদের জামিনও হয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে ১৪ জনসহ আরও ৭ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে রাশেদ মাকসুদের কমিশন।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ২১ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে চাকরিবিধি অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’ ও ‘নাশকতামূলক’ কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আনা হয়েছে। একই সঙ্গে দুজন কর্মকর্তাকে শোকজ করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর অনুষ্ঠিত বিএসইসির এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত ৫ মার্চ বিএসইসিতে ঘটে যাওয়া বিশৃঙ্খল ঘটনায় এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এই প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে বিষয়টি বুধবার বিএসইসির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সাময়িক বরখাস্ত কর্মকর্তারা হলেন—বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম, পরিচালক আবু রায়হান মোহাম্মদ মুতাসীম বিল্লাহ, আবুল হাসান ও ফখরুল ইসলাম মজুমদার, অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ও মিরাজ উস সুন্নাহ, যুগ্ম পরিচালক রশীদুল আলম, উপপরিচালক বনি ইয়ামিন খান, কাজী মো. আল-ইসলাম, নানু ভূঞা, শহিদুল ইসলাম ও তৌহিদ হাসান, সহকারী পরিচালক জনি হোসেন, রায়হান কবির, সাজ্জাদ হোসেন, আমিনুল হক খান, তরিকুল ইসলাম ও আবদুল বাতেন, লাইব্রেরিয়ান মো. সেলিম রেজা বাপ্পী ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আবু ইউসুফ ও সমির ঘোষ।
অন্যদিকে শোকজ করা হয়েছে দুই নারী কর্মকর্তাকে। তাঁরা হলেন সহকারী পরিচালক মাকসুদা মিলা ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা কাওসার পাশা বৃষ্টি।
বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকালে কার্যালয়ে আসার পর বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা তাঁদের বরখাস্তের বিষয়টি জানতে পারেন। প্রত্যেক কর্মকর্তাকে ব্যক্তিগতভাবে চিঠি দিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়। সাময়িকভাবে বরখাস্ত থাকাকালে সরকারি বিধি ও আদেশ অনুযায়ী কর্মকর্তারা খোরাকি ভাতা পাবেন বলে বিএসইসির আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিন বিকেলে সব কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠকও করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান ও কমিশনাররা। সেখানে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে অনেকেই বিষয়টি সুরাহা করার চেষ্টাও করেন। তবে কমিশনের কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দিকে যেতে চান না। তাঁরা আইনি প্রক্রিয়ায় বিষয়টি এগিয়ে নেওয়ার পক্ষে। বিষয়টি সমাধানের জন্য সিনিয়র কর্মকর্তারা সহযোগিতা না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তাদের অনেকেই।
তবে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালামের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভায় কমিশনের চেয়ারম্যান-কমিশনাররা আগের সব ভুলভ্রান্তি ভুলে গিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান জানান। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিএসইসির বিভিন্ন বিষয়ের সুরাহার আশ্বাস দেন। সব কর্মকর্তা-কর্মচারী স্বতঃস্ফূর্তভাবে কমিশনের সঙ্গে পূর্ণ উদ্যম ও শৃঙ্খলার সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
গত ৪ মার্চ বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় খন্দকার রাশেদ মাকসুদের কমিশন। কমিশনের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে দায়িত্ব থাকাকালে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া কমিশন আরও অনেক কর্মকর্তাকে বিভিন্ন ইস্যুতে শোকজ করে। অনেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানা যায়।
এ ঘটনায় বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ তৈরি হয়। সাইফুর রহমানকে অবসরে পাঠানোর পরদিন বুধবার কর্মকর্তারা এসব বিষয়ে কথা বলতে চেয়ারম্যান-কমিশনারদের ফ্লোরে সমবেত হন।
তবে চেয়ারম্যান-কমিশনারদের দাবি, কর্মকর্তারা তাঁদের অবরুদ্ধ করেন। পরে সেনাবাহিনীর সহায়তায় চেয়ারম্যান-কমিশনাররা কার্যালয় ত্যাগ করেন।
পরদিন বৃহস্পতিবারও কর্মকর্তারা কর্মবিরতি পালন করেন। তবে এদিন বিএসইসি চেয়ারম্যার তাঁর গানম্যান আশিকুর রহমানকে দিয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় বিএসইসির ১৬ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করান।
মামলায় নাম থাকা কর্মকর্তাদের মধ্যে সাইফুর রহমানকে আগেই অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আরেক নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। বাকি ১৪ জন কর্মকর্তা জামিন নিয়ে কাজে ফিরেছিলেন। গত ২১ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় সেই মামলায় কর্মকর্তাদের জামিনও হয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে ১৪ জনসহ আরও ৭ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে রাশেদ মাকসুদের কমিশন।
দেশীয় মৌসুমি ফলের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীর ফলের বাজারে নেমেছে স্বস্তির ছোঁয়া। আম, কাঁঠাল, লিচু, লটকন, পেয়ারা, আনারস, ড্রাগনের মতো ফলের প্রাচুর্যে শুধু দেশীয় ফল নয়; দাম কমেছে আমদানিকৃত আপেল, মাল্টা, আঙুরেরও।
১ ঘণ্টা আগেবেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে ব্যবসায়ীদের খরচ বাড়ছে। হ্যান্ডলিংয়ের আগে পণ্য চালান পরীক্ষার নামে এই অতিরিক্ত খরচ চাপ দিচ্ছে। প্রতিটি চালানে ১৫-২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে। কখনো কখনো রিপোর্ট পেতে সময় লাগছে এক মাসেরও বেশি, আর ওই সময় পণ্য বন্দরে আটকা পড়ে।
৬ ঘণ্টা আগে২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘিরে নানা প্রশ্ন আর আলোচনা চলছে। কালোটাকা সাদা করার সুযোগ থাকবে কি না, এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য দেশ কতটা প্রস্তুত, বিদেশি বাজার ধরে রাখতে কী উদ্যোগ দরকার—এসব নিয়েই মুখোমুখি হলেন অর্থনীতিবিদ, নীতিনির্ধারক ও ব্যবসায়ী নেতারা।
৬ ঘণ্টা আগেএ পরিস্থিতিতে আমাদের দাবি, অবিলম্বে এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে। তার মাধ্যমে রাজস্ব সংস্কার বিষয়ক কার্যক্রম সময়ক্ষেপণ বই কিছু নয় বলে মনে করে ঐক্য পরিষদ।
৯ ঘণ্টা আগে