কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের সাবাজপুর চা বাগানের ভূমি দখলকারীদের কাছ থেকে রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দিয়েছেন বাগানের চা শ্রমিকেরা। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলা চত্বরে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। মানববন্ধনে প্রায় পাঁচ শতাধিক চা শ্রমিক অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সাবাজপুর চা বাগান শ্রমিক পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি মেঘনাথ নায়েক, চা শ্রমিক দুলনী কর্মকার, রাধামনি নায়েক, কাজল কৃষ্ণ গোয়ালা, রিকমন বাউরি, কৃষ্ণ গোয়ালা প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বোবারথল এলাকার একটি ভূমিদস্যু চক্র জোরপূর্বক সাবাজপুর চা বাগানের ভূমিতে বসতি গড়ে তুলেছে। চক্রটি প্রায় বাগানের চা গাছ কেটে নষ্ট করছে। অবৈধভাবে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ ও বাঁশ কেটে বিক্রি করছে। তারা বাগানের চা শ্রমিকদের কাজে বাধা দিচ্ছে। বিভিন্ন হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। এতে শ্রমিকেরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। বর্তমানে সাবাজপুর বাগানের সীমানা বিরোধ মীমাংসার আপস নিষ্পত্তি করতে চাইলে চক্রটি অস্বীকৃতি জানায়।
বক্তারা আরও বলেন, বাগানের সম্প্রসারণ (আবাদি) কাজ করতে গেলে দখলকারী চক্র শ্রমিকদেরকে ভয়ভীতি ও বাধা প্রদান করছে। ইদানীং দখলকৃত জায়গায় তাদের ঘর নিজেরাই আগুনে পুড়িয়ে শ্রমিক ও পাহারাদার নামে দোষ দিচ্ছে। এমনকি মিথ্যা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। যার কারণে আমরা প্রতিনিয়ত নিরাপত্তাহীনতায় দিন পার করছি। বক্তারা অবিলম্বে বিষয়টি সমাধানের জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
চা বাগান সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালে ‘সাবাজপুর’ চা বাগান মালিকানা গ্রহণ করে স্কয়ার গ্রুপ। ওই বাগানের আয়তন প্রায় ২ হাজার ৮৮৭ একর। ২০০৭ সালে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সরকারের কাছ থেকে চা বাগানের ইজারা নেয় প্রতিষ্ঠানটি। তখন থেকেই স্কয়ার গ্রুপ সরকারের নির্ধারিত ইজারার শর্ত মেনে ভূমিতে চা চাষ ও চা উৎপাদন করে আসছে। সংশ্লিষ্টরা প্রতি বছর সরকারকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব দিচ্ছে।
চা-বাগান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০২২ সালে স্থানীয় একটি ভূমিদস্যু চক্র অবৈধভাবে সাবাজপুর চা বাগানের ইজারা নেওয়া ভূমি দখলের উদ্দেশ্যে সেখানে কয়েকটি ঘর তৈরি করে। এরপর থেকে তারা চা শ্রমিকদের সেখানে কাজ করতে বাধা দিচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এতে বাগানের চা পাতা উত্তোলনের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। ওই ভূমিদস্যু চক্রটি ২০১৬ সালে একইভাবে বাগানের আরেকটি অংশের ভূমি দখলের চেষ্টা চালায়। পরে প্রশাসন অভিযান চালিয়ে তাদের উচ্ছেদ করতে সক্ষম হয়। কিন্তু আবারও ওই চক্রটি বাগানের ভূমি দখলের চেষ্টা করছে।
বাগানের ব্যবস্থাপক নাহিদ ফেরদৌস চৌধুরী জানান, সমস্যা সমাধানে একাধিকবার তারা সার্ভের মাধ্যমে চা বাগানের সীমানা নির্ধারণে চেষ্টা করেছেন। তবে বিভিন্ন অজুহাতে তা করতে দেয়নি দখলদাররা।
এ বিষয়ে বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার বলেন, সাবাজপুর চা বাগানের শ্রমিকেরা ভূমি রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের সাবাজপুর চা বাগানের ভূমি দখলকারীদের কাছ থেকে রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দিয়েছেন বাগানের চা শ্রমিকেরা। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলা চত্বরে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। মানববন্ধনে প্রায় পাঁচ শতাধিক চা শ্রমিক অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সাবাজপুর চা বাগান শ্রমিক পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি মেঘনাথ নায়েক, চা শ্রমিক দুলনী কর্মকার, রাধামনি নায়েক, কাজল কৃষ্ণ গোয়ালা, রিকমন বাউরি, কৃষ্ণ গোয়ালা প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বোবারথল এলাকার একটি ভূমিদস্যু চক্র জোরপূর্বক সাবাজপুর চা বাগানের ভূমিতে বসতি গড়ে তুলেছে। চক্রটি প্রায় বাগানের চা গাছ কেটে নষ্ট করছে। অবৈধভাবে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ ও বাঁশ কেটে বিক্রি করছে। তারা বাগানের চা শ্রমিকদের কাজে বাধা দিচ্ছে। বিভিন্ন হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। এতে শ্রমিকেরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। বর্তমানে সাবাজপুর বাগানের সীমানা বিরোধ মীমাংসার আপস নিষ্পত্তি করতে চাইলে চক্রটি অস্বীকৃতি জানায়।
বক্তারা আরও বলেন, বাগানের সম্প্রসারণ (আবাদি) কাজ করতে গেলে দখলকারী চক্র শ্রমিকদেরকে ভয়ভীতি ও বাধা প্রদান করছে। ইদানীং দখলকৃত জায়গায় তাদের ঘর নিজেরাই আগুনে পুড়িয়ে শ্রমিক ও পাহারাদার নামে দোষ দিচ্ছে। এমনকি মিথ্যা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। যার কারণে আমরা প্রতিনিয়ত নিরাপত্তাহীনতায় দিন পার করছি। বক্তারা অবিলম্বে বিষয়টি সমাধানের জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
চা বাগান সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালে ‘সাবাজপুর’ চা বাগান মালিকানা গ্রহণ করে স্কয়ার গ্রুপ। ওই বাগানের আয়তন প্রায় ২ হাজার ৮৮৭ একর। ২০০৭ সালে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সরকারের কাছ থেকে চা বাগানের ইজারা নেয় প্রতিষ্ঠানটি। তখন থেকেই স্কয়ার গ্রুপ সরকারের নির্ধারিত ইজারার শর্ত মেনে ভূমিতে চা চাষ ও চা উৎপাদন করে আসছে। সংশ্লিষ্টরা প্রতি বছর সরকারকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব দিচ্ছে।
চা-বাগান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০২২ সালে স্থানীয় একটি ভূমিদস্যু চক্র অবৈধভাবে সাবাজপুর চা বাগানের ইজারা নেওয়া ভূমি দখলের উদ্দেশ্যে সেখানে কয়েকটি ঘর তৈরি করে। এরপর থেকে তারা চা শ্রমিকদের সেখানে কাজ করতে বাধা দিচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এতে বাগানের চা পাতা উত্তোলনের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। ওই ভূমিদস্যু চক্রটি ২০১৬ সালে একইভাবে বাগানের আরেকটি অংশের ভূমি দখলের চেষ্টা চালায়। পরে প্রশাসন অভিযান চালিয়ে তাদের উচ্ছেদ করতে সক্ষম হয়। কিন্তু আবারও ওই চক্রটি বাগানের ভূমি দখলের চেষ্টা করছে।
বাগানের ব্যবস্থাপক নাহিদ ফেরদৌস চৌধুরী জানান, সমস্যা সমাধানে একাধিকবার তারা সার্ভের মাধ্যমে চা বাগানের সীমানা নির্ধারণে চেষ্টা করেছেন। তবে বিভিন্ন অজুহাতে তা করতে দেয়নি দখলদাররা।
এ বিষয়ে বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার বলেন, সাবাজপুর চা বাগানের শ্রমিকেরা ভূমি রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
তিনি টেকের বাজারে কাগজপত্র ফটোকপি করতে গেলে স্থানীয় বিএনপির কর্মী গিয়াস উদ্দিন দেওয়ান, তাঁর ছেলে রিয়াজুল ইসলাম জিসান এবং সহযোগী আজমাইন চৌধুরীসহ আরও তিন-চারজন মিলে তাঁর পথরোধ করে। একপর্যায়ে গিয়াস উদ্দিন বাঁশের লাঠি দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করেন এবং অন্যরা এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
৩১ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে চাঁদা চেয়ে না পেয়ে বন্দুক দিয়ে গুলি করে হত্যার হুমকির অভিযোগে অস্ত্রধারী এক বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে তাঁকে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের আমগাঁও এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম শাহজাহান ভূঁইয়া।
১ ঘণ্টা আগে২২ জুন রাতে বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সাচড়া ইউনিয়নের দেউলা শিবপুর গ্রামের দুটি পরিবারের জন্য হাফিজ ইব্রাহিমের পক্ষ থেকে ২৩ জুন (সোমবার) সকালে এক লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করে উপজেলা বিএনপি। মিছির কাজীর ছেলে মোজাম্মেলকে ৭০ হাজার ও আজাহার চৌকিদারকে ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
১ ঘণ্টা আগেমব জাস্টিস কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাঁর (নূরুল হুদার) সঙ্গে যেটা হয়েছে, মানে গলায় এটা-সেটা পরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
১ ঘণ্টা আগে